২৫ বছরে ৩৬ শিরোপা!
একটা ধন্যবাদ যে দেবেন, সেই সুযোগও নেই। স্বর্গ থেকে মর্তে ধন্যবাদ জানানোর কোনো মাধ্যম যে নেই। তবে বব পেইসলি আশীর্বাদ হয়তো করছেন। অ্যালেক্স ফার্গুসনের সৌজন্যে যে আবারও আলোচনায় উঠে এলেন লিভারপুলের স্বর্ণযুগের কোচ।
১৯৯৩ সালে প্রথম লিগ শিরোপা জিতেছিলেন ফার্গুসন, পরশু জিতলেন তাঁর নিজের দ্বাদশ। সব মিলিয়ে যেটি ম্যানইউর ১৯তম শিরোপা। এই শিরোপা দিয়েই লিভারপুলের ১৮ লিগ শিরোপার রেকর্ড পেরিয়ে গেল ম্যানইউ। ম্যানইউতে তাঁর ২৫ বছরের রাজত্বে ৩৬টি শিরোপা জিতলেন ফার্গুসন। আবারও উঠল প্রসঙ্গটি—ফার্গুসনই কি তবে সর্বকালের সেরা ইংলিশ কোচ?
অনেকে হয়তো বব পেইসলির নামই বলবেন। পেইসলি শিরোপা জিতেছেন ১৮টি, ফার্গুসনের ঠিক অর্ধেক। কিন্তু লিভারপুলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মাত্র নয় বছর (১৯৭৪-১৯৮৩)। ফার্গুসনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ!
ফলে নিরেট পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিচারে সর্বকালের সেরা কোচকে বেছে নেওয়া যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের বাইরে তাকাতে হবে। এবং ফার্গুসনের মাহাত্ম্য তখনই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ারের’ যুগে ইংলিশ ফুটবলের অন্তহীন চাপ সামলে টানা এতগুলো বছর ম্যানইউর মতো শীর্ষ ক্লাবের কোচ হয়ে থাকাটাই তো অনেক বড় কৃতিত্বের। তার ওপর ফার্গুসন ১৯৮৬ সালে এমন একসময় দলের হাল ধরেছিলেন, ম্যানইউ যখন হালভাঙা নৌকা।
লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে দল, একের পর এক ব্যর্থতা, দলে শৃঙ্খলা আর ফিটনেসের অভাব, খেলোয়াড়দের মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান—ম্যানইউ যেন নৈরাশ্যের আঁধারে। সেই অবস্থা থেকে দলকে বের করে আনেন ধীরে ধীরে। দায়িত্ব নেওয়ার চার বছরের মাথায় আবার অদম্য দলে পরিণত হয় ম্যানইউ। ১৯৯০ সালে জেতে এফএ কাপ। চেলসির পর ম্যান সিটিও যখন টাকার বস্তা নিয়ে হাজির, তার মধ্যেও গত পাঁচটি লিগের চারটিই জিতিয়েছেন। ফার্গুসন নিজেও যেন দিনে দিনে আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠছেন!
চেলসি এবং ম্যান সিটির বিশাল বিত্ত বাকি দলগুলোর খেলোয়াড় কেনার ক্ষমতাও কমিয়ে দিয়েছে। ফার্গুসনের বেলাতেও একই কথা সত্যি। এবং এখানেও তাঁর মাহাত্ম্য ফুটে ওঠে। বিশ্বের যেকোনো কোচের চেয়ে তিনি পাকা জহুরি। তরুণ প্রতিভা চিনতে ভুল হয় না। সেটা ডেভিড বেকহাম থেকে শুরু করে ওয়েইন রুনি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য সত্যি; সত্যি এখনকার হাভিয়ের হার্নান্দেজের বেলাতেও। দলে অনিয়মিতভাবে সুযোগ পেয়েও যে হার্নান্দেজ এরই মধ্যে মৌসুমে করে ফেলেছেন ২০ গোল।
হার্নান্দেজ, রাফায়েল ডা সিলভা, ক্রিস স্মলিংয়ের মতো উঠতি প্রতিভার সঙ্গে গিগস-ফার্ডিনান্ডদের অভিজ্ঞতার মিশেলে এমন এক দল গড়ে তুলেছেন, ৩৭তম শিরোপাটি থেকেও খুব একটা দূরে নেই ফার্গুসন। অমরত্বের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়াটাও বেশি দূরে নয়।
১৯৯৩ সালে প্রথম লিগ শিরোপা জিতেছিলেন ফার্গুসন, পরশু জিতলেন তাঁর নিজের দ্বাদশ। সব মিলিয়ে যেটি ম্যানইউর ১৯তম শিরোপা। এই শিরোপা দিয়েই লিভারপুলের ১৮ লিগ শিরোপার রেকর্ড পেরিয়ে গেল ম্যানইউ। ম্যানইউতে তাঁর ২৫ বছরের রাজত্বে ৩৬টি শিরোপা জিতলেন ফার্গুসন। আবারও উঠল প্রসঙ্গটি—ফার্গুসনই কি তবে সর্বকালের সেরা ইংলিশ কোচ?
