যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাননি বেনজির
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বেনজির ভুট্টো নিহত হওয়ার দুই মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা দিতে রাজি হয়নি। উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি নথির বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদপত্র দ্য হিন্দু গত শনিবার এ কথা বলেছে।
পত্রিকাটি বলেছে, ২০০৭ সালের ১৮ অক্টোবর নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর বেনজিরকে স্বাগত জানাতে যে গাড়িবহর গিয়েছিল, তাতে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে ১৪০ জনের বেশি লোক নিহত হয়। এ ঘটনার পর ২৩ অক্টোবর করাচিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত অ্যান প্যাটারসনের সঙ্গে বেনজিরের বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়বস্তুর বর্ণনা দিয়ে প্যাটারসন ২৯ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তারবার্তা পাঠান। দ্য হিন্দু বলেছে, উইকিলিকসের মাধ্যমে ওই তারবার্তার কপি তাদের হাতে এসেছে।
তারবার্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বেনজির ভুট্টো মার্কিন দূতকে জানিয়ে দেন, তাঁর সমর্থকদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা তদন্তে পারভেজ মোশাররফ সরকার আন্তরিক নয়। তিনি মনে করেন, মোশাররফ সরকারের লোকজনের সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে। সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এসব কারণ দেখিয়ে তিনি তাঁর নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েকজন মার্কিন সেনাকে নিয়োজিত করতে মার্কিন দূতকে অনুরোধ করেন। তবে প্যাটারসন বেনজিরকে বলেন, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানোর সময় তাঁর (বেনজিরের) চার পাশে মার্কিন নিরাপত্তারক্ষী থাকলে ভোটারদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। প্যাটারসন বেনজিরকে জানান, বিদেশি নেতাদের মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও হাইতির প্রেসিডেন্ট অ্যারিস্টাইডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন সেনা নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই রাষ্ট্রপ্রধান। অন্যদিকে বেনজির তখন ছিলেন প্রচারণার কাজে ব্যস্ত একজন রাজনৈতিক নেতা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর নিরপত্তা বিধানে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করতে পারে না। তবে তিনি যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা পান, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র মোশাররফ সরকারের ওপর চাপ দেবে। এর দুই মাস পর ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির।
পত্রিকাটি বলেছে, ২০০৭ সালের ১৮ অক্টোবর নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর বেনজিরকে স্বাগত জানাতে যে গাড়িবহর গিয়েছিল, তাতে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে ১৪০ জনের বেশি লোক নিহত হয়। এ ঘটনার পর ২৩ অক্টোবর করাচিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত অ্যান প্যাটারসনের সঙ্গে বেনজিরের বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়বস্তুর বর্ণনা দিয়ে প্যাটারসন ২৯ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তারবার্তা পাঠান। দ্য হিন্দু বলেছে, উইকিলিকসের মাধ্যমে ওই তারবার্তার কপি তাদের হাতে এসেছে।
তারবার্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বেনজির ভুট্টো মার্কিন দূতকে জানিয়ে দেন, তাঁর সমর্থকদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা তদন্তে পারভেজ মোশাররফ সরকার আন্তরিক নয়। তিনি মনে করেন, মোশাররফ সরকারের লোকজনের সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে। সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এসব কারণ দেখিয়ে তিনি তাঁর নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েকজন মার্কিন সেনাকে নিয়োজিত করতে মার্কিন দূতকে অনুরোধ করেন। তবে প্যাটারসন বেনজিরকে বলেন, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানোর সময় তাঁর (বেনজিরের) চার পাশে মার্কিন নিরাপত্তারক্ষী থাকলে ভোটারদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। প্যাটারসন বেনজিরকে জানান, বিদেশি নেতাদের মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও হাইতির প্রেসিডেন্ট অ্যারিস্টাইডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন সেনা নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই রাষ্ট্রপ্রধান। অন্যদিকে বেনজির তখন ছিলেন প্রচারণার কাজে ব্যস্ত একজন রাজনৈতিক নেতা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর নিরপত্তা বিধানে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করতে পারে না। তবে তিনি যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা পান, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র মোশাররফ সরকারের ওপর চাপ দেবে। এর দুই মাস পর ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির।
No comments