সুষমার সফর- ভারতের বার্তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের বার্তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সুষমার ঢাকা সফর দুই দেশের জন্যই ইতিবাচক। এই সফরের মাধ্যমে ভারত বার্তা দিয়েছে যে, একক কোন দলের সঙ্গে নয় বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারতের নতুন সরকার। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না। তারা সব সময়ই তাদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করবে। তবে অতীতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব পরিলক্ষিত হলেও সামনে হবে না- এমন প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তারা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কূটনীতিক ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, মোটের ওপর সফর ভাল হয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে মোদি সরকারে মনোভাব পরিষ্কার হয়েছে। এটা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়গুলো ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়। এগুলো একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ফারুক চৌধুরী বলেন, বিএনপি যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল তার ব্যাপকতা প্রকাশ পেয়েছে এই সাক্ষাতের মাধ্যমে।
সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফর প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, এই সফরে একটি বার্তা সুষমা নিশ্চিত করে গেছেন। তাহলো বাংলাদেশের একক কোন দলের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশের দুই বড় দলের সঙ্গেই সমান সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত ? তিনি বলেন, এদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বার্তা দিয়েছে ভারত- যা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ? এর মাধ্যমে সুষমা স্বরাজের এই সফরে পরিষ্কার হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সম্পর্কে তারা যথেষ্ট সচেতন? তিনি বলেন, সুষমার এবারের সফর একদমই শুভেচ্ছা সফর। তিনি ভারতের যে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেই সরকার কেবলমাত্র এক মাস হলো ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। আর এক মাস বয়সী একটি সরকারের পক্ষে চাইলেও এখনই বড় কিছু করা সম্ভব নয়। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সুষমার সফরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। তাহলো বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না ভারতের নতুন সরকার। যেমনটি কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সরে গিয়ে বিজেপি সরকার বলতে চায়, সম্পর্ক হবে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। তিনি বলেন, সেমিনারে দেয়া সুষমার বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ? সেই বক্তব্যে সুষমা বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সহনশীলতার সংস্কৃতি, অংশগ্রহণ ও ভিন্নমতের বিকাশ প্রয়োজন। অনুরোধ পেলে এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা ও অনুসৃত আদর্শ সানন্দে বিনিময় করবো। এখন দেখা দরকার যে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে কোন পরিবর্তন আসে কিনা। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী, এক ধরনের সংলাপ হয়তো শুরু হতে পারে। আওয়ামী লীগের এখন উচিত হবে, যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা শুরু করে দেয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম. শাহীদুজ্জামান সুষমার সফর প্রসঙ্গে বলেন, ভারত সব সময় তাদের নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। সুষমার সফরে সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে ইতিবাচক কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ। কারণ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটি কেন্দ্রীয় সরকারের বাস্তবায়নের কথা। কংগ্রেস সরকারের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় এটি চিন্তা করা উচিত ছিল। ভারত সবসময়েই বাংলাদেশের ইস্যুগুলো নিয়ে অনীহা প্রদর্শন করেছে। সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে সুষমার বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে তথাকথিত বিরোধী দলকে বৈধতা দেয়ার মতো। মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মোদি সরকার বাংলাদেশের জন্য ভাল কোন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে হয় না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ আশা করেছিল- তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন সুষমা। তাই তার এই সফরে প্লাস পয়েন্টের চেয়ে মাইনাস পয়েন্টই বেশি। তিনি বলেছেন, সুষমার এই সফরের পর ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থকে বড় করে দেখবে। তিনি বলেন, ভারতে আরও কিছু পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঢাকা সফরে এ সব নিয়ে সুষমা কোন কথাই বলেননি। তাই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মধ্যদিয়ে গুডউইল তৈরি ছাড়া আর কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জনগণকেই সমাধান করতে হবে’- বিমানবন্দরে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে ড. রেহমান বলেন, এটা ছিল তার কূটনৈতিক বক্তব্য। একটি দেশ অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না। তবে অতীতে ভারত হস্তক্ষেপ করেছে। ভবিষ্যতে করবে কিনা- এটাই এখন দেখার বিষয়। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তারা সবসময় জাতীয় স্বার্থকে বড় করে দেখবে। কারণ ইতিমধ্যে বর্তমান সরকার ভারতে অনেকগুলো সুবিধা দিয়েছে। ত্রিপুরা দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য কোন ধরনের শুল্ক দেবে না ভারত। এছাড়া তাদের পণ্য বহনের জন্য নিজেদের অর্থে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ করে দেবে বাংলাদেশ সরকার। আর তাতেই ভারত খুশি।
সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফর প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, এই সফরে একটি বার্তা সুষমা নিশ্চিত করে গেছেন। তাহলো বাংলাদেশের একক কোন দলের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশের দুই বড় দলের সঙ্গেই সমান সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত ? তিনি বলেন, এদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বার্তা দিয়েছে ভারত- যা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ? এর মাধ্যমে সুষমা স্বরাজের এই সফরে পরিষ্কার হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সম্পর্কে তারা যথেষ্ট সচেতন? তিনি বলেন, সুষমার এবারের সফর একদমই শুভেচ্ছা সফর। তিনি ভারতের যে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেই সরকার কেবলমাত্র এক মাস হলো ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। আর এক মাস বয়সী একটি সরকারের পক্ষে চাইলেও এখনই বড় কিছু করা সম্ভব নয়। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সুষমার সফরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। তাহলো বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না ভারতের নতুন সরকার। যেমনটি কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সরে গিয়ে বিজেপি সরকার বলতে চায়, সম্পর্ক হবে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। তিনি বলেন, সেমিনারে দেয়া সুষমার বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ? সেই বক্তব্যে সুষমা বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সহনশীলতার সংস্কৃতি, অংশগ্রহণ ও ভিন্নমতের বিকাশ প্রয়োজন। অনুরোধ পেলে এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা ও অনুসৃত আদর্শ সানন্দে বিনিময় করবো। এখন দেখা দরকার যে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে কোন পরিবর্তন আসে কিনা। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী, এক ধরনের সংলাপ হয়তো শুরু হতে পারে। আওয়ামী লীগের এখন উচিত হবে, যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা শুরু করে দেয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম. শাহীদুজ্জামান সুষমার সফর প্রসঙ্গে বলেন, ভারত সব সময় তাদের নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। সুষমার সফরে সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে ইতিবাচক কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ। কারণ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটি কেন্দ্রীয় সরকারের বাস্তবায়নের কথা। কংগ্রেস সরকারের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় এটি চিন্তা করা উচিত ছিল। ভারত সবসময়েই বাংলাদেশের ইস্যুগুলো নিয়ে অনীহা প্রদর্শন করেছে। সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে সুষমার বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে তথাকথিত বিরোধী দলকে বৈধতা দেয়ার মতো। মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মোদি সরকার বাংলাদেশের জন্য ভাল কোন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে হয় না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ আশা করেছিল- তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন সুষমা। তাই তার এই সফরে প্লাস পয়েন্টের চেয়ে মাইনাস পয়েন্টই বেশি। তিনি বলেছেন, সুষমার এই সফরের পর ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থকে বড় করে দেখবে। তিনি বলেন, ভারতে আরও কিছু পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঢাকা সফরে এ সব নিয়ে সুষমা কোন কথাই বলেননি। তাই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মধ্যদিয়ে গুডউইল তৈরি ছাড়া আর কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জনগণকেই সমাধান করতে হবে’- বিমানবন্দরে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে ড. রেহমান বলেন, এটা ছিল তার কূটনৈতিক বক্তব্য। একটি দেশ অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না। তবে অতীতে ভারত হস্তক্ষেপ করেছে। ভবিষ্যতে করবে কিনা- এটাই এখন দেখার বিষয়। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তারা সবসময় জাতীয় স্বার্থকে বড় করে দেখবে। কারণ ইতিমধ্যে বর্তমান সরকার ভারতে অনেকগুলো সুবিধা দিয়েছে। ত্রিপুরা দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য কোন ধরনের শুল্ক দেবে না ভারত। এছাড়া তাদের পণ্য বহনের জন্য নিজেদের অর্থে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ করে দেবে বাংলাদেশ সরকার। আর তাতেই ভারত খুশি।
No comments