ওষুধের বিষক্রিয়ায় সুনন্দার মৃত্যু
ওষুধের বিষক্রিয়ায় ভারতের মানবসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুশকারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মরদেহের ফরেনসিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকেরা বলছেন, অসাবধানতাবশত মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন নয়, বরং সচেতনভাবে সুনির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োগ করার কারণেই সুনন্দার মৃত্যু হয়েছে। ফরেনসিক প্রতিবেদনের পর প্রশ্ন উঠেছে, সুনন্দা কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে? এ বিষয়ে চিকিত্সকেরা কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তাঁরা বলেন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কি না, সেটি পুলিশকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চিকিত্সা গবেষণা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) গত সোমবার ওই প্রতিবেদন পেশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত শনিবার সুনন্দার লাশের ময়নাতদন্ত হয়।
আর ফরেনসিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে উপবিভাগীয় হাকিম (এসডিএম) অলক শর্মার কাছে। তিনি ফৌজদারি বিধির আওতায় ঘটনাটির তদন্ত করছেন। আরেকটি সূত্র জানায়, সুনন্দার শরীর, হূিপণ্ড, যকৃত্ ও অন্ত্রের ওপর পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি ফরেনসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষক্রিয়ার কারণেই সুনন্দার মৃত্যু হয়েছে। এটি মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মতো কোনো দুর্ঘটনা নয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সুনন্দার মৃত্যুরহস্য তদন্তে নতুন মোড় নিতে পারে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, দিল্লির যে পাঁচ তারকা হোটেল থেকে সুনন্দাকে গত শুক্রবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, সেখানকার সব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা হবে। ফরেনসিক প্রতিবেদনের বিস্তারিত আপাতত তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হবে না বলে জানান এসডিএম। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে কোনো এক সময় সুনন্দার মৃত্যু হয়। তাঁর ‘শরীরের নির্দিষ্ট কয়েকটি অংশে’ জখমের চিহ্ন ছিল। তবে সংখ্যা নয়, বরং এসব জখম প্রাণঘাতী কি না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সুনন্দার রহস্যজনক মৃত্যুর জন্য দাম্পত্য কলহকে দায়ী করা হয়। পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারারের সঙ্গে শশীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে খবর বের হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments