তরুণ ম্যাজিস্ট্রেটরাই পারেন by মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী
তরুণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে আমি খুব স্বপ্ন দেখি। প্রশাসনে তাঁরা নতুন এবং বয়সে ঝকঝকে তরুণ। তাঁদের মনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যত আভা, তার চেয়ে অনেক বেিশ জাতির প্রত্যাশা। ক্ষুদ্র শাসনক্ষমতা নিয়ে যে ম্যাজিস্ট্রেটদের আত্মপ্রকাশ, পরবর্তী কালে শীর্ষ আমলা হিসেবে ঘটে তাঁদের পরিপূর্ণ বিকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিিগ্রপ্রাপ্ত মেধাবীরা সামাজিক মর্যাদার আকর্ষণে সিভিল সার্ভিসে আসেন।
প্রশাসনের প্রারম্ভিক পদে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অপরাধ উদ্ঘাটনে এবং অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা পান। জনগণের প্রত্যাশা, মোবাইল কোর্ট অভিযান স্বজনপ্রীতি, ভীতি ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবে। অপরাধীদের শুধু শাস্তি দেওয়া মোবাইল কোর্টের ম্যান্ডেট নয়। অপরাধ নির্মূল, অপরাধীর সংশোধন এবং পরিস্থিতির উন্নতি ছাড়া মোবাইল কোর্ট নিষ্ফল অভিযানে পরিণত হতে বাধ্য।
ভেজাল খাদ্য ও পরিবেশদূষণ নিয়ে মানুষের যে অন্তহীন যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ, তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট এক শক্তিশালী সামাজিক প্রতিরোধ। মানুষের অসহায়ত্বের সমব্যথী হয়ে ভেজালের বিষাক্ত ছোবল এবং পরিবেশদূষণের নরকযন্ত্রণা থেকে নাগরিকদের মুক্ত করাই ম্যাজিস্ট্রেটদের ম্যান্ডেট।
প্রশাসনে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণে বারবার শপথ করানো হয়, ‘অন্যায় প্রভাববলয় থেকে মুক্ত থেকে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রভাবশালীর ভয়ে অপরাধীকে ছাড় দেওয়া যাবে না।’ শঙ্কাতাড়িত হয়ে অনেকে প্রশ্ন করেন, সৎ থেকে একক ভূমিকায় কীভাবে যুদ্ধ করবেন? কর্মস্থলে তাঁদের কী নিরাপত্তা? বিপদে তাঁদের সঙ্গী কে? নৈতিক সমর্থন দিয়ে তাঁদের বলি, নিষ্ঠা ও সততাই ম্যাজিস্ট্রেসির শক্তি এবং নিকষ অন্ধকারে আলোক রশ্মি।
সততা এমন শক্ত শিরস্ত্রাণ, যেখানে আঘাত করার সাহস কেউ পায় না। দৃঢ় মনোবল ও অদম্য সাহস থাকলে হিমালয়ের মতো উঁচু হয়ে দাঁড়ানো যায়। অপরাধী প্রভাবশালী বা আত্মীয়-পরিজন হলেও রেহাই দেওয়া যাবে না। সততা-নৈতিকতার এখানেই অগ্নিপরীক্ষা, শুধু ঘুষ না নেওয়াই সততা নয়। বিবেক, সততা ও মেধাই রুখবে সব দুর্লঙ্ঘ্য বাধা। মোবাইল কোর্টের আদেশ শিরোধার্য। এ আদেশ কোনো অনৈতিক চাপে পরিবর্তন হবে না। তাৎক্ষণিক অভিযান, দণ্ড প্রদান এবং তাৎক্ষণিক সমাধান।
২০১১ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক অভিযানে ধলেশ্বরী নদী থেকে মাত্র অাট ঘণ্টার মধ্যে একটি ইটভাটা চূর্ণবিচূর্ণ করে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে নদী দখলমুক্ত করেছিলাম। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের চাক্তাইয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে নয়টি ভেজাল সেমাই কারখানা ধ্বংস করে নাগরিকদের ভেজাল খাদ্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়েছিলাম।
