‘বড় কর্তাদের দোষ কেউ দেখে না’
ভারতের ট্রেনচালকেরা বলেছেন, দেশে ঘন ঘন ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য অযথা তাঁদের দায়ী করা হয়। রেল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলার বিষয়টি কেউ দেখে না।
ভারতে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৮০ লাখ লোক রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন। চালকদের অভিযোগ, দেশের রেল ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে অনেক ঝুঁকির জটাজালে আবর্তিত। এর মধ্যে তাঁদের বিরামহীনভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাওয়ার ক্লান্তি রয়েছে; রয়েছে মৌলিক নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব।
গত রোববার ভারতে দুটি পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় ২০০ জন যাত্রী। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে একটি ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ছাড়া আসাম রাজ্যে রেললাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অপর একটি ট্রেনের ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতজুড়ে বিমানবন্দর অবকাঠামোর উন্নয়ন যখন তুঙ্গে, তখন দেশটির ব্রিটিশ আমলের রেলব্যবস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায়ই হোঁচট খাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে রেল খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় পুরোনো রেল অবকাঠামোর তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এতে দিন দিন ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছে। এই আধুনিক যুগেও হস্তচালিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংকেত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রেলপথের দুই পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকায় ট্রেনগুলো সহজেই জঙ্গিদের হামলার সহজ শিকার হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন (এআইএলআরএসএ) নামের একটি ইউনিয়নের কর্মী ও ট্রেনচালক কে পার্থসারথি বলেন, তিনি প্রতিদিন একটানা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ট্রেন চালান। তিনি বলেন, ‘এটা ক্লান্তিকর, বিশেষ করে যখন দ্রুতগামী ট্রেনে ঘন ঘন বিরতি পড়ে। এ সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্যও যদি আমার চোখে তন্দ্রা আসে, তাহলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ও রেলওয়ে বিশেষজ্ঞ জি রাঘুরাম বলেন, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারের উচিত আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনা এবং সংকেতব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা।
ভারতে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৮০ লাখ লোক রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন। চালকদের অভিযোগ, দেশের রেল ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে অনেক ঝুঁকির জটাজালে আবর্তিত। এর মধ্যে তাঁদের বিরামহীনভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাওয়ার ক্লান্তি রয়েছে; রয়েছে মৌলিক নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব।
গত রোববার ভারতে দুটি পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় ২০০ জন যাত্রী। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে একটি ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ছাড়া আসাম রাজ্যে রেললাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অপর একটি ট্রেনের ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতজুড়ে বিমানবন্দর অবকাঠামোর উন্নয়ন যখন তুঙ্গে, তখন দেশটির ব্রিটিশ আমলের রেলব্যবস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায়ই হোঁচট খাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে রেল খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় পুরোনো রেল অবকাঠামোর তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এতে দিন দিন ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছে। এই আধুনিক যুগেও হস্তচালিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংকেত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রেলপথের দুই পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকায় ট্রেনগুলো সহজেই জঙ্গিদের হামলার সহজ শিকার হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন (এআইএলআরএসএ) নামের একটি ইউনিয়নের কর্মী ও ট্রেনচালক কে পার্থসারথি বলেন, তিনি প্রতিদিন একটানা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ট্রেন চালান। তিনি বলেন, ‘এটা ক্লান্তিকর, বিশেষ করে যখন দ্রুতগামী ট্রেনে ঘন ঘন বিরতি পড়ে। এ সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্যও যদি আমার চোখে তন্দ্রা আসে, তাহলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ও রেলওয়ে বিশেষজ্ঞ জি রাঘুরাম বলেন, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারের উচিত আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনা এবং সংকেতব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা।
No comments