এবার টার্গেট নাকি আমি: খালেদা by মান্নান মারুফ ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল
সারাজীবন আন্দোলন করেছি বলে ক্ষমতাসীনদের
স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন-এবার টার্গেট নাকি
আমি। কিন্তু এসব হুমকিতে ভয় পাই না। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরা বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোকসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে
উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, “আপনার মনে রাখা উচিত-লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ
হত্যা করেছেন। গত ১ মাসে ১৮০ জনকে আপনার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। আপনি
বলেছিলেন এক লাশের পরিবর্তে ১০ লাশ চান। আপনাকে হুকুমের আসামি করা হবে,
ছাড়া হবে না।”
“বিচারপতিদের দিয়ে নিজের মামলা গুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাতে পার পাবেন না” বলেও মন্তব্য করেন খালেদা।
তিনি বলেন, “শাহবাগে নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কটু কথা বলা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু হরতাল দিয়ে সরকার বাধা দিচ্ছে। এতে যদি দেশে কোনো অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি হয় তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
“হরতাল হয়েছে আরো হবে” উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “হরতাল যদি না চান তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিন। আমরা বলেছি ক্ষমতা ছাড়েন, তাহলে হরতাল-টরতাল কিছু হবে না।”
তিনি বলেন, “তারা লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল তারপরও আমরা মামলা করিনি। কিন্তু এই সরকার মানুষ দেখে ভয় পায়। তাই ১৮ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে গ্রেফতার করছে। তাদের জামিনও দেওয়া হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “মিডিয়ার ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে এসেছেন। তারা সবকিছু তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সরকার তা দেখাতে দেয় না। সরকারের বিরুদ্ধে যেখানে কথা আছে তা দেখাতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “তারা একবার বাকশাল করেছিল আবার করতে চায়। তারা চায় একটি দল থাকবে। তাই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে আর বিএনপিকে ভেঙে দেবে। একদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আবার ক্ষমতায় এসে লুটপাট করতে চায়। এজন্যেই আমরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছি। যে দাবি একদিন তারাই করেছিল। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জালাও পোড়াও করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ১৯৮৬ সালে জামায়াতকে নিয়ে এরশাদের নির্বাচনে গিয়েছিল। এখন জামায়াত যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেছে।”
খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ দু’মুখো সাপের চেয়ে খারাপ। তাদের বিশ্বাস করা যায় না। তারা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার করতে পারদর্শী।”
বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “আপিল বিভাগেও একজন বিতর্কিত বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আইনজীবীরা প্রতিবাদ করছে।”
তিনি বলেন, “গত ৪ মার্চ এখানে ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসেছি। এ সরকার জালিম, খুনি, রক্তপিপাসু। এদের হাতে বাংলার মানুষ নিরাপদ নয়।”
বিএনপি প্রধান বলেন, “যেখানে হত্যা হচ্ছে সেখানেই যাচ্ছি। কিন্তু এ সরকার খোঁজখবর নিচ্ছে না। পোস্ট মর্টেম পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। তারা চায় না রেকর্ড থাক। কিন্তু রেকর্ড আছে, থাকবে। বিদেশিরাও এসব হত্যার খবর জানে। তাই বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশ এখন এক কঠিন সময় পার করছে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনে বিদেশে হাতে সব কিছু তুলে দেবে।”
আওয়ামী লীগ আমলে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “তারা হিন্দুদের মন্দির, খ্রীস্টানদের গীর্জা, বৌদ্ধ মন্দির সব কিছুতে হামলা করে। মন্দিরের জিসিনপত্রও লুটে নিয়ে যায়। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এর আগে সরকারের সমর্থক আলেমরা দু’টি সমাবেশ করেছে। তাতে বাধা দেয়নি। এবার হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে হরতাল দেয়া হচ্ছে। এতে দেশে যদি কোনো অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে সরকারকেই সব দায়িত্ব নিতে হবে।”
নতুন প্রজন্মকে বই পড়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস দুর্নীতির ইতিহাস জানার আহবান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ হলো শুধু খাই খাই, যা পাই তা খাই। উন্নয়নের সব টাকা মন্ত্রী এমপিদের পকেটে। শুনেছি তারা বিদেশে বাড়ি ঘর করে রেখেছে। অনেকের পকেটে বিমানের টিকিটও আছে। জনগণ ধাওয়া করলে পালিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের পালাতে দেওয়া হবে না। স্বাধীনতার পরে যত সাহায্য এসেছে সব লুটে খেয়েছে। সেজন্য ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিলেন তলাবিহিন ঝুড়ি। এই সরকার এখন ডুবন্ত নৌকা। জনবিচ্ছিন্ন এই সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই ।”
তিনি বলেন, “আমি সব পুলিশকে দায়ী করবো না। কিছু দলীয় ও বিশেষ জেলার কিছু পুলিশ অন্যায়ভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। আমি কারও চাকুরি খাব না। তবে যারা অন্যায়ভাবে গুলি চালাবেন তাদের বিচার করা হবে।”
তিনি পুলিশকে আর গুলি না চালানোর আহবান জানান।
