আ'লীগের নারী নেত্রীদের জোর লবিং-তদবির by অমরেশ রায়
আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের
এমপি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য শতাধিক নারী
নেত্রী তদবির ও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। সিনিয়র নেতাদের বাসায়ও ধরনা দিচ্ছেন
অনেকেই। তফসিল ঘোষণার আগেই নারী এমপি পদে প্রার্থী মনোনয়নের কাজ শুরু করেছে
আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয়
বোর্ডের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা
নেওয়া শুরু হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ধানমণ্ডির
কার্যালয় থেকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। আগামী
রোববার বিকেল ৩টায় গণভবনে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। সংবিধানে তিন
মাসের মধ্যে নারী এমপি নির্বাচনের কথা থাকলেও ২৯ জানুয়ারি সংসদের প্রথম
অধিবেশন শুরুর আগেই এ নির্বাচনের কাজ শেষ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্পিকার ড. শিরীন
শারমিন চৌধুরীকে নারী এমপি নির্বাচিত করে তাকে প্রথম অধিবেশনেই আবারও স্পিকারের দায়িত্ব দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে নবম সংসদের দলীয় নারী এমপি ছাড়াও নেত্রীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিভিন্ন জেলার নারী নেত্রীরাও ঢাকায় এসেছেন। চালাচ্ছেন জোর তদবিরও। কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনেও তাদের ভিড় লেগেই আছে। দলের নীতিনির্ধারকদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন অনেকে। নবম সংসদের নারী এমপিদের কেউ কেউ আবারও দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। এর মধ্যে যারা গত পাঁচ বছরে বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় কিংবা সংসদ ও সংসদের বাইরে এবং নিজ এলাকায় দলীয় কর্মীদের আস্থাভাজন হতে পেরেছেন তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। বিতর্কিতরা মনোনয়ন পাবেন না। নতুনদের মধ্যে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবী মেধাবী নারীদের সংসদে আনতে চাইছেন।
মনোনয়ন দৌড়ে যারা রয়েছেন : আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার পত্নীরা এবার এমপি হতে পারেন। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর স্ত্রী নিলুফার জাফর উল্যাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা মনি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমের স্ত্রী শিলুর নাম আলোচনায় রয়েছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ মোশাররফের মেয়ে রীনা, সিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ মির্জার মেয়ে মুক্তি মির্জা, ফজিলাতুন নেছা বাপ্পি, নাজমা আক্তার, অপু উকিল, ফরিদুন নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, আশরাফুন নেসা মোশাররফ ও পিনু খান বেশ এগিয়ে রয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আবারও সংরক্ষিত কোটায় মনোনয়ন পাচ্ছেন_ এটা এক রকম নিশ্চিত। নারী এমপি নির্বাচিত হলে তিনি স্পিকার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। ন্যাপের আমেনা আহমেদ এবং গণতন্ত্রী পার্টির রুবী রহমানের আবারও নারী এমপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও নারী এমপি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বেবী মওদুদ, অধ্যক্ষা খাদিজা খাতুন শেফালী, আসমা জেরীন ঝুমু, আহমেদ নাজনীন সুলতানা নাজলী, এখিনব রাখাইন, অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, চেমন আরা তৈয়ব, জাহানারা