ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন চান ওবামা
১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সমর্থন চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সম্মতি দিতে ইসরায়েলকে চাপে ফেলতে যৌথ মধ্যপ্রাচ্য চুক্তি করতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে আহ্বানও জানাবেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ওবামা শিগগিরই রাষ্ট্রীয় এক সফরে যুক্তরাজ্য যাবেন। তাঁর এই সফর হবে গত ১০০ বছরের মধ্যে তৃতীয় কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তরাজ্য সফর। এই সফরে ওবামা-ক্যামেরনের ব্যক্তিগত আলোচনায় ফিলিস্তিনের সীমানাসংক্রান্ত বিষয়টি তোলা হবে। এ ছাড়া আফগানিস্তান ও লিবিয়া পরিস্থিতি, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধানের পদসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামারও ওই সফরে যাওয়ার কথা।
প্রেসিডেন্ট ওবামা গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নীতি নিয়ে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের আগের সীমানায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ ও ‘রক্ষা করা সম্ভব নয়’ উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেন। ওবামা তাঁর প্রস্তাবের পক্ষে ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও রাশিয়ার সমর্থন পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ ওই দুটি সংস্থা ও রাশিয়া একসঙ্গে ‘কোয়াট্রেট’ নামে পরিচিত, যারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসরায়েলের ওপর চাপ বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এ কারণেই তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সমর্থন আশা করছেন। ওবামার এই উদ্যোগের একটি বড় কারণ হলো ফিলিস্তিনের নেতাদের প্রভাবিত করা, যাতে ফিলিস্তিনি নেতারা আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতীকী সমর্থন না চান।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে লন্ডন। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী অ্যালিস্টেয়ার বার্ট ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েলের ‘আচরণ সহযোগিতামূলক নয়’ এবং দেশটি ‘অস্থিতিশীল করার কার্যক্রমে জড়িত’। পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের নতুন করে দেড় হাজার বসতি স্থাপনের ঘোষণার পর বার্ট এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন ঘোষণার পর আমি যারপরনাই অসন্তুষ্ট। ইসরায়েল এমন দিনে এই ঘোষণা দিল, যখন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্পষ্ট পথ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিলেন।’
এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, গত শুক্রবার ওবামা ও নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউসের বৈঠক ছিল ‘নিষ্প্রাণ’। গতকাল রোববার ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিয়ত আহারোনত-এ সাংবাদিক নাহুম বার্নেয়া ও সিমন শিফার লিখেছেন, ‘আমরা যখন ওভাল অফিসে ঢুকি, তখন দুই নেতা ঠিক স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন না। কেউ কারও দিকেও তাকাচ্ছিলেন না। তবে ওবামা আগে কথা বলেছেন।’ তাঁরা জানান, দুই নেতাকে দেখে মনে হয়েছে, তাঁরা সত্যিই চাপে আছেন। কোনো কিছু লুকানোর চেয়ে মতানৈক্যের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন তাঁরা।
তবে গত শনিবার নেতানিয়াহুর একজন মুখপাত্র জানান, ওবামা-নেতানিয়াহুর বৈঠকের আসল চিত্র গণমাধ্যমে উঠে আসেনি। নেতানিয়াহু নিজেই এই দাবি করেছেন।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, গোলান উপত্যকা ও সিনাই পর্বতমালা দখল করে নেয়। তখন থেকেই ইসরায়েল এসব এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছে এবং পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক আদালত এ দখলকে অবৈধ বলে রায় দিলেও ইসরায়েল তাদের দখল ছাড়েনি। ওবামার আহ্বান মেনে নিলে ইসরায়েলকে এসব এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা শিগগিরই রাষ্ট্রীয় এক সফরে যুক্তরাজ্য যাবেন। তাঁর এই সফর হবে গত ১০০ বছরের মধ্যে তৃতীয় কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তরাজ্য সফর। এই সফরে ওবামা-ক্যামেরনের ব্যক্তিগত আলোচনায় ফিলিস্তিনের সীমানাসংক্রান্ত বিষয়টি তোলা হবে। এ ছাড়া আফগানিস্তান ও লিবিয়া পরিস্থিতি, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধানের পদসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামারও ওই সফরে যাওয়ার কথা।
প্রেসিডেন্ট ওবামা গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নীতি নিয়ে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের আগের সীমানায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ ও ‘রক্ষা করা সম্ভব নয়’ উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেন। ওবামা তাঁর প্রস্তাবের পক্ষে ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও রাশিয়ার সমর্থন পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ ওই দুটি সংস্থা ও রাশিয়া একসঙ্গে ‘কোয়াট্রেট’ নামে পরিচিত, যারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসরায়েলের ওপর চাপ বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এ কারণেই তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সমর্থন আশা করছেন। ওবামার এই উদ্যোগের একটি বড় কারণ হলো ফিলিস্তিনের নেতাদের প্রভাবিত করা, যাতে ফিলিস্তিনি নেতারা আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতীকী সমর্থন না চান।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে লন্ডন। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী অ্যালিস্টেয়ার বার্ট ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েলের ‘আচরণ সহযোগিতামূলক নয়’ এবং দেশটি ‘অস্থিতিশীল করার কার্যক্রমে জড়িত’। পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের নতুন করে দেড় হাজার বসতি স্থাপনের ঘোষণার পর বার্ট এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন ঘোষণার পর আমি যারপরনাই অসন্তুষ্ট। ইসরায়েল এমন দিনে এই ঘোষণা দিল, যখন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্পষ্ট পথ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিলেন।’
এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, গত শুক্রবার ওবামা ও নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউসের বৈঠক ছিল ‘নিষ্প্রাণ’। গতকাল রোববার ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিয়ত আহারোনত-এ সাংবাদিক নাহুম বার্নেয়া ও সিমন শিফার লিখেছেন, ‘আমরা যখন ওভাল অফিসে ঢুকি, তখন দুই নেতা ঠিক স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন না। কেউ কারও দিকেও তাকাচ্ছিলেন না। তবে ওবামা আগে কথা বলেছেন।’ তাঁরা জানান, দুই নেতাকে দেখে মনে হয়েছে, তাঁরা সত্যিই চাপে আছেন। কোনো কিছু লুকানোর চেয়ে মতানৈক্যের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন তাঁরা।
তবে গত শনিবার নেতানিয়াহুর একজন মুখপাত্র জানান, ওবামা-নেতানিয়াহুর বৈঠকের আসল চিত্র গণমাধ্যমে উঠে আসেনি। নেতানিয়াহু নিজেই এই দাবি করেছেন।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, গোলান উপত্যকা ও সিনাই পর্বতমালা দখল করে নেয়। তখন থেকেই ইসরায়েল এসব এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছে এবং পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক আদালত এ দখলকে অবৈধ বলে রায় দিলেও ইসরায়েল তাদের দখল ছাড়েনি। ওবামার আহ্বান মেনে নিলে ইসরায়েলকে এসব এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।
No comments