লংমার্চে সিলেটের ৫ শতাধিক গাড়ি, খরচ গোপন উৎস থেকে! by সাব্বির আহমদ
হেফাজতে ইসলামের ডাকা ৬ এপ্রিলের লংমার্চে
যোগ দিতে সিলেট থেকে পাঁচশতাধিক গাড়ির বহর ঢাকার যাবার সব প্রস্তুতি
সম্পন্ন করেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে জরুরি ঔষধপত্র প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সহ
আরও অনেক কিছু। এতো আয়োজনের পেছনে খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
কিন্তু
এ টাকার উৎস কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা দাবি করেছেন নিজেরাই অর্থের
সংস্থান করেছেন তারা। তবে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বলছে অতীতে কোন
কমর্সূচিতে কখনো তাদের এতো টাকা খরচ করতে দেখা যায়নি।
উদ্যোক্তাদের অনেকেই নাকি জমি বিক্রি করে ঢাকা যাওয়ার অর্থের সংস্থান করছেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্রেক হয়েছে সন্দেহের।
এদিকে লংমার্চে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা নিখোঁজ বা গ্রেফতার অথবা অন্য কোন সমস্যায় পড়লে কি করতে হবে তাও বাতলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দেওয়া হচ্ছে বিশেষ মোবাইল ফোন নম্বর।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. রেজাউল করীম বাংলানিউজকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘পুলিশও খুঁজে পাচ্ছে না তাদের এতো অর্থের উৎস কোথায়? তাদের মিছিল প্রস্তুতি সার্বক্ষণিক পুলিশী নজরদারির মধ্যে রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোন নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।’’
হেফাজতে ইসলাম সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গণজমায়েত ও জনসভার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। পরে রাত ১০টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান থেকে গাড়ি বহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন লংমার্চকারীরা।
ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিম, মিডিয়া সেলসহ সার্বিক নিরাপত্তায় ৩১৩ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক ‘শহিদী কাফেলা’ গঠন করেছে সিলেট জমিয়ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘শহিদী কাফেলা’র অধিকাংশ সদস্যই জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ছাত্র ও যুব জমিয়তের নেতাকর্মী। কয়েক দিন আগে নগরীর সোবহানীঘাটে একটি মাদরাসায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খ আবদুল মোমিন ইমামবাড়ির উপস্থিতিতে এই কাফেলার সদস্যরা শপথ নেন।
‘শহিদী কাফেলা’র প্রথম কর্মসূচি ছিল শাহবাগের গণজাগরণ কর্মী ও সংগঠকরা সিলেট আসলে তাদেরকে প্রতিহত করা। এ ইস্যূতে তারা নগরীতে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিও পালন করেন। জমিয়ত সভাপতি আবদুল মোমিন ইমামবাড়ি ‘শহিদী কাফেলা’র প্রধান ও জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সাংসদ শাহীনূর পাশা সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন ওই কাফেলার উদ্যোক্তাদের একজন, যুব জমিয়ত নেতা মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী।
‘শহিদী কাফেলা’র সদস্যরা জানান, আল্লামা শফির কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনে শহীদ হতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে তারা শপথ নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরী ছাড়াও জেলার ১২ উপজেলা থেকে আসবে তাদের গাড়ি বহর। যাবার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আরো শতাধিক গাড়ি যোগ হবে। এ অবস্থায় গাড়ি প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখিত সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেছেন, ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখী লংর্মাচ বানচালের চেষ্টা করছে সরকার। বুকিং দেওয়ার পরও লংমার্চে যাওয়ার আগেই সুনামগঞ্জের প্রায় অর্ধশত গাড়ি আটকানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ।
এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সুনাগগঞ্জের ৩টি থানার জমিয়ত কর্মীদের জন্য ৪৩ টি গাড়ি লংমার্চে নেওয়ার কথা চূড়ান্ত হয়। এসব গাড়ির কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েকদিন যাবত যোগাযোগ করে অগ্রিম টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ৪৩ টি গাড়ি লংমার্চে যাবেনা বলে জানিয়েছে এদের মালিকরা।
বাংলানিউজের এ প্রতিবেদন কয়েকজন গাড়ি মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মূলত নাশকতা ও গাড়ির ক্ষতি হতে পারে এমন আশংকাতেই তারা চুক্তি বাতিল করেছেন।
হেফাজতের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, লংমার্চে যেতে শুক্রবার বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদ থেকে মিছিলসহ নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গণজমায়েত ও জনসভা, ১০টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান থেকে গাড়ি বহর নিয়ে রাত ১১টায় হুমায়ুন রশীদ চত্বরে সুনামগঞ্জ জেলার গাড়ি বহরের সাথে একত্রিত হওয়া- এভাবে তাদের কর্মসূচি সাজানো হয়েছে। এরপর রাত ২টায় শায়েস্তাগঞ্জে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গাড়ি বহরের সাথে একত্রিত হয়ে গাড়ি বহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
জানা গেছে ৯ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ (যোগাযোগ ও মিডিয়া) টিমও গঠন করা হয়েছে। এই টিমের প্রধান হলেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী।
বিকেল সাড়ে ৫ টায় তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় তিনি লংমার্চের একটি প্রস্তুতি সভায় রয়েছেন। কথা বলতে হবে পরে।
উদ্যোক্তাদের অনেকেই নাকি জমি বিক্রি করে ঢাকা যাওয়ার অর্থের সংস্থান করছেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্রেক হয়েছে সন্দেহের।
এদিকে লংমার্চে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা নিখোঁজ বা গ্রেফতার অথবা অন্য কোন সমস্যায় পড়লে কি করতে হবে তাও বাতলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দেওয়া হচ্ছে বিশেষ মোবাইল ফোন নম্বর।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. রেজাউল করীম বাংলানিউজকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘পুলিশও খুঁজে পাচ্ছে না তাদের এতো অর্থের উৎস কোথায়? তাদের মিছিল প্রস্তুতি সার্বক্ষণিক পুলিশী নজরদারির মধ্যে রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোন নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।’’
হেফাজতে ইসলাম সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গণজমায়েত ও জনসভার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। পরে রাত ১০টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান থেকে গাড়ি বহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন লংমার্চকারীরা।
ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিম, মিডিয়া সেলসহ সার্বিক নিরাপত্তায় ৩১৩ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক ‘শহিদী কাফেলা’ গঠন করেছে সিলেট জমিয়ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘শহিদী কাফেলা’র অধিকাংশ সদস্যই জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ছাত্র ও যুব জমিয়তের নেতাকর্মী। কয়েক দিন আগে নগরীর সোবহানীঘাটে একটি মাদরাসায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খ আবদুল মোমিন ইমামবাড়ির উপস্থিতিতে এই কাফেলার সদস্যরা শপথ নেন।
‘শহিদী কাফেলা’র প্রথম কর্মসূচি ছিল শাহবাগের গণজাগরণ কর্মী ও সংগঠকরা সিলেট আসলে তাদেরকে প্রতিহত করা। এ ইস্যূতে তারা নগরীতে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিও পালন করেন। জমিয়ত সভাপতি আবদুল মোমিন ইমামবাড়ি ‘শহিদী কাফেলা’র প্রধান ও জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সাংসদ শাহীনূর পাশা সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন ওই কাফেলার উদ্যোক্তাদের একজন, যুব জমিয়ত নেতা মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী।
‘শহিদী কাফেলা’র সদস্যরা জানান, আল্লামা শফির কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনে শহীদ হতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে তারা শপথ নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরী ছাড়াও জেলার ১২ উপজেলা থেকে আসবে তাদের গাড়ি বহর। যাবার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আরো শতাধিক গাড়ি যোগ হবে। এ অবস্থায় গাড়ি প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখিত সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেছেন, ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখী লংর্মাচ বানচালের চেষ্টা করছে সরকার। বুকিং দেওয়ার পরও লংমার্চে যাওয়ার আগেই সুনামগঞ্জের প্রায় অর্ধশত গাড়ি আটকানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ।
এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সুনাগগঞ্জের ৩টি থানার জমিয়ত কর্মীদের জন্য ৪৩ টি গাড়ি লংমার্চে নেওয়ার কথা চূড়ান্ত হয়। এসব গাড়ির কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েকদিন যাবত যোগাযোগ করে অগ্রিম টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ৪৩ টি গাড়ি লংমার্চে যাবেনা বলে জানিয়েছে এদের মালিকরা।
বাংলানিউজের এ প্রতিবেদন কয়েকজন গাড়ি মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মূলত নাশকতা ও গাড়ির ক্ষতি হতে পারে এমন আশংকাতেই তারা চুক্তি বাতিল করেছেন।
হেফাজতের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, লংমার্চে যেতে শুক্রবার বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদ থেকে মিছিলসহ নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গণজমায়েত ও জনসভা, ১০টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান থেকে গাড়ি বহর নিয়ে রাত ১১টায় হুমায়ুন রশীদ চত্বরে সুনামগঞ্জ জেলার গাড়ি বহরের সাথে একত্রিত হওয়া- এভাবে তাদের কর্মসূচি সাজানো হয়েছে। এরপর রাত ২টায় শায়েস্তাগঞ্জে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গাড়ি বহরের সাথে একত্রিত হয়ে গাড়ি বহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
জানা গেছে ৯ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ (যোগাযোগ ও মিডিয়া) টিমও গঠন করা হয়েছে। এই টিমের প্রধান হলেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী।
বিকেল সাড়ে ৫ টায় তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় তিনি লংমার্চের একটি প্রস্তুতি সভায় রয়েছেন। কথা বলতে হবে পরে।
No comments