৩৬ ঘণ্টা হরতালের ডাক ১৮ দলের
নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণহত্যা বন্ধ ও
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারা দেশে ফের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল
দিয়েছে ১৮ দল। আগামী বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ
হরতাল পালিত হবে।
গতকাল
বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ১৮ দলের যৌথ সংবাদ
সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি
ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, রোববার উত্তরাঞ্চল সফরে দেয়া তিনটি বক্তব্যে বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত দেয়ার পরদিনই নতুন এ
কর্মসূচি ঘোষণা করলো ১৮ দল। সর্বশেষ গত ১৮ ও ১৯শে মার্চ টানা ৩৬ ঘণ্টা
হরতাল পালন করে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর
রহমানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় শোকের সময়ে সরকার আটক নেতা-কর্মীদের ডাণ্ডাবেড়ি
পরিয়ে রিমান্ডে এনেছে, তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ১৪৮ জন নেতাকর্মীর
বিরুদ্ধে রিমান্ড চলা অবস্থায় মিথ্যা অভিযোগপত্র দিয়েছে। এসব নজিরবিহীন ও
ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিএনপি তিনদিন শোক
প্রকাশ করলেও সে সময়ে ২১শে মার্চ ঝিনাইদহের মহেশপুরে যুবদল নেতা এন্তাজুল,
যশোরের চৌগাছায় যুবদল নেতা আনিসুর ও মুজিবনগরে হামিদুর রহমান হেলালকে তার
কন্যাসহ হত্যা করা হয়েছে। বিরোধী দলের ওপর সরকারের জুলুম নির্যাতন থামেনি। এ
সরকার খুনি সরকার। এ সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তাই ১৮ দল আগামী
২৭ ও ২৮শে মার্চ সারা দেশে ৩৬ ঘণ্টা হরতাল পালন করবে। টর্নেডোর আঘাতে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বগুড়ায় দেয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। কিছু পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বগুড়ায় বিরোধীদলীয় নেতার যে বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে, তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। এতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা সেখানে সেনা হস্তক্ষেপের কথা বলেননি। মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না। বিএনপি সেনা হস্তক্ষেপে বিরোধিতাই শুধু করে না, এর বিরুদ্ধেও। আমরা গণতান্ত্রিক শাসনে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, দেশের সরকার যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে ডাকলে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আসে। অতীতে এমনটি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতীয় নির্বাচনের সময়ে সরকার সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে থাকে। কিন্তু কোনভাবে সেনাশাসন বা সেনা হস্তক্ষেপের আমরা বিরোধিতা করি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। গণতন্ত্রে কে বিশ্বাস করে আর কে করে না- তা জনগণ জানে। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। সেই সঙ্গে বিরোধী নেতার বক্তব্য প্রকাশে সাংবাদিকদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, এনপিপি মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদোয়ান উল্লাহ সাহেদী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম খান, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল মালেক চৌধুরীসহ জোটের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বগুড়ায় দেয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। কিছু পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বগুড়ায় বিরোধীদলীয় নেতার যে বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে, তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। এতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা সেখানে সেনা হস্তক্ষেপের কথা বলেননি। মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না। বিএনপি সেনা হস্তক্ষেপে বিরোধিতাই শুধু করে না, এর বিরুদ্ধেও। আমরা গণতান্ত্রিক শাসনে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, দেশের সরকার যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে ডাকলে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আসে। অতীতে এমনটি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতীয় নির্বাচনের সময়ে সরকার সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে থাকে। কিন্তু কোনভাবে সেনাশাসন বা সেনা হস্তক্ষেপের আমরা বিরোধিতা করি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। গণতন্ত্রে কে বিশ্বাস করে আর কে করে না- তা জনগণ জানে। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। সেই সঙ্গে বিরোধী নেতার বক্তব্য প্রকাশে সাংবাদিকদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, এনপিপি মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদোয়ান উল্লাহ সাহেদী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম খান, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল মালেক চৌধুরীসহ জোটের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments