অগ্রজ কবি নির্মলেন্দু গুণ
অগ্রজ
কবি নির্মলেন্দু গুণ যে কবিতাটি লিখে তার পাঠকদের অন্তর জয় করেছেন, সেই
‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’কে এবার চলচ্চিত্রায়ণ করেছেন অনুজ কবি মাসুদ পথিক।
তরুণ নির্মাতা মাসুদ পথিকের ভাষায় এটি তার একটি র-রিয়ালিজম প্রচেষ্টা।
প্রকৃতি, প্রেম, গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষের প্রবাহমান সুখ-দুঃখ,
আনন্দ-বেদনা, বিরহ-মিলন বাংলার ষাটের দশকের গ্রামীণ সমাজের শ্রেণী বৈষম্যের
চিরায়ত দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বন্ধুতা-শত্র“তা, বিদ্রোহ-আন্দোলন, ঘাত-প্রতিঘাত,
শ্রেণী শত্র“তা, ধনি-গরিব অন্তর্কলহ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের
চূড়ান্ত প্রস্তুতি ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবির সামগ্রিক প্রেক্ষাপট। ছবির
কেন্দ্রীয় চরিত্র নেকাব্বর একজন ভূমিহীন অভাগা কৃষক। প্রচলিত সমাজের
রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক শ্রেণী বৈষম্যের জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যুবক
নেকাব্বর একাধারে প্রকৃতিপ্রেমী ও প্রেমিক অন্যদিকে বিপ্লবী। গাছপালা,
জীব-জন্তু, পরিবেশ-প্রতিবেশ, এমনকি মানুষ- সবই যেমন প্রকৃতির দান, তেমনি
প্রকৃতির বুকে সবারই আত্মপরিচয় ও বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ন্যায্য অধিকার রয়েছে-
এমন এক চিরায়ত সত্যের প্রলম্বিত আদর্শ নেকাব্বর সারাক্ষণ অন্তরে লালন
করেন। প্রকৃতির উদ্ভিদ ও প্রাণী, নানান কিসিমের জীব-জন্তুর প্রতি তার যেমন
সীমাহীন মায়া, অন্তরে সুগভীর দরদ, প্রেয়সী ফাতেমার প্রতি প্রগাঢ়
প্রেমাস্পন্দন তেমনি তীব্র তার। জীবনের হাজারো চড়াই-উৎড়াইয়ের ভেতরেও
নেকাব্বর তাই তিলে তিলে গড়া হৃদয়ের সীলমোহর প্রিয়তমা ফাতেমাকে ভুলতে পারে
না।
প্রচলিত সামন্তবাদী সমাজের রাষ্ট্রীয় দুঃশাসকের স্থানীয় প্রতিনিধি তালুকদার সাহেবের রোষানলের শিকার হয়ে নেকাব্বর এক সময় গ্রামছাড়া হতে বাধ্য হয়। পেছনে পড়ে থাকে মায়ের কবর। ঘরের দাওয়ায় মায়ের কবরের নির্যাস থেকে জন্ম নেওয়া মায়ের প্রতিচ্ছবি প্রিয় লেবুগাছের পাতার মাতৃঘ্রাণ, প্রাণের প্রেমাশ্বরী ফাতেমা, অমর বাল্যকাল, গ্রামীণ প্রিয় মেঠো জনপদ, অন্তরে লালিত স্বাদ-আহ্লাদ কত কিছু! তবুও বিপ্লবী নেকাব্বর মানবতার জয়গানকে হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে স্মৃতির চোরাবালিতে ডুবসাঁতার না কেটে জাতীয় চেতনায় একাত্ম হয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। নেকাব্বর একজন বিপ্লবী, একজন অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা। শত্র“র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত মোকাবিলায় সামগ্রিক জয় ছিনিয়ে আনতে গিয়ে যুদ্ধে যদিও অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে তিনি একটি পা হারান। জীর্ণ বাড়িঘর, যৌবনবতী প্রেয়সী আর ফেলে আসা জীবন হারিয়ে যুদ্ধ শেষে স্মৃতিভ্রষ্ট নেকাব্বরের জায়গা হয় পাগলাগারদে। কিন্তু ৪২ বছর পর নেকাব্বর যখন পাগলাগারদ থেকে মুক্তি পান- তখন ফেলে আসা জীবনের মধুর স্মৃতির অলিগলি নতুন করে আবার ক্র্যাচে ভর দিয়ে অবশিষ্ট জীবনময় নেকাব্বরকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