অনেকে হয়তো বব পেইসলির নামই বলবেন। পেইসলি শিরোপা জিতেছেন ১৮টি, ফার্গুসনের ঠিক অর্ধেক। কিন্তু লিভারপুলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মাত্র নয় বছর (১৯৭৪-১৯৮৩)। ফার্গুসনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ!
ফলে নিরেট পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিচারে সর্বকালের সেরা কোচকে বেছে নেওয়া যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের বাইরে তাকাতে হবে। এবং ফার্গুসনের মাহাত্ম্য তখনই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ারের’ যুগে ইংলিশ ফুটবলের অন্তহীন চাপ সামলে টানা এতগুলো বছর ম্যানইউর মতো শীর্ষ ক্লাবের কোচ হয়ে থাকাটাই তো অনেক বড় কৃতিত্বের। তার ওপর ফার্গুসন ১৯৮৬ সালে এমন একসময় দলের হাল ধরেছিলেন, ম্যানইউ যখন হালভাঙা নৌকা।
লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে দল, একের পর এক ব্যর্থতা, দলে শৃঙ্খলা আর ফিটনেসের অভাব, খেলোয়াড়দের মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান—ম্যানইউ যেন নৈরাশ্যের আঁধারে। সেই অবস্থা থেকে দলকে বের করে আনেন ধীরে ধীরে। দায়িত্ব নেওয়ার চার বছরের মাথায় আবার অদম্য দলে পরিণত হয় ম্যানইউ। ১৯৯০ সালে জেতে এফএ কাপ। চেলসির পর ম্যান সিটিও যখন টাকার বস্তা নিয়ে হাজির, তার মধ্যেও গত পাঁচটি লিগের চারটিই জিতিয়েছেন। ফার্গুসন নিজেও যেন দিনে দিনে আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠছেন!
চেলসি এবং ম্যান সিটির বিশাল বিত্ত বাকি দলগুলোর খেলোয়াড় কেনার ক্ষমতাও কমিয়ে দিয়েছে। ফার্গুসনের বেলাতেও একই কথা সত্যি। এবং এখানেও তাঁর মাহাত্ম্য ফুটে ওঠে। বিশ্বের যেকোনো কোচের চেয়ে তিনি পাকা জহুরি। তরুণ প্রতিভা চিনতে ভুল হয় না। সেটা ডেভিড বেকহাম থেকে শুরু করে ওয়েইন রুনি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য সত্যি; সত্যি এখনকার হাভিয়ের হার্নান্দেজের বেলাতেও। দলে অনিয়মিতভাবে সুযোগ পেয়েও যে হার্নান্দেজ এরই মধ্যে মৌসুমে করে ফেলেছেন ২০ গোল।
হার্নান্দেজ, রাফায়েল ডা সিলভা, ক্রিস স্মলিংয়ের মতো উঠতি প্রতিভার সঙ্গে গিগস-ফার্ডিনান্ডদের অভিজ্ঞতার মিশেলে এমন এক দল গড়ে তুলেছেন, ৩৭তম শিরোপাটি থেকেও খুব একটা দূরে নেই ফার্গুসন। অমরত্বের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়াটাও বেশি দূরে নয়।
No comments