স্যামির হাসিতে হাসল উইন্ডিজ
দারুণ অনুভূতি...’— মুখে না বললেও চলত। ড্যারেন স্যামির হাসিই বলে দিচ্ছিল সব। ১৭ ম্যাচ আর ২৭ মাস পর টেস্ট জয়, অনুভূতিটা দারুণ না হয়ে পারেই না!
আনন্দের চেয়ে স্বস্তিও কম নয়। সাড়ে তিন দিনের উত্তেজনা শেষে জয়ী দলে থাকার স্বস্তি তো আছেই। তার চেয়েও বড় স্বস্তি, অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে পারা। প্রশ্ন নম্বর এক: বিতর্কে জর্জরিত হীনবল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট জয়ের সামর্থ্য আছে কি না। প্রশ্ন নম্বর দুই: অধিনায়কের একাদশে থাকার যোগ্যতা আছে কি না। লো-স্কোরিং ম্যাচ বিবেচনায় ৪০ রানের বেশ বড়সড় জয়, দুই দলেরই সম্ভাবনা নিয়ে শুরু চতুর্থ দিনে ৫টি আর ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা, দারুণ ক্যাপ্টেনসি— প্রশ্নগুলোকে আপাতত কিছুদিনের জন্য থামাতে পেরেছেন স্যামি। আর পাকিস্তান? ক্যারিবিয়ানে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণ থাকছে এবারও। আগামী শুক্রবার শুরু শেষ টেস্টটা এখন সিরিজ হার বাঁচানোর লড়াই।
পেন্ডুলামের মতো দুলতে দুলতে ম্যাচটা একটু থিতু হয়েছিল তৃতীয় দিন শেষে। ২ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান দিন শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই করেছিল ৮০। দুই দলই মোটামুটি সমতায়। দিন শেষে রবি রামপল দাবি করেছিলেন, একটা উইকেটে পেলেই ম্যাচটা তাঁদের মুঠোয় চলে যাবে। কাল সকালে দলকে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি এনে দিয়েছেন রামপল নিজেই। দারুণ এক ইনকাটারে উপড়ে ফেলেছেন আসাদ শফিকের মিডল স্টাম্প। কিন্তু ম্যাচ তখনো উইন্ডিজের হাতের মুঠোয় আসেনি। এনে দিয়েছেন স্যামি।
শফিকের সঙ্গে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮১ রানের জুটিটা ভাঙার পর উমর আকমলকে নিয়ে ৫২ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি গড়েছিলেন মিসবাহ। রোচ-বিশুদের অকার্যকারিতায় বল হাতে নিলেন স্যামি, পাকিস্তানের সর্বনাশের শুরু। সাঈদ আজমলের দুসরায় যেমন দিশেহারা হয়েছে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা, পাকিস্তানিদের তেমন জবাব ছিল না স্যামির ইনকাটারের। জয়ের পথে মূল বাধা মিসবাহকে দিয়ে স্যামির শুরু। অষ্টম ইনিংসে সপ্তম ফিফটি পেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ম্যাচের একমাত্র ফিফটিও, কিন্তু দল যে চাইছিল আরও বড় কিছু!
এক বল পরই এলবিডব্লু সালমান। জয়ের পথে শেষ কাঁটা হয়ে থাকা উমর আকমলকেও সরিয়েছেন স্যামি, আজমলকে বোল্ড করে শেষটাও তাঁর হাতে। ১১ ওভারের টানা স্পেলে ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট! অধিনায়ককে যোগ্য সংগত করেছেন রামপল। আগের ৫ টেস্টে তাঁর মাত্র ৪ উইকেট, এই টেস্টেই ৭!
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে সাফল্য পাননি, ম্যাচ জয়ে তবু বড় অবদান বিশুর। কীভাবে? গত পরশু চন্দরপলের সঙ্গে বিশুর শেষ উইকেট জুটিতে ৪৮ রান, পাকিস্তান হেরেছে ৪০ রানে! ওই জুটিটাই তো শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নির্ধারক!
এলবিডব্লুর বিশ্ব রেকর্ড
বিশ্ব রেকর্ডটা এই দুদলেরই ছিল। ১৯৯৩ সালের ত্রিনিদাদ টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে এলবিডব্লু হয়েছিলেন ১৭ জন। রেকর্ডটাকে আরেকটু ‘উন্নত’ করল পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার গায়ানা টেস্টে এলবিডব্লু হয়েছেন মোট ২০ জন! ক্রিকইনফোর এক পাঠকের তাই যৌক্তিক প্রশ্ন, ‘ব্যাটসম্যানরা কী ভুলে গেছে খেলাটা ফুটবল নয়, ক্রিকেট!’