একজন পরিবেশবাদী, প্রকৃতি প্রেমী, তুখোড় প্রেমিক, বিপ্লবী ও বিজয়ী যোদ্ধার রুদ্র মূর্তির বলিষ্ঠ চরিত্রে বলিয়ান শৌর্যপুরুষ নেকাব্বর এক সময় বয়সের ভারে রোগে শোকে দুঃখে অভিমানে এই বাংলার পরম মমতাময়ী মাটির কাছেই চিরায়ত নিয়মে জমিন খুঁজে পান।
এমনি প্রতিবাদী এক বীরত্বগাঁথা চরিত্র নেকাব্বরের জীবনের ঘটনা প্রবাহকে ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে তরুণ নির্মাতা মাসুদ পথিক দর্শকদের কাছে সত্যি সত্যিই মানবতার জয়গানকে প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি জীবনের দর্শন, সমাজের প্রচলিত মিথ, দৈনন্দিন হাসি-আনন্দ, ঠাট্টা-তামাশা, বিরহ-দুঃখের ক্যানভাসের ভেতরে আন্দোলন সংগ্রাম যুদ্ধের পরে পরিবর্তিত নতুন চেতনায় নতুন পতাকাতলে নতুন দেশেও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের যে তেমন কোন আমূল পরিবর্তন ঘটেনি- সেই সত্যটি উপলব্ধি করার জন্য অত্যন্ত মুন্সীয়ানার সঙ্গে দর্শকদের দিকে মাসুদ পথিক একটি চৈতন্যের তীর ছুড়ে দেন।
ছবিতে ষাটের দশক থেকে শুরু করে কয়েক দশকের ঘটনা প্রবাহ ফ্রেমে ফ্রেমে প্রদর্শিত হয়। কবিতার লাইনে লাইনে যেমন নানান চড়াই-উৎড়াই থাকে, মাসুদের ছবিতেও সেই কালের টানাপড়েন প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের চিরায়ত নিসর্গকে স্পর্শ করার আগেই হয়তো দিগন্তে গোধূলী নামে। এটা প্রথম ছবি হওয়ায় দৃশ্যায়নের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় হয়তো মাসুদ কিছুটা হাঁপিয়ে ওঠেন। নতুবা ছবির সম্পাদনা, কস্টিউম ব্যবস্থাপনা, আবহসঙ্গীত স্থাপনা এবং টানটান উত্তেজনা সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় তিনি আরো যতœবান হতে পারতেন।
তবুও বাংলা সিনেমার জগতে ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ একটি নতুন দর্শনের ছবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
ছবির ব্যাপ্তিকাল ১৩১ মিনিট। থার্টি ফাইভ, এইচডি, এফপি ও রেড-ওয়ান ক্যামেরায় ধারণ করা ডিজিটাল ফরম্যাটের ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবিতে মোট ৬টি গান ব্যবহার করা হয়েছে। গানের কথা লিখেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি অসীম সাহা, কবি মাসুদ পথিক, গীতিকার সাইম রানা ও কবি অতনু তিয়াস। গানের সুর ও আবহসঙ্গীত নির্মাণ করেছেন সঙ্গীত ভুবনের নতুন অ্যাপ্রোচার সাইম রানা। ক্যামেরায় ছিলেন অপু লরেন্স রোজারিও ও বায়জীদ কামাল। সম্পাদনা করেছেন জুনায়েদ হালিম ও জুয়েল তালুকদার। নেকাব্বর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জহির জুয়েল (যুবক) ও বাদল শহীদ (বৃদ্ধ), ফাতেমা চরিত্রে সিমলা, তালুকদার সাহেবের চরিত্রে মামুনুর রশিদ, ফাতেমার বাবা আইনুদ্দিনের চরিত্রে প্রবীর মিত্র, মুন্সী চরিত্রে এহসানুর রহমান, নির্মল চরিত্রে সৈয়দ জুবায়ের (যুবক) ও স্বনামে কবি নির্মলেন্দু গুণ, কৃষক নেতার চরিত্রে কবি অসীম সাহা, বিউটি বোর্ডিংয়ে শ্রমিক নেতা মামুনের চরিত্রে শেইখ শাহেদসহ প্রায় ১৫ জন কবি ও ১০০০ গ্রামবাসী ছবিতে অভিনয় করেছেন।
