উলফার একতরফা অস্ত্রবিরতি ঘোষণা
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফা গতকাল মঙ্গলবার একতরফাভাবে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে। সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা এ অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া বলেন, আসামের জনগণ চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উলফার জেনারেল কাউন্সিল সংঘাত বন্ধে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে উলফা অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি উলফার পঞ্চম জেনারেল কাউন্সিলের প্রস্তাব অনুযায়ী অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ই-মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, উলফার সঙ্গে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অংশ নেবেন।
গত ডিসেম্বরে রাজখোয়াসহ উলফার কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে সরকারের পক্ষে প্রধান আলোচক পি সি হালদারের সঙ্গে কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয় উলফার। চলতি বছরের শুরুর দিকে উলফার কয়েকজন প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তবে উলফার কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বড়ুয়া এই শান্তি আলোচনার বিরোধী। তিনি অন্তত ১০০ জন সশস্ত্র ক্যাডার নিয়ে চীন-ভারতের কোনো এক সীমান্তে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ উলফার অস্ত্রবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি পরেশ বড়ুয়াকেও শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে পরেশ বড়ুয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তরুণ গগৈ বলেন, ‘পরেশ বড়ুয়ার জন্য আমরা অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করব না। যদি তাঁর অংশ কোনো সমস্যা তৈরির চেষ্টা করে, তবে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফা ১৯৭৯ সাল থেকে আসামের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ১৯৯০ সাল থেকে দাবি আদায়ে উলফা সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। একই সালে উলফার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারতের সেনাবাহিনী, যা এখনো চলছে। এই অভিযান ও উলফার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর উলফার চেয়ারম্যান রাজখোয়া গ্রেপ্তার হন। তিনি জামিনে মুক্ত হওয়ার পর উলফা কিছুটা নমনীয় হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া বলেন, আসামের জনগণ চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উলফার জেনারেল কাউন্সিল সংঘাত বন্ধে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে উলফা অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি উলফার পঞ্চম জেনারেল কাউন্সিলের প্রস্তাব অনুযায়ী অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ই-মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, উলফার সঙ্গে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অংশ নেবেন।
গত ডিসেম্বরে রাজখোয়াসহ উলফার কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে সরকারের পক্ষে প্রধান আলোচক পি সি হালদারের সঙ্গে কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয় উলফার। চলতি বছরের শুরুর দিকে উলফার কয়েকজন প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তবে উলফার কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বড়ুয়া এই শান্তি আলোচনার বিরোধী। তিনি অন্তত ১০০ জন সশস্ত্র ক্যাডার নিয়ে চীন-ভারতের কোনো এক সীমান্তে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ উলফার অস্ত্রবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি পরেশ বড়ুয়াকেও শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে পরেশ বড়ুয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তরুণ গগৈ বলেন, ‘পরেশ বড়ুয়ার জন্য আমরা অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করব না। যদি তাঁর অংশ কোনো সমস্যা তৈরির চেষ্টা করে, তবে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফা ১৯৭৯ সাল থেকে আসামের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ১৯৯০ সাল থেকে দাবি আদায়ে উলফা সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। একই সালে উলফার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারতের সেনাবাহিনী, যা এখনো চলছে। এই অভিযান ও উলফার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর উলফার চেয়ারম্যান রাজখোয়া গ্রেপ্তার হন। তিনি জামিনে মুক্ত হওয়ার পর উলফা কিছুটা নমনীয় হয়।
No comments