ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা। গত শনিবার রাতে তারা সাগরপথে ত্রিপোলির পশ্চিমে প্রবেশ করে। এরপর রাতভর মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই হয়েছে। এরপর ১০০ গাড়ির একটি বহর নিয়ে বিদ্রোহীদের আরেকটি দল ত্রিপোলিতে প্রবেশ করে।
গতকাল রোববার ভোরে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি থেকে ১৬ মাইল পশ্চিমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয়। খামিস ব্রিগেড নামে ওই ঘাঁটি থেকে তারা বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র নিজেদের দখলে নিয়েছে। সামরিক ঘাঁটিটি গাদ্দাফির ছেলে খামিস পরিচালনা করতেন। বিদ্রোহীরা তাজুরা নামে একটি শহরতলিও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
বিদ্রোহীদের দাবি, গাদ্দাফির পতন ঘনিয়ে এসেছে। তবে বিদ্রোহীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘ইঁদুর’ উল্লেখ করে তাদের প্রতিহত করার জন্য গাদ্দাফি লিবিয়ার জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ত্রিপোলির বাসিন্দা ও সাংবাদিকেরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলির মধ্যেই ঘটতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ। এভাবে প্রায় সারা রাত সংঘর্ষ চলে। গতকাল সকালেও ত্রিপোলিতে বড় বড় চারটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। বিকেলে ত্রিপোলির কেন্দ্রস্থলে একটি হোটেলের কাছে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়েছে। এ সময় হোটেলটিতে বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক অবস্থান করছিলেন।
বিদ্রোহীদের প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেন, ‘গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, শিগগির গাদ্দাফির পতন হবে। কেননা, আরও কয়েক হাজার বিদ্রোহী ত্রিপোলির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রতিহত করা গাদ্দাফি বাহিনীর জন্য কঠিন হবে।’
গাদ্দাফিকে ত্যাগ করতে তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য সরকারপক্ষ ছেড়ে আসা সাবেক দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি আবদেস সালাম জালালৌদ। তিনি গত শনিবার লিবিয়া থেকে পালিয়ে তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি চলে গেছেন।
গতকাল আল-জাজিরা নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জালালৌদ বলেন, গাদ্দাফির গলার ফাঁস ধীরে ধীরে এঁটে আসছে। তিনি ত্রিপোলিতে থেকে গেলে সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া তাঁর জন্য কঠিন হবে। কারণ, ত্রিপোলির চারদিক এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বার্তায় গাদ্দাফি বলেন, ‘বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের নামে এই মশকরা আমাদের অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যতক্ষণ আমার দেহে প্রাণ আছে ততক্ষণ আমি ত্রিপোলিতেই থাকব এবং বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনে জনগণের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করব। কখনোই আত্মসমর্পণ করব না।’ তিনি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দখল করা শহরগুলোকে মুক্ত করতে আপনারা রাস্তায় নেমে পড়ুন। আপনারা যদি লড়াই না করেন তাহলে ত্রিপোলি পুড়ে যাবে। আপনারা যারা হাতে অস্ত্র তুলে নিতে ভয় পান, তারা মা ও বোনদের হাতে অস্ত্র তুলে দিন।’
গাদ্দাফি অভিযোগ করেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি লিবিয়ার তেলসম্পদ দখল করতে এসব দালালকে কাজে লাগাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে জেতার জন্য সারকোজি ভোটারদের দেখাতে চান, তাঁদের জন্য তিনি লিবিয়ার তেলসম্পদ কবজা করেছেন।
লিবিয়ার এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু লিবিয়ার মানুষ ফ্রান্সকে এ সুযোগ কখনো দেবে না বা তারা দেশকে বিশ্বাসঘাতকদের হাতে তুলে দেবে না। লিবিয়ার তরুণেরা আমাকে তাঁদের বাবার মতো শ্রদ্ধা করে।
গতকাল রোববার ভোরে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি থেকে ১৬ মাইল পশ্চিমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয়। খামিস ব্রিগেড নামে ওই ঘাঁটি থেকে তারা বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র নিজেদের দখলে নিয়েছে। সামরিক ঘাঁটিটি গাদ্দাফির ছেলে খামিস পরিচালনা করতেন। বিদ্রোহীরা তাজুরা নামে একটি শহরতলিও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
বিদ্রোহীদের দাবি, গাদ্দাফির পতন ঘনিয়ে এসেছে। তবে বিদ্রোহীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘ইঁদুর’ উল্লেখ করে তাদের প্রতিহত করার জন্য গাদ্দাফি লিবিয়ার জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ত্রিপোলির বাসিন্দা ও সাংবাদিকেরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলির মধ্যেই ঘটতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ। এভাবে প্রায় সারা রাত সংঘর্ষ চলে। গতকাল সকালেও ত্রিপোলিতে বড় বড় চারটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। বিকেলে ত্রিপোলির কেন্দ্রস্থলে একটি হোটেলের কাছে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়েছে। এ সময় হোটেলটিতে বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক অবস্থান করছিলেন।
বিদ্রোহীদের প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল বলেন, ‘গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, শিগগির গাদ্দাফির পতন হবে। কেননা, আরও কয়েক হাজার বিদ্রোহী ত্রিপোলির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রতিহত করা গাদ্দাফি বাহিনীর জন্য কঠিন হবে।’
গাদ্দাফিকে ত্যাগ করতে তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য সরকারপক্ষ ছেড়ে আসা সাবেক দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি আবদেস সালাম জালালৌদ। তিনি গত শনিবার লিবিয়া থেকে পালিয়ে তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি চলে গেছেন।
গতকাল আল-জাজিরা নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জালালৌদ বলেন, গাদ্দাফির গলার ফাঁস ধীরে ধীরে এঁটে আসছে। তিনি ত্রিপোলিতে থেকে গেলে সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া তাঁর জন্য কঠিন হবে। কারণ, ত্রিপোলির চারদিক এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বার্তায় গাদ্দাফি বলেন, ‘বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের নামে এই মশকরা আমাদের অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যতক্ষণ আমার দেহে প্রাণ আছে ততক্ষণ আমি ত্রিপোলিতেই থাকব এবং বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনে জনগণের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করব। কখনোই আত্মসমর্পণ করব না।’ তিনি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দখল করা শহরগুলোকে মুক্ত করতে আপনারা রাস্তায় নেমে পড়ুন। আপনারা যদি লড়াই না করেন তাহলে ত্রিপোলি পুড়ে যাবে। আপনারা যারা হাতে অস্ত্র তুলে নিতে ভয় পান, তারা মা ও বোনদের হাতে অস্ত্র তুলে দিন।’
গাদ্দাফি অভিযোগ করেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি লিবিয়ার তেলসম্পদ দখল করতে এসব দালালকে কাজে লাগাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে জেতার জন্য সারকোজি ভোটারদের দেখাতে চান, তাঁদের জন্য তিনি লিবিয়ার তেলসম্পদ কবজা করেছেন।
লিবিয়ার এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু লিবিয়ার মানুষ ফ্রান্সকে এ সুযোগ কখনো দেবে না বা তারা দেশকে বিশ্বাসঘাতকদের হাতে তুলে দেবে না। লিবিয়ার তরুণেরা আমাকে তাঁদের বাবার মতো শ্রদ্ধা করে।
No comments