বৃষ্টির আশায় গ্রামবাসী প্রচলিত মিথের উপর অগাধ বিশ্বাস রেখে যে উৎসবটি করে- ছবির এই অংশের দৃশ্যায়ণটি বেশ মুগ্ধকর। প্রচলিত বাংলা ছবির উঠোনে মাসুদের এই ছবির দর্শনগত শক্তিমত্তা কিছু কিছু নির্মাণগত দুর্বলতাকে কাটিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করবে- এমন আশাবাদ রইল। মাসুদের ছবিতে বাঁকে বাঁকে কবিতা লুকিয়ে আছে, দর্শনের পক্ষ ও বিপক্ষের যুক্তি ছাপিয়ে আছে, আর আছে বাংলার গ্রামীণ জনপদের চিরায়ত সৌন্দর্য। মাসুদের লেখার কলমটি ক্যামেরায় পুরোপুরি রূপান্তরিত করতে পারলেই ভবিষ্যতে হয়তো বাংলা সিনেমার সেই শূন্যস্থান পূরণ হবে। সিনেমা জগতে তরুণ নির্মাতা মাসুদ পথিককে অভিনন্দন জানাই।
প্রচলিত সামন্তবাদী সমাজের রাষ্ট্রীয় দুঃশাসকের স্থানীয় প্রতিনিধি তালুকদার সাহেবের রোষানলের শিকার হয়ে নেকাব্বর এক সময় গ্রামছাড়া হতে বাধ্য হয়। পেছনে পড়ে থাকে মায়ের কবর। ঘরের দাওয়ায় মায়ের কবরের নির্যাস থেকে জন্ম নেওয়া মায়ের প্রতিচ্ছবি প্রিয় লেবুগাছের পাতার মাতৃঘ্রাণ, প্রাণের প্রেমাশ্বরী ফাতেমা, অমর বাল্যকাল, গ্রামীণ প্রিয় মেঠো জনপদ, অন্তরে লালিত স্বাদ-আহ্লাদ কত কিছু! তবুও বিপ্লবী নেকাব্বর মানবতার জয়গানকে হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে স্মৃতির চোরাবালিতে ডুবসাঁতার না কেটে জাতীয় চেতনায় একাত্ম হয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। নেকাব্বর একজন বিপ্লবী, একজন অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা। শত্র“র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত মোকাবিলায় সামগ্রিক জয় ছিনিয়ে আনতে গিয়ে যুদ্ধে যদিও অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে তিনি একটি পা হারান। জীর্ণ বাড়িঘর, যৌবনবতী প্রেয়সী আর ফেলে আসা জীবন হারিয়ে যুদ্ধ শেষে স্মৃতিভ্রষ্ট নেকাব্বরের জায়গা হয় পাগলাগারদে। কিন্তু ৪২ বছর পর নেকাব্বর যখন পাগলাগারদ থেকে মুক্তি পান- তখন ফেলে আসা জীবনের মধুর স্মৃতির অলিগলি নতুন করে আবার ক্র্যাচে ভর দিয়ে অবশিষ্ট জীবনময় নেকাব্বরকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
একজন পরিবেশবাদী, প্রকৃতি প্রেমী, তুখোড় প্রেমিক, বিপ্লবী ও বিজয়ী যোদ্ধার রুদ্র মূর্তির বলিষ্ঠ চরিত্রে বলিয়ান শৌর্যপুরুষ নেকাব্বর এক সময় বয়সের ভারে রোগে শোকে দুঃখে অভিমানে এই বাংলার পরম মমতাময়ী মাটির কাছেই চিরায়ত নিয়মে জমিন খুঁজে পান।
এমনি প্রতিবাদী এক বীরত্বগাঁথা চরিত্র নেকাব্বরের জীবনের ঘটনা প্রবাহকে ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে তরুণ নির্মাতা মাসুদ পথিক দর্শকদের কাছে সত্যি সত্যিই মানবতার জয়গানকে প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি জীবনের দর্শন, সমাজের প্রচলিত মিথ, দৈনন্দিন হাসি-আনন্দ, ঠাট্টা-তামাশা, বিরহ-দুঃখের ক্যানভাসের ভেতরে আন্দোলন সংগ্রাম যুদ্ধের পরে পরিবর্তিত নতুন চেতনায় নতুন পতাকাতলে নতুন দেশেও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের যে তেমন কোন আমূল পরিবর্তন ঘটেনি- সেই সত্যটি উপলব্ধি করার জন্য অত্যন্ত মুন্সীয়ানার সঙ্গে দর্শকদের দিকে মাসুদ পথিক একটি চৈতন্যের তীর ছুড়ে দেন।
