ক্রীতদাসের মতো সেই জীবন
লেবাননের বিত্তশালী বিভিন্ন পরিবারে ১৫ বছর ধরে ‘ক্রীতদাসীর’ মতো কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন মাদাগাস্কারের নারী অ্যাবেলিন বাহোলিয়ারিসোয়া (৫৯)। গত মার্চে তাঁর মুক্তি মিলেছে। অ্যাবেলিনসহ আরও ৮৫ জন নারীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি বিমানের ব্যবস্থা করে মাদাগাস্কার সরকার।
অ্যাবেলিন যখন চার সন্তান ছেড়ে লেবানন যান, তখন তাঁর সবচেয়ে ছোট সন্তানের বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সেই সন্তানই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে মূল ভূমিকা পালন করেন। এসব গৃহকর্মীকে প্রত্যাবাসনে সহায়তাকারী একটি কল্যাণমূলক সংস্থার মাধ্যমে তাঁকে খুঁজে বের করা হয়।
অ্যাবেলিন বলেন, লেবাননে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হন। বছরের পর বছর ধরে একটি ‘জীবন্ত নরকে’ বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চাকরিদাতা একটি সংস্থার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল, লেবাননে সেবিকার চাকরির জন্য তাঁকে প্রতিমাসে ৮০০ মার্কিন ডলার করে দেওয়া হবে। লেবানন যাওয়ার পর তাঁর স্বপ্নসাধ ভেঙে যায়।
অ্যাবেলিনের ভাষ্য, ‘এটি ছিল ফাঁদ। কারণ আমি সেখানে পৌঁছামাত্র তারা আমার কাগজপত্র কেড়ে নেয়। এরপর ১৫টি বছর আমার সঙ্গে ক্রীতদাসীর মতো ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের রাতে ও দিনে খাওয়া ও ঘুমানোর জন্য কোনো সময় ছিল না। এমনকি নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সময়ও দেওয়া হতো না আমাদের। ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতাম আমরা।’ সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখছেন মাদাগাস্কারের জনসংখ্যাবিষয়কমন্ত্রী নাদিন রামারোসন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র’ নব্বইয়ের দশক থেকে মানব পাচার শুরু করে।
অ্যাবেলিন যখন চার সন্তান ছেড়ে লেবানন যান, তখন তাঁর সবচেয়ে ছোট সন্তানের বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সেই সন্তানই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে মূল ভূমিকা পালন করেন। এসব গৃহকর্মীকে প্রত্যাবাসনে সহায়তাকারী একটি কল্যাণমূলক সংস্থার মাধ্যমে তাঁকে খুঁজে বের করা হয়।
অ্যাবেলিন বলেন, লেবাননে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হন। বছরের পর বছর ধরে একটি ‘জীবন্ত নরকে’ বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চাকরিদাতা একটি সংস্থার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল, লেবাননে সেবিকার চাকরির জন্য তাঁকে প্রতিমাসে ৮০০ মার্কিন ডলার করে দেওয়া হবে। লেবানন যাওয়ার পর তাঁর স্বপ্নসাধ ভেঙে যায়।
অ্যাবেলিনের ভাষ্য, ‘এটি ছিল ফাঁদ। কারণ আমি সেখানে পৌঁছামাত্র তারা আমার কাগজপত্র কেড়ে নেয়। এরপর ১৫টি বছর আমার সঙ্গে ক্রীতদাসীর মতো ব্যবহার করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের রাতে ও দিনে খাওয়া ও ঘুমানোর জন্য কোনো সময় ছিল না। এমনকি নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সময়ও দেওয়া হতো না আমাদের। ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতাম আমরা।’ সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখছেন মাদাগাস্কারের জনসংখ্যাবিষয়কমন্ত্রী নাদিন রামারোসন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র’ নব্বইয়ের দশক থেকে মানব পাচার শুরু করে।
No comments