বেগম, অধ্যাপিকা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, জোবেদা খাতুন পারুল, নূর আফরোজ আলী, নূরজাহান বেগম, পারভীন তালুকদার মায়া, ফরিদা রহমান, তহুরা আলী, সালেহা মোশাররফ, অধ্যাপিকা মাহফুজা রহমান মণ্ডল রিমা, শেফালী মমতাজ, ফরিদা আখতার হীরা, রওশন জাহান সাথী, শওকত আরা বেগম, শাহিদা তারেখ দীপ্তি, শাহিন মনোয়ারা হক, সাধনা হালদার, শাফিয়া খাতুন, সুলতানা বুলবুল, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, ড. হামিদা বানু শোভা, হাসিনা মান্নান, এন মাহফুজা খাতুন মতি শিউলী, অ্যাডভোকেট নূরজাহান মুক্তা, আখতার জাহান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আয়শা খানম, রোকেয়া রফিক বেবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, অভিনেত্রী শমী কায়সার, ভারতী নন্দী, জান্নাত আরা হেনরী, মমতাহিনা হাসনাত ঋতু, সাধনা দাশগুপ্তা, ফরিদা আখতার সাকী, অঞ্জলী সরকার, সাবিহা খাতুন, শাহীন লস্কর, মাহমুদা ক্রিক, নাসিমা মন্টু, অ্যাডভোকেট মোর্শেদা বেগম লিপি, কামরুন্নেছা মান্নান, সৈয়দা আফছানা, অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শাহজাহান, রিটা কে আফজাল, মর্জিনা বেগম, রিফাত আমিন, মিনারা আলম, ফাতেমা জোহরা রানী, অ্যাডভোকেট হালিমা খাতুন, জাহানারা বেগম, নূরজাহান বেগম, শিরীন আকতার মুন্না, আইভি মাসুদ, কামরুন্নেছা চৌধুরী লাভলী, নাসিমা আকতার রুবেল, দিলরুবা বেগম, ইসমত আরা সিদ্দিকী, কানিজ সুলতানা, নাহারিন মুন্নী, শিরীনা নাহার লিপি, জিন্নাত আরা রোজী, আদিবা আনজুম মিতা, আফরোজা মনছুর লিপি, ডেইজি সারোয়ার, ইয়াসমিন রাব্বী গোর্কি, শারমিন ওয়াদুদ নিপা, মারসাদ আক্তার খুকি, সেলিনা আখতার সেলু, হোসনে আরা বেগম, পারভিন হক সিকদার, মারুফা আখতার পপি, অ্যাডভোকেট মনজু নাজনীন, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, জোবায়দা হক অজন্তা প্রমুখ।
প্রথম দিনে অর্ধকোটি টাকার ফরম বিক্রি
সংরক্ষিত নারী এমপি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিতরণ ও জমাদানের প্রথম দিন গতকাল বুধবার ২১০টি ফরম বিক্রি হয়েছে। জমা পড়েছে দুটি। ফরম বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলবে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত। আগামী রোববার বিকেল ৩টায় গণভবনে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।
শারমিন চৌধুরীকে নারী এমপি নির্বাচিত করে তাকে প্রথম অধিবেশনেই আবারও স্পিকারের দায়িত্ব দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে নবম সংসদের দলীয় নারী এমপি ছাড়াও নেত্রীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিভিন্ন জেলার নারী নেত্রীরাও ঢাকায় এসেছেন। চালাচ্ছেন জোর তদবিরও। কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনেও তাদের ভিড় লেগেই আছে। দলের নীতিনির্ধারকদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন অনেকে। নবম সংসদের নারী এমপিদের কেউ কেউ আবারও দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। এর মধ্যে যারা গত পাঁচ বছরে বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় কিংবা সংসদ ও সংসদের বাইরে এবং নিজ এলাকায় দলীয় কর্মীদের আস্থাভাজন হতে পেরেছেন তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। বিতর্কিতরা মনোনয়ন পাবেন না। নতুনদের মধ্যে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবী মেধাবী নারীদের সংসদে আনতে চাইছেন।
মনোনয়ন দৌড়ে যারা রয়েছেন : আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার পত্নীরা এবার এমপি হতে পারেন। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর স্ত্রী নিলুফার জাফর উল্যাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা মনি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমের স্ত্রী শিলুর নাম আলোচনায় রয়েছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ মোশাররফের মেয়ে রীনা, সিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ মির্জার মেয়ে মুক্তি মির্জা, ফজিলাতুন নেছা বাপ্পি, নাজমা আক্তার, অপু উকিল, ফরিদুন নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, আশরাফুন নেসা মোশাররফ ও পিনু খান বেশ এগিয়ে রয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আবারও সংরক্ষিত কোটায় মনোনয়ন পাচ্ছেন_ এটা এক রকম নিশ্চিত। নারী এমপি নির্বাচিত হলে তিনি স্পিকার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। ন্যাপের আমেনা আহমেদ এবং গণতন্ত্রী পার্টির রুবী রহমানের আবারও নারী এমপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও নারী এমপি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বেবী মওদুদ, অধ্যক্ষা খাদিজা খাতুন শেফালী, আসমা জেরীন ঝুমু, আহমেদ নাজনীন সুলতানা নাজলী, এখিনব রাখাইন, অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, চেমন আরা তৈয়ব, জাহানারা বেগম, অধ্যাপিকা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, জোবেদা খাতুন পারুল, নূর আফরোজ আলী, নূরজাহান বেগম, পারভীন তালুকদার মায়া, ফরিদা রহমান, তহুরা আলী, সালেহা মোশাররফ, অধ্যাপিকা মাহফুজা রহমান মণ্ডল রিমা, শেফালী মমতাজ, ফরিদা আখতার হীরা, রওশন জাহান সাথী, শওকত আরা বেগম, শাহিদা তারেখ দীপ্তি, শাহিন মনোয়ারা হক, সাধনা হালদার, শাফিয়া খাতুন, সুলতানা বুলবুল, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, ড. হামিদা বানু শোভা, হাসিনা মান্নান, এন মাহফুজা খাতুন মতি শিউলী, অ্যাডভোকেট নূরজাহান মুক্তা, আখতার জাহান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আয়শা খানম, রোকেয়া রফিক বেবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, অভিনেত্রী শমী কায়সার, ভারতী নন্দী, জান্নাত আরা হেনরী, মমতাহিনা হাসনাত ঋতু, সাধনা দাশগুপ্তা, ফরিদা আখতার সাকী, অঞ্জলী সরকার, সাবিহা খাতুন, শাহীন লস্কর, মাহমুদা ক্রিক, নাসিমা মন্টু, অ্যাডভোকেট মোর্শেদা বেগম লিপি, কামরুন্নেছা মান্নান, সৈয়দা আফছানা, অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শাহজাহান, রিটা কে আফজাল, মর্জিনা বেগম, রিফাত আমিন, মিনারা আলম, ফাতেমা জোহরা রানী, অ্যাডভোকেট হালিমা খাতুন, জাহানারা বেগম, নূরজাহান বেগম, শিরীন আকতার মুন্না, আইভি মাসুদ, কামরুন্নেছা চৌধুরী লাভলী, নাসিমা আকতার রুবেল, দিলরুবা বেগম, ইসমত আরা সিদ্দিকী, কানিজ সুলতানা, নাহারিন মুন্নী, শিরীনা নাহার লিপি, জিন্নাত আরা রোজী, আদিবা আনজুম মিতা, আফরোজা মনছুর লিপি, ডেইজি সারোয়ার, ইয়াসমিন রাব্বী গোর্কি, শারমিন ওয়াদুদ নিপা, মারসাদ আক্তার খুকি, সেলিনা আখতার সেলু, হোসনে আরা বেগম, পারভিন হক সিকদার, মারুফা আখতার পপি, অ্যাডভোকেট মনজু নাজনীন, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, জোবায়দা হক অজন্তা প্রমুখ।
প্রথম দিনে অর্ধকোটি টাকার ফরম বিক্রি
সংরক্ষিত নারী এমপি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিতরণ ও জমাদানের প্রথম দিন গতকাল বুধবার ২১০টি ফরম বিক্রি হয়েছে। জমা পড়েছে দুটি। ফরম বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলবে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত। আগামী রোববার বিকেল ৩টায় গণভবনে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।
No comments