আরেকটি পারমাণবিক কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি ছড়িয়ে পড়েছে
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিপর্যস্ত জাপানে গত বৃহস্পতিবার রাতে আবার আঘাত হানা ভূমিকম্পে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের পর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা গতকাল শুক্রবার জানান, ভূমিকম্পের পর নতুন আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লির তেজস্ক্রিয় পানি বেরিয়ে পড়েছে। নতুন করে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে ফুকুশিমা কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া রোধ করার লড়াই এখন আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু আগে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে। সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয় আগের ভূমিকম্প ও সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেন্দাই উপকূলে। সেখানে অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া টোকিওর বিভিন্ন ভবন কেঁপে ওঠে। উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাড়ির বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি-সতর্কতা জারি করা হয়। তবে ৯০ মিনিট পর সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
রাতের ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। উপকূলীয় শহর কিতাকামির বাসিন্দা কাজুইয়ুকি শিরোওয়া গতকাল বলেন, ‘আমি তো ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এক মাস আগের ভয়াবহতার কথা বারবার মনে পড়েছে। একের পর এক ভূমিকম্পে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, আর যেন ভূমিকম্প না হয়।’
কর্মকর্তারা গতকাল জানান, বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্পের পর নতুন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি থেকে কিছু তেজস্ক্রিয় পানি বেরিয়ে পড়েছে। জাপানের পরমাণু ও শিল্প নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, ওনাগাওয়া কেন্দ্রের তিনটি চুল্লির সব কটি থেকে চুল্লির জ্বালানির আধার থেকে তেজস্ক্রিয় তরল ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২ নম্বর চুল্লি থেকে প্রায় চার লিটার তরল কক্ষের মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে।
তবে এটা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির কোনো কারণ হবে না বলে জানায় ওই কেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি। তারা জানায়, পরিস্থিতি ফুকুশিমা কেন্দ্রের মতো নয়।
ওনাগাওয়া কেন্দ্রটি ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে।
বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎসংযোগ বাইরে থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে পরে আবার তা সচল করা হয়। ভূমিকম্পের পর ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে কর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কিছুক্ষণ পর আবার তাঁরা কাজে যোগ দেন।
ওই কেন্দ্রের ১ নম্বর চুল্লিতে এখন অতিমাত্রায় হাইড্রোজেন তৈরি হচ্ছে। এই হাইড্রোজেন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রকৌশলীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্মীরা সেখানে বাইরে থেকে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু আগে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে। সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয় আগের ভূমিকম্প ও সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেন্দাই উপকূলে। সেখানে অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া টোকিওর বিভিন্ন ভবন কেঁপে ওঠে। উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাড়ির বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি-সতর্কতা জারি করা হয়। তবে ৯০ মিনিট পর সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
রাতের ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। উপকূলীয় শহর কিতাকামির বাসিন্দা কাজুইয়ুকি শিরোওয়া গতকাল বলেন, ‘আমি তো ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এক মাস আগের ভয়াবহতার কথা বারবার মনে পড়েছে। একের পর এক ভূমিকম্পে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, আর যেন ভূমিকম্প না হয়।’
কর্মকর্তারা গতকাল জানান, বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্পের পর নতুন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি থেকে কিছু তেজস্ক্রিয় পানি বেরিয়ে পড়েছে। জাপানের পরমাণু ও শিল্প নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, ওনাগাওয়া কেন্দ্রের তিনটি চুল্লির সব কটি থেকে চুল্লির জ্বালানির আধার থেকে তেজস্ক্রিয় তরল ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২ নম্বর চুল্লি থেকে প্রায় চার লিটার তরল কক্ষের মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে।
তবে এটা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির কোনো কারণ হবে না বলে জানায় ওই কেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি। তারা জানায়, পরিস্থিতি ফুকুশিমা কেন্দ্রের মতো নয়।
ওনাগাওয়া কেন্দ্রটি ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে।
বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎসংযোগ বাইরে থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে পরে আবার তা সচল করা হয়। ভূমিকম্পের পর ফুকুশিমা কেন্দ্র থেকে কর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কিছুক্ষণ পর আবার তাঁরা কাজে যোগ দেন।
ওই কেন্দ্রের ১ নম্বর চুল্লিতে এখন অতিমাত্রায় হাইড্রোজেন তৈরি হচ্ছে। এই হাইড্রোজেন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রকৌশলীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্মীরা সেখানে বাইরে থেকে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
No comments