নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারালে মানুষ ভোট বর্জন করে- কেরি কেনেডি
রবার্ট এফ কেনেডি সেন্টার ফর জাস্টিস
অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি বাংলাদেশের নাম উল্লেখ
না করে বলেছেন, যখন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় না, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতসীন
দলের অঙ্গ হিসেবে কাজ করে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ
নিতে বাধাপ্রাপ্ত হন এবং যখন অনেক লোক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা
হারান, তখন তারা ভোট বর্জন করেন। আর এমন পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য
চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। গতকাল সোশ্যাল বিজনেস ডে উপলক্ষে রাজধানীর একটি
হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলেন। কেরি তার প্রবন্ধে
বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না করলেও অনুষ্ঠান শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
জানান, তার বক্তব্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই দেয়া। অনুষ্ঠানে মার্কিন
রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত,
জাতিসঙ্ঘের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ বিশ্বের ৩১টি দেশের ২৭৫ জন অতিথি
অংশ নেন।
কেরি কেনেডি তার প্রবন্ধে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী অব্যাহতি পেলে, গুম এবং বিচারবর্হিভূত হত্যাকা-ের বিচার না হলে, জুলুম-নির্যাতন নিয়মিত ঘটনা হলে, বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে এবং বিচারকরা বিক্রি হলে অথবা স্বাধীনভাবে কাজ করতে গেলে হুমকি অথবা চাকরি হারানোর সম্মুখীন হলে, তখন তা ন্যায়বিচারের চ্যালেঞ্জ হিসেবে আর্বিভূত হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে কেরি বলেন, পাকিস্তানি সেনারা যখন বাংলাদেশে গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিন, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ মার্কিন স্বার্থবিরোধী। সে সময়ে কেনেডি বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে কেরি পরিবারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক ব্যবসা কিভাবে অবদান রাখতে পারে, তা বিবেচনা করা উচিত। ড. ইউনূস ও তার সামাজিক ব্যবসা যে অন্যদের চেয়ে আলাদা, সেটি সর্বস্তরে আলোচিত। লাখ লাখ দরিদ্র মা-বাবা দারিদ্র্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। তাদের আমাদের সহায়তা করা উচিত।
কেরি কেনেডি তার প্রবন্ধে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী অব্যাহতি পেলে, গুম এবং বিচারবর্হিভূত হত্যাকা-ের বিচার না হলে, জুলুম-নির্যাতন নিয়মিত ঘটনা হলে, বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে এবং বিচারকরা বিক্রি হলে অথবা স্বাধীনভাবে কাজ করতে গেলে হুমকি অথবা চাকরি হারানোর সম্মুখীন হলে, তখন তা ন্যায়বিচারের চ্যালেঞ্জ হিসেবে আর্বিভূত হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে কেরি বলেন, পাকিস্তানি সেনারা যখন বাংলাদেশে গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিন, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ মার্কিন স্বার্থবিরোধী। সে সময়ে কেনেডি বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে কেরি পরিবারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক ব্যবসা কিভাবে অবদান রাখতে পারে, তা বিবেচনা করা উচিত। ড. ইউনূস ও তার সামাজিক ব্যবসা যে অন্যদের চেয়ে আলাদা, সেটি সর্বস্তরে আলোচিত। লাখ লাখ দরিদ্র মা-বাবা দারিদ্র্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। তাদের আমাদের সহায়তা করা উচিত।
কেরি বলেন, স্বাধীন মত প্রকাশ নিশ্চিত করাও চ্যালেঞ্জ। সাংবাদিকদদের কারারুদ্ধ করা, সংবাদপত্র আর টিভি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া ও সংবিধানে বিতর্কিত সংশোধনী আনা এবং এনজিওর লাইসন্স বাতিলের হুমকি দেয়া একটি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবন্ধকতা। এছাড়া সমালোচকদের বাকরোধ করার জন্য দমন-পীড়ন নীতির আইন ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শাসক গোষ্ঠীর জন্য হুমকিস্বরূপ যাদের মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে চালানো হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অব্যাহত নোংরা প্রচারণা। এগুলোর মধ্যে এমনভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়, যা একজন মানুষের চরিত্র হননের শামিল। তিনি বলেন, এরপর আইনের মারপ্যাঁচে ঘটনার শিকার ব্যক্তির অবস্থান কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। যেন ক্ষমতার লোভীরা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
কেরি কেনেডি বলেন, সমাজে নারীদের ক্ষমতায়নেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ। তাদের ১৫০% বেতন বাড়ছে। অথচ তারা সচ্ছলভাবে জীবন ধারণ করতে পারছে না। তাদের যৌতুক প্রথা, এ সংক্রান্ত সহিংসতা ও এসিড নিক্ষেপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা, শিশু বিবাহ ও কম বয়সে অধিক সন্তানের মা হওয়ার বিড়ম্বনা।
No comments