প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৭
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে
দাঁড়াবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এই প্রক্ষেপণ সঠিক হলে
প্রবৃদ্ধি হবে গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে
বাংলাদেশ গত এক দশকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গড়ে ৬ শতাংশের বেশি
প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ এবং তার আগের
অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। বুধবার
ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের 'গ্গ্নোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস বা
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা' রিপোর্টে বিশ্বের প্রতিটি দেশের অর্থনীতির
ভবিষ্যৎ নিয়ে অনুমান রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতি, এমনকি দক্ষিণ
এশিয়ার প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় ২০১৪ সালে বাড়বে বলা হলেও বাংলাদেশের
ক্ষেত্রে তা কমবে। এর প্রধান কারণ, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতায় উৎপাদন ও
রফতানি খাতে ধীরগতি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে আগামী ছয় মাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা না থাকলে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সমকালকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই প্রক্ষেপণ চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর পরের তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়, যার প্রতিফলন বিশ্বব্যাংকের পর্যালোচনায় আসেনি। আগামী ছয় মাসে পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতির ওপর চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে। আগামী ছয় মাসে যদি বিনিয়োগ বাড়ে, উদ্যোক্তাদের মধ্যে যদি অনিশ্চয়তা কেটে যায়, তাহলে একরকম হবে। অন্যদিকে, এখনকার চেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হলে ফলাফল অন্য রকম হবে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, বাংলাদেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, তাহলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনও কঠিন হবে। সমকালকে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিল্প ও সেবা খাত বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রফতানিভিত্তিক বিশেষত, তৈরি পোশাকশিল্প তাজরীন ও রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনার কারণে আগে থেকেই চাপে রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যোগ হয়েছে। সেবা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পরিবহন উপ-খাত থেকে। বাণিজ্য উপ-খাতও ক্ষতির শিকার হয়েছে। এসব বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক ওই প্রক্ষেপণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের নিরাপত্তা সমস্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা যোগ হয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের উৎপাদন ও রফতানি সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থা ফেরানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব মূল্যস্ফীতি ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপরও পড়েছে। এদিকে, দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ব অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি চলতি বছর বাড়বে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ধারণা, ২০১৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতির সার্বিক প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। ২০১৩ সালে দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ব অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৬ ও ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে আগামী ছয় মাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা না থাকলে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সমকালকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই প্রক্ষেপণ চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর পরের তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়, যার প্রতিফলন বিশ্বব্যাংকের পর্যালোচনায় আসেনি। আগামী ছয় মাসে পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতির ওপর চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে। আগামী ছয় মাসে যদি বিনিয়োগ বাড়ে, উদ্যোক্তাদের মধ্যে যদি অনিশ্চয়তা কেটে যায়, তাহলে একরকম হবে। অন্যদিকে, এখনকার চেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হলে ফলাফল অন্য রকম হবে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, বাংলাদেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, তাহলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনও কঠিন হবে। সমকালকে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিল্প ও সেবা খাত বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রফতানিভিত্তিক বিশেষত, তৈরি পোশাকশিল্প তাজরীন ও রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনার কারণে আগে থেকেই চাপে রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যোগ হয়েছে। সেবা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পরিবহন উপ-খাত থেকে। বাণিজ্য উপ-খাতও ক্ষতির শিকার হয়েছে। এসব বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক ওই প্রক্ষেপণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের নিরাপত্তা সমস্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা যোগ হয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের উৎপাদন ও রফতানি সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থা ফেরানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব মূল্যস্ফীতি ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপরও পড়েছে। এদিকে, দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ব অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি চলতি বছর বাড়বে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ধারণা, ২০১৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতির সার্বিক প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। ২০১৩ সালে দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ব অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৬ ও ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
No comments