২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে প্রভাবশালী এক সাংসদ ও ছাত্রনেতার কারখানায় অভিযান চালিয়ে দূষণ বন্ধে বাধ্য করে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছিলাম। এসব উপমা দিয়ে তরুণ ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রেরণা জোগাই। মনেপ্রাণে চাই, ম্যাজিস্ট্রেট এন্টোনিও ডি পিয়েত্রার নেতৃত্বে যে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট অসীম সাহসিকতায় ইতালিকে মাফিয়ামুক্ত করেছিলেন, তেমনি শক্তি ও সাহস নিয়ে তরুণ ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন এ দেশকে পরিবেশ ও খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন।
মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব কী? প্রকৃত অপরাধীদের ধরা এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। রাঘববোয়ালদের ছেড়ে চুনোপুঁটিদের সাজায় অপরাধ কমবে না। অদম্য সাহস নিয়ে দুর্ধর্ষ অপরাধী এবং দুর্দান্ত প্রভাবশালীদের চোখে চোখ রেখে শাস্তি দেওয়া এবং অপরাধের শিকড় উৎপাটন করতে পারাটাই ম্যাজিস্ট্রেসির সার্থকতা। নতুবা অপরাধ ও অভিযান সমান্তরালে চলবে যুগ যুগ ধরে। পূর্ণ পেশাদারত্বের সৎ কর্মকর্তারাই দেশের সম্পদ, দেশ প্রয়োজনেই তাঁদের খুঁজে নেবে। সততার প্রকৃত মূল্যায়ন এখানেই। অর্থ, ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধার পশ্চাতে যারা ধাবিত, তাদের সততা উদ্বায়ী। লোভে পড়ে অন্যের কৃপা বা করুণার পাত্র হয়ে যাওয়ার চেয়ে মাটিতে মিশে যাওয়া শ্রেয়। অন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগে গৌরব নেই, ক্ষমতাকে পরিণত করতে হবে জনসেবায়। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার বা অনৈতিক পথে সম্পদ অর্জন করেছে, তাদের সঙ্গে আছে মানুষের অভিসম্পাত, অশ্রুপাত এবং দীর্ঘশ্বাস।
পরিবেশদূষণ এবং খাদ্যে ভেজালের যে সন্ত্রাস, এ মুহূর্তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে এটিই বড় চ্যালেঞ্জ। সুস্থ পরিবেশ ও নির্ভেজাল খাদ্যেই নির্ভর করছে জাতির টিকে থাকা। আমাদের একই কাতারে অবস্থান করা চীন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর বিস্ময়কর উন্নতি সাধন করেছে শুধু আইনের শাসন নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর আদলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষাকে মোবাইল কোর্টের কঠোর বেষ্টনীতে আনতে হবে। এ দুটি ক্ষেত্রে ভয়ানক বিপর্যয়ে জাতিকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। অপরাধ চাক্ষুষ দেখেও নৈর্ব্যক্তিক পর্যবেক্ষকের মতো নীরবতায়-উদাসীনতায় থাকা কিংবা নয়টা-পাঁচটা চুপিসারে ছকবাঁধা চাকরি করার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই।
মৃত্যুপথযাত্রী নদনদী, জলাশয়কে দখল ও দূষণের ছোবল থেকে এবং পরিবেশবিধ্বংসী ইটভাটার কবল থেকে গ্রামবাংলাকে রক্ষা করা, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাটের উন্মত্ততা রোধ করা এবং ভেজাল ও দূষিত খাদ্যের অভিশাপ থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট আইনে পর্যাপ্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
আইনের ব্যবহারিক প্রয়োগে চাই সততা, নৈতিকতা এবং নিরপেক্ষতা। দুর্নীতিতে জড়াবে না। প্রলোভনে পা দেবে না। অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে। অন্যায় চাপে মাথা নত করবে না। ন্যায়ের দণ্ড সমুন্নত রেখে আইনের প্রয়োগ ঘটাবে—এটাই তরুণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে প্রত্যাশা৷