এ সময় খালেদা জিয়া যাদের অর্থ সহায়তা দেন তারা হলেন- হরিরামপুরের ইকবাল হোসেন তুহিন, আগৈরবাও গ্রামের মাহমুদুর রহমান, সোনোগাজিপুরের রবিউল ইসলাম, শিবপুরের শাহীন আলম, খানপুরের সাইফুল্লাহ, মনিপুরের আনিসুর রহমান, পুরান সাতক্ষীরার আব্দুস সালাম, আগৈইরাপুরের মাহবুবুর রহমান, দেবহাটার আলী মোস্তফা, কামরাঙ্গী গ্রামের দুই সহোদর আরিফ বিল্লা ও রুহুল আমিন এবং পাপুর গ্রামের শামছুর রহমান।
“বিচারপতিদের দিয়ে নিজের মামলা গুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাতে পার পাবেন না” বলেও মন্তব্য করেন খালেদা।
তিনি বলেন, “শাহবাগে নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কটু কথা বলা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু হরতাল দিয়ে সরকার বাধা দিচ্ছে। এতে যদি দেশে কোনো অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি হয় তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
“হরতাল হয়েছে আরো হবে” উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “হরতাল যদি না চান তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিন। আমরা বলেছি ক্ষমতা ছাড়েন, তাহলে হরতাল-টরতাল কিছু হবে না।”
তিনি বলেন, “তারা লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল তারপরও আমরা মামলা করিনি। কিন্তু এই সরকার মানুষ দেখে ভয় পায়। তাই ১৮ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে গ্রেফতার করছে। তাদের জামিনও দেওয়া হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “মিডিয়ার ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে এসেছেন। তারা সবকিছু তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সরকার তা দেখাতে দেয় না। সরকারের বিরুদ্ধে যেখানে কথা আছে তা দেখাতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “তারা একবার বাকশাল করেছিল আবার করতে চায়। তারা চায় একটি দল থাকবে। তাই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে আর বিএনপিকে ভেঙে দেবে। একদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আবার ক্ষমতায় এসে লুটপাট করতে চায়। এজন্যেই আমরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছি। যে দাবি একদিন তারাই করেছিল। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জালাও পোড়াও করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ১৯৮৬ সালে জামায়াতকে নিয়ে এরশাদের নির্বাচনে গিয়েছিল। এখন জামায়াত যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেছে।”
খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ দু’মুখো সাপের চেয়ে খারাপ। তাদের বিশ্বাস করা যায় না। তারা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার করতে পারদর্শী।”
বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “আপিল বিভাগেও একজন বিতর্কিত বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আইনজীবীরা প্রতিবাদ করছে।”
তিনি বলেন, “গত ৪ মার্চ এখানে ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসেছি। এ সরকার জালিম, খুনি, রক্তপিপাসু। এদের হাতে বাংলার মানুষ নিরাপদ নয়।”
বিএনপি প্রধান বলেন, “যেখানে হত্যা হচ্ছে সেখানেই যাচ্ছি। কিন্তু এ সরকার খোঁজখবর নিচ্ছে না। পোস্ট মর্টেম পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। তারা চায় না রেকর্ড থাক। কিন্তু রেকর্ড আছে, থাকবে। বিদেশিরাও এসব হত্যার খবর জানে। তাই বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশ এখন এক কঠিন সময় পার করছে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনে বিদেশে হাতে সব কিছু তুলে দেবে।”
আওয়ামী লীগ আমলে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “তারা হিন্দুদের মন্দির, খ্রীস্টানদের গীর্জা, বৌদ্ধ মন্দির সব কিছুতে হামলা করে। মন্দিরের জিসিনপত্রও লুটে নিয়ে যায়। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এর আগে সরকারের সমর্থক আলেমরা দু’টি সমাবেশ করেছে। তাতে বাধা দেয়নি। এবার হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে হরতাল দেয়া হচ্ছে। এতে দেশে যদি কোনো অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে সরকারকেই সব দায়িত্ব নিতে হবে।”
নতুন প্রজন্মকে বই পড়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস দুর্নীতির ইতিহাস জানার আহবান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ হলো শুধু খাই খাই, যা পাই তা খাই। উন্নয়নের সব টাকা মন্ত্রী এমপিদের পকেটে। শুনেছি তারা বিদেশে বাড়ি ঘর করে রেখেছে। অনেকের পকেটে বিমানের টিকিটও আছে। জনগণ ধাওয়া করলে পালিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের পালাতে দেওয়া হবে না। স্বাধীনতার পরে যত সাহায্য এসেছে সব লুটে খেয়েছে। সেজন্য ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিলেন তলাবিহিন ঝুড়ি। এই সরকার এখন ডুবন্ত নৌকা। জনবিচ্ছিন্ন এই সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই ।”
তিনি বলেন, “আমি সব পুলিশকে দায়ী করবো না। কিছু দলীয় ও বিশেষ জেলার কিছু পুলিশ অন্যায়ভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। আমি কারও চাকুরি খাব না। তবে যারা অন্যায়ভাবে গুলি চালাবেন তাদের বিচার করা হবে।”
তিনি পুলিশকে আর গুলি না চালানোর আহবান জানান।
এ সময় খালেদা জিয়া যাদের অর্থ সহায়তা দেন তারা হলেন- হরিরামপুরের ইকবাল হোসেন তুহিন, আগৈরবাও গ্রামের মাহমুদুর রহমান, সোনোগাজিপুরের রবিউল ইসলাম, শিবপুরের শাহীন আলম, খানপুরের সাইফুল্লাহ, মনিপুরের আনিসুর রহমান, পুরান সাতক্ষীরার আব্দুস সালাম, আগৈইরাপুরের মাহবুবুর রহমান, দেবহাটার আলী মোস্তফা, কামরাঙ্গী গ্রামের দুই সহোদর আরিফ বিল্লা ও রুহুল আমিন এবং পাপুর গ্রামের শামছুর রহমান।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল
ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন
চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর
রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, চট্টগ্রাম মহানগর
জামায়াতের আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম এমপি প্রমুখ।
No comments