ছবিতে ষাটের দশক থেকে শুরু করে কয়েক দশকের ঘটনা প্রবাহ ফ্রেমে ফ্রেমে প্রদর্শিত হয়। কবিতার লাইনে লাইনে যেমন নানান চড়াই-উৎড়াই থাকে, মাসুদের ছবিতেও সেই কালের টানাপড়েন প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের চিরায়ত নিসর্গকে স্পর্শ করার আগেই হয়তো দিগন্তে গোধূলী নামে। এটা প্রথম ছবি হওয়ায় দৃশ্যায়নের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় হয়তো মাসুদ কিছুটা হাঁপিয়ে ওঠেন। নতুবা ছবির সম্পাদনা, কস্টিউম ব্যবস্থাপনা, আবহসঙ্গীত স্থাপনা এবং টানটান উত্তেজনা সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় তিনি আরো যতœবান হতে পারতেন।
তবুও বাংলা সিনেমার জগতে ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ একটি নতুন দর্শনের ছবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
ছবির ব্যাপ্তিকাল ১৩১ মিনিট। থার্টি ফাইভ, এইচডি, এফপি ও রেড-ওয়ান ক্যামেরায় ধারণ করা ডিজিটাল ফরম্যাটের ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবিতে মোট ৬টি গান ব্যবহার করা হয়েছে। গানের কথা লিখেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি অসীম সাহা, কবি মাসুদ পথিক, গীতিকার সাইম রানা ও কবি অতনু তিয়াস। গানের সুর ও আবহসঙ্গীত নির্মাণ করেছেন সঙ্গীত ভুবনের নতুন অ্যাপ্রোচার সাইম রানা। ক্যামেরায় ছিলেন অপু লরেন্স রোজারিও ও বায়জীদ কামাল। সম্পাদনা করেছেন জুনায়েদ হালিম ও জুয়েল তালুকদার। নেকাব্বর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জহির জুয়েল (যুবক) ও বাদল শহীদ (বৃদ্ধ), ফাতেমা চরিত্রে সিমলা, তালুকদার সাহেবের চরিত্রে মামুনুর রশিদ, ফাতেমার বাবা আইনুদ্দিনের চরিত্রে প্রবীর মিত্র, মুন্সী চরিত্রে এহসানুর রহমান, নির্মল চরিত্রে সৈয়দ জুবায়ের (যুবক) ও স্বনামে কবি নির্মলেন্দু গুণ, কৃষক নেতার চরিত্রে কবি অসীম সাহা, বিউটি বোর্ডিংয়ে শ্রমিক নেতা মামুনের চরিত্রে শেইখ শাহেদসহ প্রায় ১৫ জন কবি ও ১০০০ গ্রামবাসী ছবিতে অভিনয় করেছেন।
বৃষ্টির আশায় গ্রামবাসী প্রচলিত মিথের উপর অগাধ বিশ্বাস রেখে যে উৎসবটি করে- ছবির এই অংশের দৃশ্যায়ণটি বেশ মুগ্ধকর। প্রচলিত বাংলা ছবির উঠোনে মাসুদের এই ছবির দর্শনগত শক্তিমত্তা কিছু কিছু নির্মাণগত দুর্বলতাকে কাটিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করবে- এমন আশাবাদ রইল। মাসুদের ছবিতে বাঁকে বাঁকে কবিতা লুকিয়ে আছে, দর্শনের পক্ষ ও বিপক্ষের যুক্তি ছাপিয়ে আছে, আর আছে বাংলার গ্রামীণ জনপদের চিরায়ত সৌন্দর্য। মাসুদের লেখার কলমটি ক্যামেরায় পুরোপুরি রূপান্তরিত করতে পারলেই ভবিষ্যতে হয়তো বাংলা সিনেমার সেই শূন্যস্থান পূরণ হবে। সিনেমা জগতে তরুণ নির্মাতা মাসুদ পথিককে অভিনন্দন জানাই।
No comments