সরিষাবাড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: নিহত এক, তদন্ত কমিটি
জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলায় পুলিশ ও
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও
অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহত বেলাল হোসেন (৫০) বিএনপি কর্মী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।
এ
ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক
করা হয়েছে জামালপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে এলজিইডির উপপরিচালককে এবং সদস্য
করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.
মুসায়েব হোসাইনকে।
এদিকে আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের জামালপুর সদর হাসপাতাল ও সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষে সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল এহসান, উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কবিরউদ্দিন আহত হয়েছেন। তাদের সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘নিহত বেলাল বিএনপি কর্মী বলে শুনেছি। তবে তিনি কার গুলিতে নিহত হয়েছেন তা তদন্ত শেষে বলা যাবে’’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার দিনগত রাত ১২টায় সরিষাবাড়ির শহীদ মিনারে স্থানীয় প্রশাসনের পরে আওয়ামী লীগ ফুল দেয়। এরপর বিএনপি ফুল দিতে গেলে আওয়ামী লীগ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে সেসময় ফুল দিয়ে চলে আসে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন আয়োজিত পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে অংশ নিতে সরিষাবাড়ি কলেজ মাঠে জড়ো হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
একই সময় প্রভাত ফেরি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। এসব স্লোগান শুনে উত্তেজিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরাও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে টিয়ারশেল ও পরে শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই বেলাল মারা যান। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আরো ১৩ জন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার সিমলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি করেন, নিহত বেলাল হোসেন পৌর যুবদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ সবাই বিএনপি নেতাকর্মী বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, এ ঘটনায় তাদের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের জামালপুর সদর হাসপাতাল ও সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষে সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল এহসান, উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কবিরউদ্দিন আহত হয়েছেন। তাদের সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘নিহত বেলাল বিএনপি কর্মী বলে শুনেছি। তবে তিনি কার গুলিতে নিহত হয়েছেন তা তদন্ত শেষে বলা যাবে’’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার দিনগত রাত ১২টায় সরিষাবাড়ির শহীদ মিনারে স্থানীয় প্রশাসনের পরে আওয়ামী লীগ ফুল দেয়। এরপর বিএনপি ফুল দিতে গেলে আওয়ামী লীগ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে সেসময় ফুল দিয়ে চলে আসে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন আয়োজিত পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে অংশ নিতে সরিষাবাড়ি কলেজ মাঠে জড়ো হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
একই সময় প্রভাত ফেরি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। এসব স্লোগান শুনে উত্তেজিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরাও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে টিয়ারশেল ও পরে শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই বেলাল মারা যান। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আরো ১৩ জন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার সিমলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি করেন, নিহত বেলাল হোসেন পৌর যুবদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ সবাই বিএনপি নেতাকর্মী বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, এ ঘটনায় তাদের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
No comments