সুবিচারে রাষ্ট্রকেই পদক্ষেপ নিতে হবে
সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলায়
খালাস পাওয়া একমাত্র অভিযুক্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য
অমিয় ঘোষের ‘সুবিচারে’ রাষ্ট্রকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিহত ফেলানীর পরিবারের কিছু করার নেই। কারণ, বিএসএফের বিশেষ আদালতের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই।
তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রায়টি এখন বিএসএফের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তই এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
শুক্রবার এক প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় হাইকমিশন রায়ের বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে।
এদিকে ফেলানীর বাবা-মায়ের সুবিচার পাওয়ার আশা পুরণ করতে এখন রাষ্ট্রকেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে সরকারের মন্ত্রী এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
শনিবার এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানা উদ্বোধন করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ফেলানী হত্যার ঘটনায় যে সুবিচার আশা করা হয়েছিল, তা পাওয়া যায়নি। বিএসএফ আদালতের রায়ের বিস্তারিত জেনে সরকার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেবে।
এ বিষয়ে শনিবার মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ফেলানী হত্যা মামলার যে রায়টি হয়েছে, এটা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত। কেননা, রায়টি সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এটি বিচারের নামে তামাশা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়টি উত্থাপন করতে পারে। ভারতের কাছে গুরুত্ব সহকারে আমরা কতোটা মর্মাহত হয়েছি. এটি যে ন্যায়বিচার হয়নি, আমাদের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে সেটি তুলে ধরতে পারে।
এদিকে হোটেল রূপসী বাংলায় আইন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শিশু আইন ২০১৩’ শীর্ষক কর্মশালায় ফেলানী হত্যার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিধান থাকলে সে ব্যবস্থা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল আজিজ এনডিসি পিএসসি বলেন, বিচারের রায় আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে শুক্রবার রায় দেন বিএসএফের একটি আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই মুক্তি দেওয়া হয় বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদস্য কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে।
গত ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহার জেলার সোনারি বিএসএফ ক্যাম্পে অবস্থিত সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। শুক্রবার এ বিচার কার্য শেষে রায় দেওয়া হয়। পাঁচজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (কমিউনিকেশনস) সি পি ত্রিবেদী।
আদালতটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর্ট মার্শালের সমতুল্য। এখন চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য রায়টির কপি যাবে বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে ।
অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিলো। ফেলানী হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ভারতে গিয়েছিলেন তার বাবা ও মামা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করেন ভারতের ১৮১ ব্যাটেলিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।
তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রায়টি এখন বিএসএফের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তই এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
শুক্রবার এক প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় হাইকমিশন রায়ের বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে।
এদিকে ফেলানীর বাবা-মায়ের সুবিচার পাওয়ার আশা পুরণ করতে এখন রাষ্ট্রকেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে সরকারের মন্ত্রী এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
শনিবার এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানা উদ্বোধন করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ফেলানী হত্যার ঘটনায় যে সুবিচার আশা করা হয়েছিল, তা পাওয়া যায়নি। বিএসএফ আদালতের রায়ের বিস্তারিত জেনে সরকার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেবে।
এ বিষয়ে শনিবার মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ফেলানী হত্যা মামলার যে রায়টি হয়েছে, এটা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত। কেননা, রায়টি সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এটি বিচারের নামে তামাশা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়টি উত্থাপন করতে পারে। ভারতের কাছে গুরুত্ব সহকারে আমরা কতোটা মর্মাহত হয়েছি. এটি যে ন্যায়বিচার হয়নি, আমাদের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে সেটি তুলে ধরতে পারে।
এদিকে হোটেল রূপসী বাংলায় আইন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শিশু আইন ২০১৩’ শীর্ষক কর্মশালায় ফেলানী হত্যার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিধান থাকলে সে ব্যবস্থা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল আজিজ এনডিসি পিএসসি বলেন, বিচারের রায় আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে শুক্রবার রায় দেন বিএসএফের একটি আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই মুক্তি দেওয়া হয় বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদস্য কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে।
গত ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহার জেলার সোনারি বিএসএফ ক্যাম্পে অবস্থিত সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। শুক্রবার এ বিচার কার্য শেষে রায় দেওয়া হয়। পাঁচজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (কমিউনিকেশনস) সি পি ত্রিবেদী।
আদালতটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর্ট মার্শালের সমতুল্য। এখন চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য রায়টির কপি যাবে বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে ।
অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিলো। ফেলানী হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ভারতে গিয়েছিলেন তার বাবা ও মামা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করেন ভারতের ১৮১ ব্যাটেলিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।
No comments