ছুটছে খেলনা গাড়ি, পিছন পিছন পুলিশ
দু’বছরের মেয়েকে একটা সাদা খেলনা গাড়ি
কিনে দিয়েছিলেন বাবা-মা। তবে তা দেখতে শুনতে একেবারে আসলের মতো। দু’আসনের
সেই হুড খোলা গাড়িটা প্যাডেল করে সাঁই সাঁই বেগে চালাচ্ছিল জাডারিয়া মিশো।
স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে এ দিক-সে দিক। কখন যে আবাসনের বাইরে বড় রাস্তায় চলে
এসেছে, খেয়াল নেই। হঠাৎই সাইরেনের আওয়াজ!
পিছু নিয়েছে পুলিশ। নীল আলোর বাতিটা জ্বলছে-নিভছে। আর তা থেকেই ভেসে আসছে সাইরেনের বিকট আওয়াজ। আরও জোরে জোরে প্যাডেল করতে শুরু করে জাডারিয়া। কিন্তু কত দূর আর পালানো যায় খুদে পায়ের জোরে। শেষমেশ ধরাই পড়ে গেল। ছোট্ট জাডারিয়ার হাতে পুলিশ ধরিয়ে দিল একটা জরিমানা-টিকিট। জোরে গাড়ি চালানোর শাস্তি।
পরে পুলিশ অফিসাররা জানালেন, কোনও এক অপরাধীর খোঁজে ফ্লোরিডার ওই অঞ্চলে এসেছিলেন। তখনই চোখে পড়ে জাডারিয়ার গাড়িটা। এক পুলিশকর্তা বললেন, “বেশ জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল ও। ধরতেও বেশ নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে আমাদের।” জাডারিয়া অবশ্য তেমন ভয় পায়নি। জোরে গাড়ি চালানো উচিত নয়, এটুকু বুঝিয়েই পুলিশ জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে। বেশি বকাবকি করেনি।
দূরে দাঁড়িয়ে ভাইঝির গাড়ি চালানো দেখছিলেন কিথ মিশো। সব কিছু দেখেশুনে তাঁর বেশ মজাই লাগে। তিনি এগিয়ে এসে পুলিশকে অনুরোধ করেন, জাডারিয়ার সঙ্গে তাঁদের ছবি তুলবেন। একবাক্যেই রাজি পুলিশ। অমনি নানা ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে পড়ে খুদে। কোনও ছবিতে পুলিশ টিকিট দিচ্ছে। কোনওটায় আবার জাডারিয়া জরিমানার টিকিট গম্ভীর হয়ে পড়ছে। আর একটায় তো বেশ কায়দা করে গাড়ির বনেটে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দু’বছরের দস্যি।
কিথই জানালেন, পুলিশ বললেই লোকে খারাপ ভাবে। কিন্তু ওদের উদ্যোগটা বেশ ভাল লেগেছিল তাঁর। তাই ছবি তুলেছিলেন। কিন্তু তখনও জানতেন না এর পর কী হতে চলেছে! ফেসবুকে দিয়ে দেন ছবিগুলো। আর তার পরই তা ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের গতিতে। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায় জাডারিয়া। এতটাই যে এর পর টিভিতে চলে আসে ছোট্ট মেয়েটির মুখ।
মা জুমেকিয়া মিশো ও কাকা কিথ মিশোর হাত ধরে টিভি চ্যানেলের স্টুডিওতে গিয়েছিল সে। মেয়েকে কি বকাঝকা করেছেন? জুমেকিয়া বললেন, “আমার তো এখনও ঘোর কাটছে না। জরিমানাটা দেওয়া হয়নি এখনও। দিতে হবে। কত যেন?”
“চার ডলার”, আধো আধো গলায় বলল খুদে।
>>>Fazlul Bari এর ফেসবুক থেকে
No comments