রাজনৈতিক মামলা- ফেরারি লাখো মানুষ
হরতাল-অবরোধ আর রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে
সারা দেশে দায়ের করা হয়েছে শ’ শ’ মামলা। রাজনৈতিক মামলায় আসামি হয়েছেন
অন্তত আট লাখ মানুষ। তাদের কেউ কেউ জামিন পেয়েছেন।
তবে
অনেকে গ্রেপ্তার এড়াতে কাটাচ্ছেন ফেরারি জীবন। সামপ্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায়
দায়ের করা মামলার কারণে অনেক এলাকায় গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশুরাও থাকতে
পারছেন না নিজ বাড়িঘরে। নিরাপদে থাকতে তারা বাড়ি ছেড়ে বসবাস করছেন অন্যত্র।
পালিয়ে থাকা এসব মানুষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।
অভিযোগ আসছে নারী নির্যাতনেরও। রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে অনেক
সংখ্যালঘু পরিবারও। শ’ শ’ মামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক আসামি করায় বিরোধীপক্ষের
লোকজনকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠছে পুলিশের
বিরুদ্ধে। বিরোধী জোটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে এ পর্যন্ত রাজনৈতিক
মামলায় আসামি আট লাখের মতো। এসব মামলায় অন্তত অর্ধ লাখ নেতাকর্মী কারাগারে
আটক আছেন। বিএনপির দাবি গত তিন মাসে ৪৫৫১টি মামলা হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার জনকে। এদিকে কয়েকটি
জেলায় মামলা ও পুলিশি হয়রানির কারণে স্বাভাবিক জীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
যদিও সংশ্লিষ্ট জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করেছে সহিংসতা ও
রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং প্রকৃত
অপরাধীদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার যশোর থেকে জানান, নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে যশোরে বিএনপি-জামায়াতসহ জোটভুক্ত শরিক দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগ পুলিশি আতঙ্কে ঘরছাড়া। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০০ নেতাকর্মী কারাগারে আটক আছেন। গাড়ি পোড়ানো, সড়ক অবরোধ, যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, পুলিশি কাজে বাধা, বিজিবির গাড়িতে হামলা, বিআরটিসির বাসে অগ্নিসংযোগ, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা, ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন, ভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, মারপিট, স্কুলে অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সংখ্যালঘু নারীদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণসহ হাজারো অভিযোগে যশোরের বিভিন্ন থানায় গত ৬ মাসে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নামে ৫৮২টি মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর বেশির ভাগই রাজনৈতিক বিবেচনায় করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপি-জামায়াতের। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার নেতাকর্মীকে। কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসব মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মনিরামপুর থানায়। এই থানায় গত ৬ মাসে মোট ২৩৭টি মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গত ৫ তারিখের নির্বাচনের দিনই মামলা হয়েছে ৬১টি। এসব মামলায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এই থানায় আরও ১০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি জামায়াতের প্রায় ২ হাজার কর্মী-সমর্থককে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। যাদের অনেকে ইতিমধ্যে জামিনে বের হয়েছেন। কিন্তু ফের পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে তারাও ঘরছাড়া। গত ৬ মাসে বিরোধী দলের সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রাম চলাকালে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ৬৫টি, মনিরামপুর থানায় ২৩৭টি, কেশবপুর থানায় ৩২টি, অভয়নগর থানায় ৩৯টি, বাঘারপাড়া থানায় ৩৫টি, চৌগাছায় ৪১টি, ঝিকরগাছায় ৪৮টি, শার্শায় ৪৭টি ও বেনাপোল পোর্ট থানায় ৩৮টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দায়েরকৃত এসব মামলার অধিকাংশের বাদী পুলিশ বা সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৬ মাসে যশোরের বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের প্রায় ২০০০ নেতাকর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
অভয়নগরের চাপাতলার মালোপাড়া আর মনিরামপুরের হাজরাঈলের ঋষিপাড়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ দিনে এই দুই উপজেলার কমপক্ষে ৫০০০ মানুষ ঘরছাড়া। পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র স্বীকার করেছেন চাপাতলা মালোপাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলায় ৩৯ জন এজাহারনামীয় আসামির পাশাপাশি অজ্ঞাত ২শ’ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ওই মামলার এজাহারভুক্ত মাত্র ২ জন আসামিকে আটক করেছে। অপরদিকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করেছে আরও ৫৪ জনকে। তাদের মধ্যে বাহাদুর নামে একজন চা বিক্রেতাও রয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহীতে সামপ্রতিক ঘটনায় তিন সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে নগরীর বিভিন্ন থানায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া, নির্বাচনকালীন সহিংসতায় রাজশাহী জেলার বাঘা, পবা এবং নগরীর মতিহার, শাহ্মখদম থানায় পৃথক ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও গ্রেপ্তার অভিযানে আতঙ্কে রয়েছে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। অনেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বাঘা