শিল্পীর তুলিতে স্বাধীনতা ও গণহত্যা by পিয়াস আহমেদ ও রহমত উল্যাহ
স্বাধীনতা ও গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করে
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ব্যতিক্রমী এক চিত্রাঙ্কনের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার এ চিত্রাঙ্কনকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো সংসদ ভবনের সামনে বসেছে
দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পীদের মিলনমেলা।
নবীন প্রবীণ শিল্পীর তুলির আঁচড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন শিল্পীরা। এ চিত্রকর্মের মাধ্যমে দেশমাতৃকার সূর্য সন্তানদের বুকের তাজা রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার
সূর্যাস্ত থেকে এ আয়োজন করে সোডা, কোডা ও ইউডা। এতে দেশবরেণ্য ৫৫ জন
চিত্রশিল্পী তাদের বিখ্যাত সৃষ্টিকর্মগুলো এ চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- রফিকুন নবী, সমরজিৎ রায়, আবদুল মান্নান, মাহমুদুল হক, বীরেণ সোম, লুৎফুল হক, হামিদুজ্জামান, আবুল বারক আলভি, অলোকেশ ঘোষ, স্বপন চৌধুরী, ফরিদা জামান, নাসিম আহমেদ নাদভি, নাঈমা হক, মো. ইব্রাহীম, সুলতানুল ইসলাম, জামান আহমেদ, আইভী জামান, অরুণ ঘোষ, ওয়াকিলুর রহমান, অশোক কর্মকার, সাইফুল ইসলাম ইমরুল, ওয়াদুদ কাফিল, সমীরণ চৌধুরী, কনক চাঁপা চাকমা, রেজাউন নবী, সোহানা নবী, সৈয়দ ইকবাল, জাহিদ মোস্তাফা, গৌতম চক্রবর্তী, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফি হক, বিপাশা হায়াত, শামীম আকবর, হাসানুজ্জামান রিয়াজ, ফাহমিদা আক্তার কাকলী, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, অনুকুল চন্দ্র মজুমদার, ময়েজ উদ্দিন, কারু তিতাস, ভুটান, শারমীন আলভী, জাফর ইকবাল জুয়েল, দেওয়ান মিজান, জাবেদ জলিল, ফিরোজ মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, মো. ইউনুছ, জাহানারা পারভীন বিউটি, মিন্টু দে, রেজাউল হক সুরুজ, কবি অসীম সাহা ও ভারত থেকে আগত শিল্পী দ্বিরাজ চৌধুরী।
ইউডার চারুকলা অনুষদ এর আয়োজক। ইউডা চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বাংলানিউজকে বলেন, “গত ১০ বছর ধরে আমরা এর আয়োজন করে আসছি। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে এ চিত্রাঙ্কন। দেশবরণ্য চিত্রশিল্পীরা তাদের চিত্রাঙ্কনের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরছেন। রাতভর এ চিত্রাঙ্কন চলবে। একসঙ্গে ৫১টি ক্যানভাসে একই সঙ্গে চিত্রাঙ্কন চলছে।
তিনি বলেন, “চারুকলার প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থী রাত জেগে ব্যতিক্রমী এ চিত্রাঙ্কনের তত্ত্বাবধান করছে। স্বাধীনতা, গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করতেই মূলত এর আয়োজন।”
ছবি আঁকছিলেন শিল্পী ওয়াদুদ কাফিল। আঁকতে আঁকতে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “যে রাত্রিকে কেন্দ্র করে আজকের এ আয়োজন সে রাতের ভয়াবহতাকে তুলে ধরতে লাল কালো এবং অ্যাশ রঙের মাধ্যমে বিমূর্ত ধারার এ ছবিটি এঁকেছি। বিমূর্ত এ কারণে, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ। তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। ফলে গোটা বিষয়টি ছিল অস্পষ্ট। তখন আমরা যুদ্ধ বুঝতাম না, মৃত্যু বুঝতাম। পাক হানাদার বাহিনী সে রাত্রে যে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছিল সে নৃশংসতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার ক্যানভাসে।”
ভাস্কর জাহানারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “ছবির ভাষা মূলত খুব কম লোকেই বোঝে। তারপরও প্রতিটি মানুষ রঙের মাধ্যমে তার চেতনাবোধকে প্রকাশ করার চেষ্টা করে। ’৭১ সালে আমরা যেহেতু একটি রক্তক্ষয়ী প্রেক্ষাপট অতিক্রম করে এসেছি। তাই লাল, সবুজ, কালো রঙের মাধ্যমে সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরার চেষ্টা করছি বিমূর্ত ভাষায়।”
চিত্রাঙ্কন দেখতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা, ইউডা, সোডা ও কোডার হাজার শিক্ষার্থী এবং চিত্রাঙ্কন প্রিয় হাজার ভক্ত ভিড় জমায়। দেশবরেণ্য এসব শিল্পীরা দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
