ঔপনিবেশিক আমলের স্পর্শকাতর নথি প্রকাশ করবে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের ঔপনিবেশিক আমলের বেশ কিছু স্পর্শকাতর নথি প্রথমবারের মতো প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় মহাফেজখানার (আর্কাইভ) মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে।
বিভিন্ন সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্পর্শকাতর এসব তথ্যের নথি পাঠানো হয়েছে। নথির বেশির ভাগ তথ্যই উপনিবেশগুলোর স্বাধীনতা অর্জন করার সময়ের বলে জানা গেছে।
গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে কেনিয়ায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের হাতে নির্যাতনের অভিযোগে মউ মউ বিদ্রোহের চারজন নেতা যুক্তরাজ্যে মামলা করলে ওই সব নথির কথা প্রকাশ পায়। যুক্তরাজ্য সরকার অবশ্য বলছে, এ জন্য তারা দায়ী নয়। সরকার হাইকোর্টের মাধ্যমে ওই অভিযোগ মোকাবিলা করবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, তাঁর কার্যালয় মামলার কারণে গবেষণা করতে গিয়েই কেবল গত জানুয়ারিতে নথিগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এসব নথির তথ্য সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রেকর্ড করার পর তা জনগণের জন্য প্রকাশ করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেগ আরও বলেন, শুধু আইনি কারণে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উল্লেখযোগ্য সব নথির সব অংশই প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। নথিগুলো দ্রুত প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন আর্কাইভের আকার বেশ বড় বলে কাজ শেষ করতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকার রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক ডেভিড অ্যান্ডারসন বলেন, এসব নথির ‘বিশেষ গুরুত্ব’ রয়েছে। তিনি বলেন, নথিগুলোর অনেক তথ্যই স্পর্শকাতর ছিল বলে তা প্রকাশ করা হয়নি। ওই সময়ের ব্রিটিশ সরকার চাইত না বিষয়গুলো আমরা জানি। নথিগুলো প্রকাশিত হলে কিছু দেশের ব্যাপারে আমাদের ধারণা বদলে যেতে পারে। এসব তথ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলো সম্পর্কে এমন কিছু বিষয় প্রকাশ করতে পারে, যা এখনকার কিছু ব্রিটিশ নাগরিককে আহত করতে পারে।
মউ মউ বিদ্রোহের চার নেতার মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিদ্রোহ চলাকালে ১৯৫২ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বন্দিশিবিরে তাঁদের ওপর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তারা নির্যাতন চালান।
কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, মউ মউ বিদ্রোহে জড়িত থাকার দায়ে ওই সময় ফাঁসি দেওয়া ও নির্যাতনের শিকার মানুষের সংখ্যা হবে অন্তত ৯০ হাজার। এ ছাড়া এক লাখ ৬০ হাজার মানুষকে শোচনীয় পরিবেশে বন্দী রাখা হয়।
বিভিন্ন সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্পর্শকাতর এসব তথ্যের নথি পাঠানো হয়েছে। নথির বেশির ভাগ তথ্যই উপনিবেশগুলোর স্বাধীনতা অর্জন করার সময়ের বলে জানা গেছে।
গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে কেনিয়ায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের হাতে নির্যাতনের অভিযোগে মউ মউ বিদ্রোহের চারজন নেতা যুক্তরাজ্যে মামলা করলে ওই সব নথির কথা প্রকাশ পায়। যুক্তরাজ্য সরকার অবশ্য বলছে, এ জন্য তারা দায়ী নয়। সরকার হাইকোর্টের মাধ্যমে ওই অভিযোগ মোকাবিলা করবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, তাঁর কার্যালয় মামলার কারণে গবেষণা করতে গিয়েই কেবল গত জানুয়ারিতে নথিগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এসব নথির তথ্য সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রেকর্ড করার পর তা জনগণের জন্য প্রকাশ করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেগ আরও বলেন, শুধু আইনি কারণে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উল্লেখযোগ্য সব নথির সব অংশই প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। নথিগুলো দ্রুত প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন আর্কাইভের আকার বেশ বড় বলে কাজ শেষ করতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকার রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক ডেভিড অ্যান্ডারসন বলেন, এসব নথির ‘বিশেষ গুরুত্ব’ রয়েছে। তিনি বলেন, নথিগুলোর অনেক তথ্যই স্পর্শকাতর ছিল বলে তা প্রকাশ করা হয়নি। ওই সময়ের ব্রিটিশ সরকার চাইত না বিষয়গুলো আমরা জানি। নথিগুলো প্রকাশিত হলে কিছু দেশের ব্যাপারে আমাদের ধারণা বদলে যেতে পারে। এসব তথ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলো সম্পর্কে এমন কিছু বিষয় প্রকাশ করতে পারে, যা এখনকার কিছু ব্রিটিশ নাগরিককে আহত করতে পারে।
মউ মউ বিদ্রোহের চার নেতার মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিদ্রোহ চলাকালে ১৯৫২ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বন্দিশিবিরে তাঁদের ওপর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তারা নির্যাতন চালান।
কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, মউ মউ বিদ্রোহে জড়িত থাকার দায়ে ওই সময় ফাঁসি দেওয়া ও নির্যাতনের শিকার মানুষের সংখ্যা হবে অন্তত ৯০ হাজার। এ ছাড়া এক লাখ ৬০ হাজার মানুষকে শোচনীয় পরিবেশে বন্দী রাখা হয়।
No comments