ব্যাংকের মোট ঋণের আড়াই শতাংশ কৃষি বা পল্লি খাতে দিতে হবে
আগামী ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কৃষি ও পল্লি খাতে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, এতদিন ব্যাংকগুলো নিজেরা তাদের একটা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাত। পরে সেই ভিত্তিতে কৃষি বা পল্লি ঋণ বিতরণ করায় উদ্যোগী হতো ব্যাংকগুলো। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন না হলেও তার জন্য ব্যাংকগুলোকে কোনো জবাবদিহির মধ্যে নেওয়া যেত না। এ কারণে এবার একটি যৌক্তিক নীতিমালা করে তা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নির্দেশনায় বলেছে, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পল্লি এলাকায় উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ড প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এ খাতে ঋণ ও অগ্রিমের জন্য সুবিধাভোগী পর্যায়ে কার্যত শুধু রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ অনেক বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকেরই কৃষি বা পল্লি খাতে কোনো বিনিয়োগ নেই। অনেকের নামমাত্র বিনিয়োগ থাকলেও তাদের মোট ঋণ ও অগ্রিমের তুলনায় এ পরিমাণ সন্তোষজনক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এস এম মনিরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, কৃষি বা পল্লি খাতে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এ খাতে ঋণ বিতরণে যৌক্তিক নীতিমালার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে কারণেই এ নীতিমালা করা হয়েছে।
আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে। এ ক্ষেত্রে বছর ভিত্তিতে কোনো ব্যাংক তার মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কৃষি খাতে বিতরণে ব্যর্থ হলে অনর্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক বছরের জন্য জমা রাখতে হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থের ওপর ব্যাংক রেট বা বর্তমানে পাঁচ শতাংশ হারে সুদ দেবে।
পূর্ববর্তী অর্থবছরের ৩১ মার্চভিত্তিক মোট ঋণ ও অগ্রিমের সঙ্গে এটি হিসাব করা হবে। তবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ইতিমধ্যেই এ পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় ঋণ বিতরণ করায় এ নির্দেশনা এ ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জনের স্বার্থে প্রত্যেক ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিজ নিজ আনুপাতিক হারে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। ত্রৈমাসিকে আনুপাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে অনর্জিত অংশ পরবর্তী ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বছরের জন্য জমা রাখবে। জমা করা অর্থের ওপর পাঁচ শতাংশ হারে ব্যাংকগুলোকে সুদ দেওয়া হবে।
তবে কোনো ব্যাংকের ঋণ ও অগ্রিম বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে কৃষিঋণ লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অর্থ জমার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা যেতে পারে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর কৃষিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলেও কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। যৌক্তিক নীতিমালা না থাকায় এটা করা সম্ভব হয়নি। সূত্রগুলো বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আটটি বেসরকারি ব্যাংক তাদের লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ ঋণও বিতরণ করতে পারেনি। যদিও বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য নিজস্ব শাখা ছাড়াও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের (এমএফআই) মাধ্যমে ঋণ বিতরণের সুযোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, এতদিন ব্যাংকগুলো নিজেরা তাদের একটা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাত। পরে সেই ভিত্তিতে কৃষি বা পল্লি ঋণ বিতরণ করায় উদ্যোগী হতো ব্যাংকগুলো। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন না হলেও তার জন্য ব্যাংকগুলোকে কোনো জবাবদিহির মধ্যে নেওয়া যেত না। এ কারণে এবার একটি যৌক্তিক নীতিমালা করে তা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নির্দেশনায় বলেছে, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পল্লি এলাকায় উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ড প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এ খাতে ঋণ ও অগ্রিমের জন্য সুবিধাভোগী পর্যায়ে কার্যত শুধু রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ অনেক বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকেরই কৃষি বা পল্লি খাতে কোনো বিনিয়োগ নেই। অনেকের নামমাত্র বিনিয়োগ থাকলেও তাদের মোট ঋণ ও অগ্রিমের তুলনায় এ পরিমাণ সন্তোষজনক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এস এম মনিরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, কৃষি বা পল্লি খাতে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এ খাতে ঋণ বিতরণে যৌক্তিক নীতিমালার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে কারণেই এ নীতিমালা করা হয়েছে।
আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে। এ ক্ষেত্রে বছর ভিত্তিতে কোনো ব্যাংক তার মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কৃষি খাতে বিতরণে ব্যর্থ হলে অনর্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক বছরের জন্য জমা রাখতে হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থের ওপর ব্যাংক রেট বা বর্তমানে পাঁচ শতাংশ হারে সুদ দেবে।
পূর্ববর্তী অর্থবছরের ৩১ মার্চভিত্তিক মোট ঋণ ও অগ্রিমের সঙ্গে এটি হিসাব করা হবে। তবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ইতিমধ্যেই এ পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় ঋণ বিতরণ করায় এ নির্দেশনা এ ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জনের স্বার্থে প্রত্যেক ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিজ নিজ আনুপাতিক হারে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। ত্রৈমাসিকে আনুপাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে অনর্জিত অংশ পরবর্তী ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বছরের জন্য জমা রাখবে। জমা করা অর্থের ওপর পাঁচ শতাংশ হারে ব্যাংকগুলোকে সুদ দেওয়া হবে।
তবে কোনো ব্যাংকের ঋণ ও অগ্রিম বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে কৃষিঋণ লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অর্থ জমার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা যেতে পারে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর কৃষিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলেও কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। যৌক্তিক নীতিমালা না থাকায় এটা করা সম্ভব হয়নি। সূত্রগুলো বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আটটি বেসরকারি ব্যাংক তাদের লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ ঋণও বিতরণ করতে পারেনি। যদিও বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য নিজস্ব শাখা ছাড়াও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের (এমএফআই) মাধ্যমে ঋণ বিতরণের সুযোগ রয়েছে।
No comments