সাকিব-তামিমের চ্যালেঞ্জ
ক্রিকেটে কিছু শব্দের ব্যবহার ইদানীং এত বেশি যে শব্দগুলো এর মমার্থই হারিয়ে ফেলছে। যেমন—‘গ্রেট’। এতটাই উচ্চারিত শব্দ যে ‘গ্রেট’ শব্দটি থেকে ‘গ্রেটনেস’ উধাও হওয়ার জোগাড়। আরেকটা যেমন ‘চ্যালেঞ্জ’। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি মুহূর্তই যেন চ্যালেঞ্জ। সাধারণ মুহূর্ত তাহলে কোনটা? গবেষণার বিষয়। তবে দুজনের জন্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজটাকে যদি বলা হয় চ্যালেঞ্জ, একটুও বাড়িয়ে বলা হয় না। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল!
একজন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, আরেকজন তাঁর ডেপুটি। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভূমিকার কারণেও দুজন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল যেমন আকাশচুম্বী, তেমনি এই দুজনকে নিয়েও। দলকে নিয়ে যেমন, বিশ্বকাপজুড়ে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির টানাপোড়েন চলেছে তাঁদের নিয়েও। সব শেষে হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, কারণ সাকিব-তামিম প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি!
বিশ্বকাপে প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি দলের প্রায় সবাই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে এই দুজনেরটাই। এই দুজনের কাছেই প্রত্যাশাটা যে সবচেয়ে বেশি ছিল! এ জন্য অবশ্য ‘দায়ী’ তাঁরা দুজনই। প্রত্যাশা তো আর এমনি এমনি আসেনি। তাঁদের দুর্দান্ত ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই ছিল এই প্রত্যাশার উৎস। যে সিরিজটার জন্য বাংলাদেশকে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখার শুরু, সেই নিউজিল্যান্ড সিরিজের কথা ভাবুন। সিরিজ শুরুর আগে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেছিলেন, তাঁদের মূল ভাবনা (আসলে দুর্ভাবনা) সাকিবকে নিয়ে। সাকিব কথাটাকে সত্যি প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন। চার ম্যাচের দুটিতে ম্যাচসেরা, সিরিজের সর্বোচ্চ রান ও উইকেট, দুর্দান্ত ক্যাপ্টেনসি, ম্যান অব দ্য সিরিজ—নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ হলো তো এক সাকিবের হাতেই!
নিউজিল্যান্ড সিরিজে তামিম ছিলেন না। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ও ইংল্যান্ডে তাঁর পারফরম্যান্স, এর আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পারফরম্যান্স, বছর দুয়েক ধরেই তো নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে সাকিব-তামিমের ভালো খেলা আর বাংলাদেশের ভালো করা যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার কারণ খুঁজতে তাই খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। ৫৮ আর ৭৮-ই সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দেওয়ার কথা। তবে তামিমের জন্য ০, ০ ও ৫; আর সাকিবের জন্য ১৬, ৮, ১...সংখ্যাগুলোও কম বেদনার নয়। এগুলো ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পাঁচালি। ৬ ম্যাচে ৮ উইকেটও খুব একটা খারাপ নয়, কিন্তু তাঁকে নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন যে সাকিব নিজেই!
বিশ্বকাপের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, মানছেন দুজনই। তবে যৌক্তিকভাবেই এ নিয়ে মাথা কুটে মরতেও নারাজ দুই বন্ধু, দুই সহযোদ্ধা। নেতিবাচক ব্যাপারগুলো মাথায় ঢোকাতে চান না কেউই। বরাবরের মতোই লক্ষ্য-টক্ষ্য নিয়ে খুব উচ্চবাচ্য করেন না সাকিব। এবারও তাই, ‘আমি ভালো করলে তো অবশ্যই ভালো। দলের জন্য ভালো, দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো। ব্যক্তিগত লক্ষ্য আমি কখনোই ঠিক করি না, এবারও করিনি। যতটা পারি দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করব। তারপর দেখা যাবে কী হয়। এই তো...।’
তামিম আবার বরাবরই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে ভালোবাসেন। ব্যাটিংয়ের মতো আক্রমণাত্মক তিনি কাথাবার্তায়ও। লক্ষ্য সাড়ম্বরে জানিয়ে দিতে দ্বিধা নেই। জানিয়ে দিলেন প্রতি সিরিজে যেমন থাকে, তেমনি এই সিরিজেও লক্ষ্য সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়া। দলকে জেতানো।
‘দলের জন্য অবদান রাখা’ বা ‘সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী হওয়া’—লক্ষ্য অর্জন এবার খুব জরুরি। বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে গত বছর দুয়েকে দুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। নিজেদের জাতটা সবাইকে আবার একটু মনে করিয়ে দেওয়ার সময় যে হয়ে গেছে!
