‘দৃশ্যত বাংলাদেশের নেতারা গণতন্ত্রচর্চায় আগ্রহী নন’
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের পটভূমিতে বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি সাহায্য দেয়ার বিষয়ে বৃটেন সতর্ক থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকান।
তবে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এনজিওর মাধ্যমে যেসব প্রকল্পে কাজ হচ্ছে, তা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে তিনি এ তথ্য জানান।
হাউস অব কমন্সে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অ্যালান ডানকান। লন্ডনের এনফিল্ড এলাকার এমপি নিক ডি বোয়া কমন্স সভায় জানতে চান, সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে কী প্রভাব পড়বে বলে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মনে করেন? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃটিশ সরকার সতর্কতার সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনো প্রকল্পও বাতিল হয়নি।
সম্পূরক প্রশ্নে নিক ডি বোয়া জানতে চান, মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে একমত হবেন কি না যে, তাঁর মন্ত্রণালয়ের ব্যয় করা অর্থের অনেকটাই সদ্ব্যবহার হলেও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তা কার্যত অপচয় হয়েছে। কেননা, দৃশ্যত দেশটির নেতারা গণতন্ত্রচর্চায় আগ্রহী নন। জবাবে ডানকান বলেন, এ কথা সত্য, বাংলাদেশের রাজনীতি এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে, যেটা প্রত্যাশিত নয়। তবে আমাদের অর্থের অপচয় হয়েছে এমন নয়। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকেই অর্থ দিইনি। পার্লামেন্টারি কমিটিগুলো বিশেষ করে সরকারি ব্যয়সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে কাজ করেছি। যার উদ্দেশ্য ছিল সরকারের কাজকর্মে পার্লামেন্টের নজরদারির ব্যবস্থা জোরদার করা। আর এ কাজটি এনজিওর মাধ্যমে করা হয়েছে।
No comments