থানার সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক বলেন, নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচনের পরদিন বাঘার মানিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশীপুর ও গঙ্গারামপুরের মহসীন আলী, রমজান আলী, মজি সরকার, এরশাদ আলী, রেজাউল হক, মতিউর রহমান মতি, কুরবান আলী, রাহেদ আলীসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর শতাধিক আম ও মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ কর্মীরা এ হামলা চালায়। এরপরও পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার না করে নিরীহ গ্রামবাসীদের ধরতে গ্রামে গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাসিন্দারা এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এখনও তারা এলাকায় ফিরতে পারছেন না। তাদের নেতাকর্মীরা জামিনে মুক্ত হয়ে এসেও স্বস্তিতে থাকতে পারছে না। তাদের অন্য কোন মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর মতিহার, বোয়ালিয়া, শাহমখদুম ও রাজপাড়া থানায় শুধু গত ডিসেম্বর মাসেই ১০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার আছে ১০৮ জন। এজাহারভুক্ত আসামিসহ ১৮ দলের দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর লোকনাথ স্কুলের মার্কেট এলাকায় ১৮ দলের মিছিল শেষে পুলিশের একটি ভ্যানে ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে গুরুতর আহত হয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র মারা যান। ওই রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১৮ দলের চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে ১৮ দলের শীর্ষ নেতারা গা-ঢাকা দেন।
গত সোমবার রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। গতকাল মঙ্গলবার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কামরুল মনির আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর, সদর, রামগতি ও কমলনগরসহ ৫টি উপজেলায় গত তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১০৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭৮টি ও জামায়াতের ২৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামিসহ প্রায় ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ভয় ও গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী বলেন, গত তিন মাসে পুলিশ, র্যাব ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ৭৮টি মামলা করা হয়েছে।
আসামি করা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার নেতাকর্মীকে। গুম খুনসহ এসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা কৌশল করে একটু সরে আছেন। জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ জানান, গত তিন মাসে আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা-হামলা দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। আন্দোলন চলবে। পুলিশ সুপার মো. আবুল ফয়েজ বলেন, নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। বেশ কয়েজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় রাজনৈতিক মামলার আসামি প্রায় ১ লাখ মানুষ। তার মধ্যে আসামি হয়েছেন বিএনপি, জামায়াত, শিবির, নেতাকর্মীরা। আর সাত উপজেলায় মামলা হয়েছে অন্তত ১ শতাধিক। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার হাজারো মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারাগারে আছেন ২ শতাধিক। গত বছর গাইবান্ধায় রাজনৈতিক সহিংসতা হয় ব্যাপক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে জামায়াত বিএনপি অধ্যুষিত পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। রাজনৈতিক সহিংসতায় পলাশবাড়ীতে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তা কেটে ফেলা, ঘরবাড়ি ও মোটরযানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা হয়েছে সর্বাধিক।
২৮শে ফেব্রুয়ারি সাইদীর রায় ঘোষণার পর গাইবান্ধার জামায়াত শিবির অধ্যুষিত এলাকা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তী পর্যায়ে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্তরা বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৩২টি মামলা করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় ১২০০ জনকে। আর অজ্ঞাত দেখানো হয় ৬০ হাজার মানুষকে। এই মামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২শ’ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নামও আছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বলেন, পুলিশের হাতে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের জামায়াত-শিবির বানিয়ে গ্রেপ্তার করার ষড়যন্ত্র আওযামী লীগ কোনভাবেই মেনে নেবে না। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নামে পুলিশ অযথা নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে লাভবান হচ্ছেন। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে না। এ অবস্থায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন সুন্দরঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ । ধরপাকড়ের ভয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উপস্থিতি কমে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জে ১৫টি, সাদুল্লাপুরে ১১টি, সাঘাটায় ১৪টি, ফুলছড়িসহ সাত উপজেলায় কমপক্ষে আড়াই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিএনপি সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবু বলেন । তিনি বলেন, মামলার কারণে দুই উপজেলার ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া । তবে কেউ কেউ এখনও কারাগারে আছেন, কেউ আদালতে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
No comments