আনন্দের চেয়ে স্বস্তিও কম নয়। সাড়ে তিন দিনের উত্তেজনা শেষে জয়ী দলে থাকার স্বস্তি তো আছেই। তার চেয়েও বড় স্বস্তি, অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে পারা। প্রশ্ন নম্বর এক: বিতর্কে জর্জরিত হীনবল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট জয়ের সামর্থ্য আছে কি না। প্রশ্ন নম্বর দুই: অধিনায়কের একাদশে থাকার যোগ্যতা আছে কি না। লো-স্কোরিং ম্যাচ বিবেচনায় ৪০ রানের বেশ বড়সড় জয়, দুই দলেরই সম্ভাবনা নিয়ে শুরু চতুর্থ দিনে ৫টি আর ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা, দারুণ ক্যাপ্টেনসি— প্রশ্নগুলোকে আপাতত কিছুদিনের জন্য থামাতে পেরেছেন স্যামি। আর পাকিস্তান? ক্যারিবিয়ানে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণ থাকছে এবারও। আগামী শুক্রবার শুরু শেষ টেস্টটা এখন সিরিজ হার বাঁচানোর লড়াই।
পেন্ডুলামের মতো দুলতে দুলতে ম্যাচটা একটু থিতু হয়েছিল তৃতীয় দিন শেষে। ২ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান দিন শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই করেছিল ৮০। দুই দলই মোটামুটি সমতায়। দিন শেষে রবি রামপল দাবি করেছিলেন, একটা উইকেটে পেলেই ম্যাচটা তাঁদের মুঠোয় চলে যাবে। কাল সকালে দলকে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি এনে দিয়েছেন রামপল নিজেই। দারুণ এক ইনকাটারে উপড়ে ফেলেছেন আসাদ শফিকের মিডল স্টাম্প। কিন্তু ম্যাচ তখনো উইন্ডিজের হাতের মুঠোয় আসেনি। এনে দিয়েছেন স্যামি।
শফিকের সঙ্গে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮১ রানের জুটিটা ভাঙার পর উমর আকমলকে নিয়ে ৫২ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি গড়েছিলেন মিসবাহ। রোচ-বিশুদের অকার্যকারিতায় বল হাতে নিলেন স্যামি, পাকিস্তানের সর্বনাশের শুরু। সাঈদ আজমলের দুসরায় যেমন দিশেহারা হয়েছে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা, পাকিস্তানিদের তেমন জবাব ছিল না স্যামির ইনকাটারের। জয়ের পথে মূল বাধা মিসবাহকে দিয়ে স্যামির শুরু। অষ্টম ইনিংসে সপ্তম ফিফটি পেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ম্যাচের একমাত্র ফিফটিও, কিন্তু দল যে চাইছিল আরও বড় কিছু!
এক বল পরই এলবিডব্লু সালমান। জয়ের পথে শেষ কাঁটা হয়ে থাকা উমর আকমলকেও সরিয়েছেন স্যামি, আজমলকে বোল্ড করে শেষটাও তাঁর হাতে। ১১ ওভারের টানা স্পেলে ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট! অধিনায়ককে যোগ্য সংগত করেছেন রামপল। আগের ৫ টেস্টে তাঁর মাত্র ৪ উইকেট, এই টেস্টেই ৭!
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে সাফল্য পাননি, ম্যাচ জয়ে তবু বড় অবদান বিশুর। কীভাবে? গত পরশু চন্দরপলের সঙ্গে বিশুর শেষ উইকেট জুটিতে ৪৮ রান, পাকিস্তান হেরেছে ৪০ রানে! ওই জুটিটাই তো শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নির্ধারক!
এলবিডব্লুর বিশ্ব রেকর্ড
বিশ্ব রেকর্ডটা এই দুদলেরই ছিল। ১৯৯৩ সালের ত্রিনিদাদ টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে এলবিডব্লু হয়েছিলেন ১৭ জন। রেকর্ডটাকে আরেকটু ‘উন্নত’ করল পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার গায়ানা টেস্টে এলবিডব্লু হয়েছেন মোট ২০ জন! ক্রিকইনফোর এক পাঠকের তাই যৌক্তিক প্রশ্ন, ‘ব্যাটসম্যানরা কী ভুলে গেছে খেলাটা ফুটবল নয়, ক্রিকেট!’
No comments