হাসনাতকে মি. ওয়ান্ডারফুল ডাকতেন ডায়ানা
পাকিস্তানি প্রেমিক চিকিৎসক হাসনাত খানের মোহে প্রেমান্ধ ছিলেন বিশ্বনন্দিত ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা। এক সময়ের বহুল আলোচিত এ গোপন প্রেম কাহিনীটি যেমন কারও অজানা নয়, তেমনি চমকের যেন শেষ নেই। সম্প্রতি আরও নতুন নতুন তথ্য ডানা মেলছেÑ বিশ্ব পুরুষের স্বপ্নকন্যা ছিলেন যে নারী তিনিই নাকি তার ভিনদেশী প্রেমিকপুরুষ হাসনাতের গুণমুগ্ধতায় তাকে ‘মি. ওয়ান্ডারফুল বয়’ ডাকতেন। ডায়ানা ও হার্ট সার্জন হাসনাত খানের গোপন প্রেমকাহিনী নিয়ে ২০০১ সালে রচিত কেট লের ‘ডায়ানা : হার লাস্ট লাভ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ডায়ানা চলচ্চিত্রে এমনটাই দেখানো হয়েছে। এবার সেই বই অবলম্বনে ডায়ানার মৃত্যুর ১৭ বছর পর নির্মিত হল বহুল আলোচিত ‘ডায়ানা’ চলচ্চিত্রটি । ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ প্রিন্সেস ডায়ানা (প্রিন্স চার্লস যাকে বলতেন ‘নিষ্কণ্টক গোলাপ’) ১৯৯৭ সালে ৩১ আগস্ট প্যারিসে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় যবনিকাপাত ঘটে এই রাজবধূর। গল্প এখানেই শেষ নয়।
তার মৃত্যুর বেশ ক’টা বছর পর জানা যায় হার্ট সার্জন হাসনাত খানের সঙ্গে তার গোপন প্রণয়ের কথা। ভালোবেসে গভীর আকাক্সক্ষায় ডায়ানা জনাব খানকে ডাকতেন ‘মি. ওয়ান্ডারফুল’ বলে। ডায়ানার বন্ধুরা জানায়, ডায়ানা তার ‘মি. ওয়ান্ডারফুল’কে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছরের এই প্রেমের বন্ধন ডায়ানার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগেই ভেঙে যায়। ধারণা করা হয়ে থাকে, ডায়ানা দোদি আল ফায়েদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন কেবল জনাব খানকে ঈর্ষান্বিত করার উদ্দেশ্যে। প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনার সময় এই ফায়েদই ছিলেন ডায়ানার সঙ্গে। অন্যদিকে ৫৪ বছর বয়সী জনাব খান প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি এই ছবিটি কখনও দেখবেন না। তার অভিযোগ, ছবিটির দৃশ্যপটসমূহ ‘সম্পূর্ণরূপে ভুল’ এবং ‘নিদারুণ মিথ্যা’ কাহিনীর ভিত্তিতে নির্মিত। ডেইলি মেইল।
No comments