ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে
অর্থবছরের শেষে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বিপুলভাবে বেড়ে গেছে। জুলাই-এপ্রিল সময়ে অর্থাৎ ১০ মাসে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ১১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা।
জাতীয় বাজেট-ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক খাত থেকে এই ঋণ নিয়েছে। যদিও ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে মোট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। সেই বিবেচনায় সরকার এখনো লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই রয়েছে।
তবে বছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের ঋণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম ছিল। হঠাৎ শেষভাগে এসে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতের অর্থপ্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
সূত্রগুলো বলছে, সরকার এখন দৈনন্দিন নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ নিচ্ছে। অন্যান্য খাত থেকে সরকারের অর্থপ্রাপ্তি কমে যাওয়ায় ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে সরকার উপায়-উপকরণ আগাম হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে।
তবে বিগত অর্থবছর এবং চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সরকারের এই উপায়-উপকরণ আগাম নেওয়ার পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। কিন্তু উপাত্তে দেখা যায়, এপ্রিলে এসে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকার পুরোটাই নিয়েছে। উপরন্তু, ওভারড্রাফট হিসেবে নেওয়া হয়েছে আরও প্রায় ৭৯৫ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার ব্যবস্থা থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে অর্থপ্রাপ্তিতে টানাটানি দেখা দিতে পারে। উপরন্তু, যে সময়ে এসে সরকার ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিচ্ছে, সে সময় বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না বলে বড় অভিযোগ উঠছে।
আবার সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন টাকা ছেপে সরকারের চাহিদা মেটাতে হয়। এতে রিজার্ভ মানি (মুদ্রা সরবরাহ) বাড়ে। ফলে, দেশের চলমান মূল্যস্তরের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের মোট ব্যাংকঋণের স্থিতি হয়েছে ৬৩ হাজার ২০৩ কোটি নয় লাখ টাকা। আর আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৪৭ হাজার ৪০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত জুন শেষে (৩০ জুন, ২০১০) ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৫১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। এক মাস আগে অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের এপ্রিল শেষে সরকারের নিট ঋণ ছিল ঋণাত্মক, (-) আট হাজার ৭৯১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপাত্ত থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সরকার সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে নিট ঋণ নিয়েছে দুই হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল আট হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমে যাওয়া এবং মুনাফার ওপর কর ধার্য হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এই ঋণ-প্রকল্প আকর্ষণ হারিয়েছে।
জাতীয় বাজেটে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
আবার বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সরকার চলতি বছর বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য তেমন আনতে পারেনি। বাজেটে এই সাহায্যপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। মার্চ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ এসেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এসব কারণে সরকারকে এখন বাজেট-ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাতের ওপরই নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।
জাতীয় বাজেট-ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক খাত থেকে এই ঋণ নিয়েছে। যদিও ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে মোট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। সেই বিবেচনায় সরকার এখনো লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই রয়েছে।
তবে বছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের ঋণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম ছিল। হঠাৎ শেষভাগে এসে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতের অর্থপ্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
সূত্রগুলো বলছে, সরকার এখন দৈনন্দিন নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ নিচ্ছে। অন্যান্য খাত থেকে সরকারের অর্থপ্রাপ্তি কমে যাওয়ায় ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে সরকার উপায়-উপকরণ আগাম হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে।
তবে বিগত অর্থবছর এবং চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সরকারের এই উপায়-উপকরণ আগাম নেওয়ার পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। কিন্তু উপাত্তে দেখা যায়, এপ্রিলে এসে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকার পুরোটাই নিয়েছে। উপরন্তু, ওভারড্রাফট হিসেবে নেওয়া হয়েছে আরও প্রায় ৭৯৫ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার ব্যবস্থা থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে অর্থপ্রাপ্তিতে টানাটানি দেখা দিতে পারে। উপরন্তু, যে সময়ে এসে সরকার ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নিচ্ছে, সে সময় বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না বলে বড় অভিযোগ উঠছে।
আবার সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন টাকা ছেপে সরকারের চাহিদা মেটাতে হয়। এতে রিজার্ভ মানি (মুদ্রা সরবরাহ) বাড়ে। ফলে, দেশের চলমান মূল্যস্তরের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের মোট ব্যাংকঋণের স্থিতি হয়েছে ৬৩ হাজার ২০৩ কোটি নয় লাখ টাকা। আর আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৪৭ হাজার ৪০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত জুন শেষে (৩০ জুন, ২০১০) ব্যাংক খাতে সরকারের মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৫১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। এক মাস আগে অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের এপ্রিল শেষে সরকারের নিট ঋণ ছিল ঋণাত্মক, (-) আট হাজার ৭৯১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপাত্ত থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সরকার সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে নিট ঋণ নিয়েছে দুই হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল আট হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমে যাওয়া এবং মুনাফার ওপর কর ধার্য হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এই ঋণ-প্রকল্প আকর্ষণ হারিয়েছে।
জাতীয় বাজেটে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
আবার বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সরকার চলতি বছর বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য তেমন আনতে পারেনি। বাজেটে এই সাহায্যপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। মার্চ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ এসেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এসব কারণে সরকারকে এখন বাজেট-ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাতের ওপরই নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।
No comments