ইউডার শিক্ষার্থীরা বলেন, “প্রতিবছর এ দিনে শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি বসে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মিলনমেলা। তাদের তুলির আঁচড়ে আমরাও অনেক কিছু শিখতে পারি। আমাদের মধ্যেও তাদের চিত্রকর্ম দেখে স্বাধীনতা চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে মনে সাড়া জাগে।”
শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- রফিকুন নবী, সমরজিৎ রায়, আবদুল মান্নান, মাহমুদুল হক, বীরেণ সোম, লুৎফুল হক, হামিদুজ্জামান, আবুল বারক আলভি, অলোকেশ ঘোষ, স্বপন চৌধুরী, ফরিদা জামান, নাসিম আহমেদ নাদভি, নাঈমা হক, মো. ইব্রাহীম, সুলতানুল ইসলাম, জামান আহমেদ, আইভী জামান, অরুণ ঘোষ, ওয়াকিলুর রহমান, অশোক কর্মকার, সাইফুল ইসলাম ইমরুল, ওয়াদুদ কাফিল, সমীরণ চৌধুরী, কনক চাঁপা চাকমা, রেজাউন নবী, সোহানা নবী, সৈয়দ ইকবাল, জাহিদ মোস্তাফা, গৌতম চক্রবর্তী, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফি হক, বিপাশা হায়াত, শামীম আকবর, হাসানুজ্জামান রিয়াজ, ফাহমিদা আক্তার কাকলী, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, অনুকুল চন্দ্র মজুমদার, ময়েজ উদ্দিন, কারু তিতাস, ভুটান, শারমীন আলভী, জাফর ইকবাল জুয়েল, দেওয়ান মিজান, জাবেদ জলিল, ফিরোজ মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, মো. ইউনুছ, জাহানারা পারভীন বিউটি, মিন্টু দে, রেজাউল হক সুরুজ, কবি অসীম সাহা ও ভারত থেকে আগত শিল্পী দ্বিরাজ চৌধুরী।
ইউডার চারুকলা অনুষদ এর আয়োজক। ইউডা চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বাংলানিউজকে বলেন, “গত ১০ বছর ধরে আমরা এর আয়োজন করে আসছি। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে এ চিত্রাঙ্কন। দেশবরণ্য চিত্রশিল্পীরা তাদের চিত্রাঙ্কনের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরছেন। রাতভর এ চিত্রাঙ্কন চলবে। একসঙ্গে ৫১টি ক্যানভাসে একই সঙ্গে চিত্রাঙ্কন চলছে।
তিনি বলেন, “চারুকলার প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থী রাত জেগে ব্যতিক্রমী এ চিত্রাঙ্কনের তত্ত্বাবধান করছে। স্বাধীনতা, গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করতেই মূলত এর আয়োজন।”
ছবি আঁকছিলেন শিল্পী ওয়াদুদ কাফিল। আঁকতে আঁকতে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “যে রাত্রিকে কেন্দ্র করে আজকের এ আয়োজন সে রাতের ভয়াবহতাকে তুলে ধরতে লাল কালো এবং অ্যাশ রঙের মাধ্যমে বিমূর্ত ধারার এ ছবিটি এঁকেছি। বিমূর্ত এ কারণে, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ। তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। ফলে গোটা বিষয়টি ছিল অস্পষ্ট। তখন আমরা যুদ্ধ বুঝতাম না, মৃত্যু বুঝতাম। পাক হানাদার বাহিনী সে রাত্রে যে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছিল সে নৃশংসতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার ক্যানভাসে।”
ভাস্কর জাহানারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “ছবির ভাষা মূলত খুব কম লোকেই বোঝে। তারপরও প্রতিটি মানুষ রঙের মাধ্যমে তার চেতনাবোধকে প্রকাশ করার চেষ্টা করে। ’৭১ সালে আমরা যেহেতু একটি রক্তক্ষয়ী প্রেক্ষাপট অতিক্রম করে এসেছি। তাই লাল, সবুজ, কালো রঙের মাধ্যমে সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরার চেষ্টা করছি বিমূর্ত ভাষায়।”
চিত্রাঙ্কন দেখতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা, ইউডা, সোডা ও কোডার হাজার শিক্ষার্থী এবং চিত্রাঙ্কন প্রিয় হাজার ভক্ত ভিড় জমায়। দেশবরেণ্য এসব শিল্পীরা দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
ইউডার শিক্ষার্থীরা বলেন, “প্রতিবছর এ দিনে শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি বসে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মিলনমেলা। তাদের তুলির আঁচড়ে আমরাও অনেক কিছু শিখতে পারি। আমাদের মধ্যেও তাদের চিত্রকর্ম দেখে স্বাধীনতা চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে মনে সাড়া জাগে।”
No comments