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী: (সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম), বর্তমানে এমডি, মিল্ক ভিটা৷
mmunirc@gmail.com
প্রশাসনের প্রারম্ভিক পদে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অপরাধ উদ্ঘাটনে এবং অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা পান। জনগণের প্রত্যাশা, মোবাইল কোর্ট অভিযান স্বজনপ্রীতি, ভীতি ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবে। অপরাধীদের শুধু শাস্তি দেওয়া মোবাইল কোর্টের ম্যান্ডেট নয়। অপরাধ নির্মূল, অপরাধীর সংশোধন এবং পরিস্থিতির উন্নতি ছাড়া মোবাইল কোর্ট নিষ্ফল অভিযানে পরিণত হতে বাধ্য।
ভেজাল খাদ্য ও পরিবেশদূষণ নিয়ে মানুষের যে অন্তহীন যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ, তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট এক শক্তিশালী সামাজিক প্রতিরোধ। মানুষের অসহায়ত্বের সমব্যথী হয়ে ভেজালের বিষাক্ত ছোবল এবং পরিবেশদূষণের নরকযন্ত্রণা থেকে নাগরিকদের মুক্ত করাই ম্যাজিস্ট্রেটদের ম্যান্ডেট।
প্রশাসনে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণে বারবার শপথ করানো হয়, ‘অন্যায় প্রভাববলয় থেকে মুক্ত থেকে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রভাবশালীর ভয়ে অপরাধীকে ছাড় দেওয়া যাবে না।’ শঙ্কাতাড়িত হয়ে অনেকে প্রশ্ন করেন, সৎ থেকে একক ভূমিকায় কীভাবে যুদ্ধ করবেন? কর্মস্থলে তাঁদের কী নিরাপত্তা? বিপদে তাঁদের সঙ্গী কে? নৈতিক সমর্থন দিয়ে তাঁদের বলি, নিষ্ঠা ও সততাই ম্যাজিস্ট্রেসির শক্তি এবং নিকষ অন্ধকারে আলোক রশ্মি।
সততা এমন শক্ত শিরস্ত্রাণ, যেখানে আঘাত করার সাহস কেউ পায় না। দৃঢ় মনোবল ও অদম্য সাহস থাকলে হিমালয়ের মতো উঁচু হয়ে দাঁড়ানো যায়। অপরাধী প্রভাবশালী বা আত্মীয়-পরিজন হলেও রেহাই দেওয়া যাবে না। সততা-নৈতিকতার এখানেই অগ্নিপরীক্ষা, শুধু ঘুষ না নেওয়াই সততা নয়। বিবেক, সততা ও মেধাই রুখবে সব দুর্লঙ্ঘ্য বাধা। মোবাইল কোর্টের আদেশ শিরোধার্য। এ আদেশ কোনো অনৈতিক চাপে পরিবর্তন হবে না। তাৎক্ষণিক অভিযান, দণ্ড প্রদান এবং তাৎক্ষণিক সমাধান।
২০১১ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক অভিযানে ধলেশ্বরী নদী থেকে মাত্র অাট ঘণ্টার মধ্যে একটি ইটভাটা চূর্ণবিচূর্ণ করে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে নদী দখলমুক্ত করেছিলাম। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের চাক্তাইয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে নয়টি ভেজাল সেমাই কারখানা ধ্বংস করে নাগরিকদের ভেজাল খাদ্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়েছিলাম।
২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে প্রভাবশালী এক সাংসদ ও ছাত্রনেতার কারখানায় অভিযান চালিয়ে দূষণ বন্ধে বাধ্য করে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছিলাম। এসব উপমা দিয়ে তরুণ ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রেরণা জোগাই। মনেপ্রাণে চাই, ম্যাজিস্ট্রেট এন্টোনিও ডি পিয়েত্রার নেতৃত্বে যে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট অসীম সাহসিকতায় ইতালিকে মাফিয়ামুক্ত করেছিলেন, তেমনি শক্তি ও সাহস নিয়ে তরুণ ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন এ দেশকে পরিবেশ ও খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন।
মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব কী? প্রকৃত অপরাধীদের ধরা এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। রাঘববোয়ালদের ছেড়ে চুনোপুঁটিদের সাজায় অপরাধ কমবে না। অদম্য সাহস নিয়ে দুর্ধর্ষ অপরাধী এবং দুর্দান্ত প্রভাবশালীদের চোখে চোখ রেখে শাস্তি দেওয়া এবং অপরাধের শিকড় উৎপাটন করতে পারাটাই ম্যাজিস্ট্রেসির সার্থকতা। নতুবা অপরাধ ও অভিযান সমান্তরালে চলবে যুগ যুগ ধরে। পূর্ণ পেশাদারত্বের সৎ কর্মকর্তারাই দেশের সম্পদ, দেশ প্রয়োজনেই তাঁদের খুঁজে নেবে। সততার প্রকৃত মূল্যায়ন এখানেই। অর্থ, ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধার পশ্চাতে যারা ধাবিত, তাদের সততা উদ্বায়ী। লোভে পড়ে অন্যের কৃপা বা করুণার পাত্র হয়ে যাওয়ার চেয়ে মাটিতে মিশে যাওয়া শ্রেয়। অন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগে গৌরব নেই, ক্ষমতাকে পরিণত করতে হবে জনসেবায়। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার বা অনৈতিক পথে সম্পদ অর্জন করেছে, তাদের সঙ্গে আছে মানুষের অভিসম্পাত, অশ্রুপাত এবং দীর্ঘশ্বাস।
পরিবেশদূষণ এবং খাদ্যে ভেজালের যে সন্ত্রাস, এ মুহূর্তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে এটিই বড় চ্যালেঞ্জ। সুস্থ পরিবেশ ও নির্ভেজাল খাদ্যেই নির্ভর করছে জাতির টিকে থাকা। আমাদের একই কাতারে অবস্থান করা চীন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর বিস্ময়কর উন্নতি সাধন করেছে শুধু আইনের শাসন নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর আদলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষাকে মোবাইল কোর্টের কঠোর বেষ্টনীতে আনতে হবে। এ দুটি ক্ষেত্রে ভয়ানক বিপর্যয়ে জাতিকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। অপরাধ চাক্ষুষ দেখেও নৈর্ব্যক্তিক পর্যবেক্ষকের মতো নীরবতায়-উদাসীনতায় থাকা কিংবা নয়টা-পাঁচটা চুপিসারে ছকবাঁধা চাকরি করার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই।
মৃত্যুপথযাত্রী নদনদী, জলাশয়কে দখল ও দূষণের ছোবল থেকে এবং পরিবেশবিধ্বংসী ইটভাটার কবল থেকে গ্রামবাংলাকে রক্ষা করা, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাটের উন্মত্ততা রোধ করা এবং ভেজাল ও দূষিত খাদ্যের অভিশাপ থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট আইনে পর্যাপ্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
আইনের ব্যবহারিক প্রয়োগে চাই সততা, নৈতিকতা এবং নিরপেক্ষতা। দুর্নীতিতে জড়াবে না। প্রলোভনে পা দেবে না। অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে। অন্যায় চাপে মাথা নত করবে না। ন্যায়ের দণ্ড সমুন্নত রেখে আইনের প্রয়োগ ঘটাবে—এটাই তরুণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে প্রত্যাশা৷
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী: (সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম), বর্তমানে এমডি, মিল্ক ভিটা৷
mmunirc@gmail.com
No comments