ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছে পরাজয়
রবীন্দ্রসংগীতের ভালো হিন্দি সংস্করণ পাওয়া যায় ইদানীং। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’—কবিগুরুর এই অমর সৃষ্টি হয়তো মনে ধরে থাকবে রাহুল দ্রাবিড়ের। চলতি ইংল্যান্ড সফরে ভারতের ‘বিশ্বসেরা’ ব্যাটিংকে যে বলতে গেলে একাই টেনে নিলেন ‘দ্য ওয়াল!’
ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পাওয়ায় ইনিংস শুরু করতে পারেননি গৌতম গম্ভীর। যথারীতি নিজের পজিশন ছেড়ে ওপেনিংয়ে নেমেছেন দ্রাবিড়। আগের দিন ঝড়ের মুখে লড়াই করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন। কাল লোয়ার-অর্ডারদের নিয়ে টেনে নিয়ে গেছেন ভারতের ইনিংস। তাঁর অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে ভারত সিরিজে প্রথম দেখল তিন শ রান। ফলোঅন অবশ্য বাঁচাতে পারেননি, তবে তাঁর দায় নেই। সতীর্থরা যে সঙ্গই দিতে পারলেন না তাঁকে!
তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ‘ক্যারিয়িং দ্য ব্যাট থ্রু আউট দ্য ইনিংস’-এর কীর্তি গড়েছেন। কাজ শেষ হয়নি তাতেও। ফলোঅনে পড়া দলকে বাঁচাতে ১০ মিনিট পরই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে পড়েছেন ব্যাট হাতে। এবার তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসের সংশয়পূর্ণ সিদ্ধান্তে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডে তাঁর সম্ভাব্য শেষ টেস্ট ইনিংস। সোয়ান ও অ্যান্ডারসনের অসাধারণ দুটি ডেলিভারি ফিরিয়েছে থিতু হয়ে যাওয়া শেবাগ ও লক্ষ্মণকে। তবে টিকে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, শততম সেঞ্চরির আশা নিয়ে দিন শুরু করবেন, ভারতও তাকিয়ে থাকবে তাঁর দিকে। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন ১৬২ রান, হাতে ৭ উইকেট।
কাল সকালে মহেন্দ্র সিং ধোনি ফিরে যাওয়ার পর দ্রাবিড়কে সঙ্গ দিয়েছেন অমিত মিশ্র। বোলিং-ব্যর্থতা কিছুটা ভুলিয়ে দিতেই যেন হঠাৎ ব্যাটসম্যান হয়ে গেলেন মিশ্র। দুজনের জুটিতে ভারত পেয়ে যায় সিরিজের সেরা ব্যাটিং সেশন। ৮৭ রানের জুটিটা শেষ অবশ্য হয় লাঞ্চের পরপরই। নয়ে নামা গম্ভীর রান না পেলেও বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন দ্রাবিড়কে। এলোপাতাড়ি ব্যাট চালিয়ে ২৫ রান তুলে দলের রানকে ৩০০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সহায়তা করেন আরপি সিং। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেটেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ইংলিশ বোলাররা। যে উইকেটে মাথা কুটে মরেছেন ভারতীয় বোলাররা, সেখানেই প্রাণের সঞ্চার করেছেন অ্যান্ডারসন-সোয়ানরা।
দ্রাবিড় ক্যারিয়ারের ৩৫তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৬৮ বলে। মোট সেঞ্চুরিতে পেছনে ফেলেছেন সুনীল গাভাস্কার ও ব্রায়ান লারাকে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার সিরিজে এটি ছিল তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজেও তিনটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেবার সিরিজ ড্র করতে পেরেছিল ভারত। এবার তো হেরে বসে আছে আগেই। টেন্ডুলকার-রায়নাদের অসাধারণ কিছুই এখন ভারতকে বাঁচাতে পারে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা থেকে। ওয়েবসাইট।
ডনের পর
ইংল্যান্ডের মাটিতে এক সিরিজে ৩ সেঞ্চুরি এই নিয়ে দুবার করলেন দ্রাবিড়। এই কীর্তি আর আছে শুধু স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের!
ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পাওয়ায় ইনিংস শুরু করতে পারেননি গৌতম গম্ভীর। যথারীতি নিজের পজিশন ছেড়ে ওপেনিংয়ে নেমেছেন দ্রাবিড়। আগের দিন ঝড়ের মুখে লড়াই করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন। কাল লোয়ার-অর্ডারদের নিয়ে টেনে নিয়ে গেছেন ভারতের ইনিংস। তাঁর অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে ভারত সিরিজে প্রথম দেখল তিন শ রান। ফলোঅন অবশ্য বাঁচাতে পারেননি, তবে তাঁর দায় নেই। সতীর্থরা যে সঙ্গই দিতে পারলেন না তাঁকে!
তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ‘ক্যারিয়িং দ্য ব্যাট থ্রু আউট দ্য ইনিংস’-এর কীর্তি গড়েছেন। কাজ শেষ হয়নি তাতেও। ফলোঅনে পড়া দলকে বাঁচাতে ১০ মিনিট পরই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে পড়েছেন ব্যাট হাতে। এবার তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসের সংশয়পূর্ণ সিদ্ধান্তে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডে তাঁর সম্ভাব্য শেষ টেস্ট ইনিংস। সোয়ান ও অ্যান্ডারসনের অসাধারণ দুটি ডেলিভারি ফিরিয়েছে থিতু হয়ে যাওয়া শেবাগ ও লক্ষ্মণকে। তবে টিকে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, শততম সেঞ্চরির আশা নিয়ে দিন শুরু করবেন, ভারতও তাকিয়ে থাকবে তাঁর দিকে। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন ১৬২ রান, হাতে ৭ উইকেট।
কাল সকালে মহেন্দ্র সিং ধোনি ফিরে যাওয়ার পর দ্রাবিড়কে সঙ্গ দিয়েছেন অমিত মিশ্র। বোলিং-ব্যর্থতা কিছুটা ভুলিয়ে দিতেই যেন হঠাৎ ব্যাটসম্যান হয়ে গেলেন মিশ্র। দুজনের জুটিতে ভারত পেয়ে যায় সিরিজের সেরা ব্যাটিং সেশন। ৮৭ রানের জুটিটা শেষ অবশ্য হয় লাঞ্চের পরপরই। নয়ে নামা গম্ভীর রান না পেলেও বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন দ্রাবিড়কে। এলোপাতাড়ি ব্যাট চালিয়ে ২৫ রান তুলে দলের রানকে ৩০০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সহায়তা করেন আরপি সিং। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেটেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ইংলিশ বোলাররা। যে উইকেটে মাথা কুটে মরেছেন ভারতীয় বোলাররা, সেখানেই প্রাণের সঞ্চার করেছেন অ্যান্ডারসন-সোয়ানরা।
দ্রাবিড় ক্যারিয়ারের ৩৫তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৬৮ বলে। মোট সেঞ্চুরিতে পেছনে ফেলেছেন সুনীল গাভাস্কার ও ব্রায়ান লারাকে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার সিরিজে এটি ছিল তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজেও তিনটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেবার সিরিজ ড্র করতে পেরেছিল ভারত। এবার তো হেরে বসে আছে আগেই। টেন্ডুলকার-রায়নাদের অসাধারণ কিছুই এখন ভারতকে বাঁচাতে পারে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা থেকে। ওয়েবসাইট।
ডনের পর
ইংল্যান্ডের মাটিতে এক সিরিজে ৩ সেঞ্চুরি এই নিয়ে দুবার করলেন দ্রাবিড়। এই কীর্তি আর আছে শুধু স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের!
No comments