জগন্নাথ ছাত্রলীগে গ্রেফতার আতঙ্ক by মহিউদ্দিন মাহমুদ
বিশ্বজি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে নানামুখী গুজব ছড়িয়ে পড়ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ হওয়ার পর দ্রুতই ফাঁকা হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস। বিশেষ করে বিকেলে ও সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। অনেকে গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছেন, মোবাইল বন্ধ রাখছেন অনেকে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসেv আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে নানামুখী গুজব।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও আলোচনা চলছে দলীয় পরিমণ্ডলে। যারা ওই দিন হরতাল বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছে, অথচ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়, তাদেরকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে গুজব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের একজন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, “ওই দিন হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে আমরা রাস্তায় বের হই। চারদিকে ঘন কুয়াশা। এরই মধ্যে হঠাৎ একটা ককটেল ফোটে। তারপর ছাত্রলীগের অনেকে বিশ্বজিতের উপর হামলা করে। আমি প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে কোপাকোপি দেখে আমি দূরে সরে যাই। পুলিশ প্রশাসনও সেখানে দর্শকের ভূমিকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।”
তিনি বলেন, “শোনা যাচ্ছে যারা মিছিলে অংশ নিয়েছে টেলিভিশনের ফুটেজ ও পত্রিকার ছবি দেখে তাদের মধ্যে থেকেও গ্রেফতার করা হবে। ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপ রয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে গ্রুপ হিসেব করে নেতারা পোলাপাইনের নাম দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইছে। সেই সঙ্গে প্রভাবশালী আর টাকাওয়ালাদের আড়াল করতে সাধারণ ছাত্রদের নাম ঢোকানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।”
এ বিষয়ে জগন্নাথ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন- রাজন, শাকিল, নাহিদসহ আরো যারা ফোকাসে ছিলেন এবং এ হত্যাকাণ্ডে প্রকৃতপক্ষে জড়িত তাদের বিচার করুক এতে আমাদের কোন দুঃখ নেই, কেউ আপসোস করবে না। কিন্তু সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ওই দায় চাপিয়ে দিলে মুশকিল। আমরাও তো সেদিন মিছিলে ছিলাম। অনেকে সংগঠনকে ভালবেসে, আবার অনেকে চাপে পড়ে মিছিলে ছিলাম। অপরাধে জড়িত না থাকলেও আমরা টেনশনে আছি।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ারা যার তার নাম বলে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
তারা আরো বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় যে কাউকে শিবির কিংবা ছাত্রদল বানিয়ে দেওয়া সহজ। তাই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কিংবা প্রভাবশালীদের আড়াল করতে ছাত্রলীগের সাধারণ একজন কর্মীকে হয়তো বলির পাঁঠা বানানো হতে পারে।
৩য় বর্ষের একজন ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, কাউকে বাঁচানোর জন্য উদ্দেশ্যমুলক তদন্ত করলে তো কোন কথা নেই। তবে সঠিকভাবে তদন্ত হলে আসল অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু কাউকে এ বয়সে জেলে নিয়ে রিমান্ডে নেওয়া মানে লাইফ শেষ। এসব নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবাই সরে সরে থাকতে চাইছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ বাংলানিউজকে বলেন, “সাধারণ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মত আমিও ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্ররা জড়িত নয়। রাজন, শাকিল, নাহিদ এরা জগন্নাথ ছাত্রলীগ থেকে বার বার বহিষ্কৃত।”
তিনি আরো বলেন, “জগন্নাথ ছাত্রলীগে কোন গ্রুপিং নেই। এখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বন্ধু। গ্রুপিং এর কথা বলে কিছু করার সুযোগ এখানে নেই।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের একজন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, “ওই দিন হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে আমরা রাস্তায় বের হই। চারদিকে ঘন কুয়াশা। এরই মধ্যে হঠাৎ একটা ককটেল ফোটে। তারপর ছাত্রলীগের অনেকে বিশ্বজিতের উপর হামলা করে। আমি প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে কোপাকোপি দেখে আমি দূরে সরে যাই। পুলিশ প্রশাসনও সেখানে দর্শকের ভূমিকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।”
তিনি বলেন, “শোনা যাচ্ছে যারা মিছিলে অংশ নিয়েছে টেলিভিশনের ফুটেজ ও পত্রিকার ছবি দেখে তাদের মধ্যে থেকেও গ্রেফতার করা হবে। ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপ রয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে গ্রুপ হিসেব করে নেতারা পোলাপাইনের নাম দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইছে। সেই সঙ্গে প্রভাবশালী আর টাকাওয়ালাদের আড়াল করতে সাধারণ ছাত্রদের নাম ঢোকানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।”
এ বিষয়ে জগন্নাথ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন- রাজন, শাকিল, নাহিদসহ আরো যারা ফোকাসে ছিলেন এবং এ হত্যাকাণ্ডে প্রকৃতপক্ষে জড়িত তাদের বিচার করুক এতে আমাদের কোন দুঃখ নেই, কেউ আপসোস করবে না। কিন্তু সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ওই দায় চাপিয়ে দিলে মুশকিল। আমরাও তো সেদিন মিছিলে ছিলাম। অনেকে সংগঠনকে ভালবেসে, আবার অনেকে চাপে পড়ে মিছিলে ছিলাম। অপরাধে জড়িত না থাকলেও আমরা টেনশনে আছি।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ারা যার তার নাম বলে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
তারা আরো বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় যে কাউকে শিবির কিংবা ছাত্রদল বানিয়ে দেওয়া সহজ। তাই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কিংবা প্রভাবশালীদের আড়াল করতে ছাত্রলীগের সাধারণ একজন কর্মীকে হয়তো বলির পাঁঠা বানানো হতে পারে।
৩য় বর্ষের একজন ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, কাউকে বাঁচানোর জন্য উদ্দেশ্যমুলক তদন্ত করলে তো কোন কথা নেই। তবে সঠিকভাবে তদন্ত হলে আসল অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু কাউকে এ বয়সে জেলে নিয়ে রিমান্ডে নেওয়া মানে লাইফ শেষ। এসব নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবাই সরে সরে থাকতে চাইছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ বাংলানিউজকে বলেন, “সাধারণ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মত আমিও ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্ররা জড়িত নয়। রাজন, শাকিল, নাহিদ এরা জগন্নাথ ছাত্রলীগ থেকে বার বার বহিষ্কৃত।”
তিনি আরো বলেন, “জগন্নাথ ছাত্রলীগে কোন গ্রুপিং নেই। এখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বন্ধু। গ্রুপিং এর কথা বলে কিছু করার সুযোগ এখানে নেই।”
No comments