একজন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, আরেকজন তাঁর ডেপুটি। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভূমিকার কারণেও দুজন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল যেমন আকাশচুম্বী, তেমনি এই দুজনকে নিয়েও। দলকে নিয়ে যেমন, বিশ্বকাপজুড়ে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির টানাপোড়েন চলেছে তাঁদের নিয়েও। সব শেষে হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, কারণ সাকিব-তামিম প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি!
বিশ্বকাপে প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি দলের প্রায় সবাই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে এই দুজনেরটাই। এই দুজনের কাছেই প্রত্যাশাটা যে সবচেয়ে বেশি ছিল! এ জন্য অবশ্য ‘দায়ী’ তাঁরা দুজনই। প্রত্যাশা তো আর এমনি এমনি আসেনি। তাঁদের দুর্দান্ত ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই ছিল এই প্রত্যাশার উৎস। যে সিরিজটার জন্য বাংলাদেশকে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখার শুরু, সেই নিউজিল্যান্ড সিরিজের কথা ভাবুন। সিরিজ শুরুর আগে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেছিলেন, তাঁদের মূল ভাবনা (আসলে দুর্ভাবনা) সাকিবকে নিয়ে। সাকিব কথাটাকে সত্যি প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন। চার ম্যাচের দুটিতে ম্যাচসেরা, সিরিজের সর্বোচ্চ রান ও উইকেট, দুর্দান্ত ক্যাপ্টেনসি, ম্যান অব দ্য সিরিজ—নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ হলো তো এক সাকিবের হাতেই!
নিউজিল্যান্ড সিরিজে তামিম ছিলেন না। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ও ইংল্যান্ডে তাঁর পারফরম্যান্স, এর আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পারফরম্যান্স, বছর দুয়েক ধরেই তো নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে সাকিব-তামিমের ভালো খেলা আর বাংলাদেশের ভালো করা যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার কারণ খুঁজতে তাই খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। ৫৮ আর ৭৮-ই সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দেওয়ার কথা। তবে তামিমের জন্য ০, ০ ও ৫; আর সাকিবের জন্য ১৬, ৮, ১...সংখ্যাগুলোও কম বেদনার নয়। এগুলো ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পাঁচালি। ৬ ম্যাচে ৮ উইকেটও খুব একটা খারাপ নয়, কিন্তু তাঁকে নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন যে সাকিব নিজেই!
বিশ্বকাপের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, মানছেন দুজনই। তবে যৌক্তিকভাবেই এ নিয়ে মাথা কুটে মরতেও নারাজ দুই বন্ধু, দুই সহযোদ্ধা। নেতিবাচক ব্যাপারগুলো মাথায় ঢোকাতে চান না কেউই। বরাবরের মতোই লক্ষ্য-টক্ষ্য নিয়ে খুব উচ্চবাচ্য করেন না সাকিব। এবারও তাই, ‘আমি ভালো করলে তো অবশ্যই ভালো। দলের জন্য ভালো, দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো। ব্যক্তিগত লক্ষ্য আমি কখনোই ঠিক করি না, এবারও করিনি। যতটা পারি দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করব। তারপর দেখা যাবে কী হয়। এই তো...।’
তামিম আবার বরাবরই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে ভালোবাসেন। ব্যাটিংয়ের মতো আক্রমণাত্মক তিনি কাথাবার্তায়ও। লক্ষ্য সাড়ম্বরে জানিয়ে দিতে দ্বিধা নেই। জানিয়ে দিলেন প্রতি সিরিজে যেমন থাকে, তেমনি এই সিরিজেও লক্ষ্য সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়া। দলকে জেতানো।
‘দলের জন্য অবদান রাখা’ বা ‘সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী হওয়া’—লক্ষ্য অর্জন এবার খুব জরুরি। বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে গত বছর দুয়েকে দুজনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। নিজেদের জাতটা সবাইকে আবার একটু মনে করিয়ে দেওয়ার সময় যে হয়ে গেছে!
No comments