যেন দায় সারছে বাফুফে
বাংলাদেশ লিগের ১২টি দল নিয়ে আগামীকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু দ্বিতীয় স্বাধীনতা কাপ ফুটবল। ছয় বছর পর টুর্নামেন্টটি মাঠে ফেরার ৪৮ ঘণ্টা আগে কাল ফুটবল ভবনে হলো ড্র অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বাফুফের সভাপতি তো বটেই, পাঁচ সহসভাপতিও গরহাজির। তাঁদের মধ্যে দুজনের উপস্থিতি ছিল খুবই প্রত্যাশিত—সালাম মুর্শেদি ও কাজী নাবিল আহমেদ।
স্বাধীনতা কাপ হচ্ছে বাংলাদেশ লিগ কমিটির তত্ত্বাবধানে। এর চেয়ারম্যান বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদি বিদেশে। সম্প্রতি অনূর্ধ্ব-১৬ পাইওনিয়ার লিগে খেলে তাঁর ছেলের পা ভেঙেছে। চিকিৎসা করাতে তাই বিদেশে গেছেন। কাজী নাবিল কমিটির কো-চেয়ারম্যান, কিন্তু তিনিও অনুপস্থিত।
কিশোর ফুটবলারদের মাঠের ব্যাপারে বাফুফে বরাবরই উদাসীন। কদিন আগে পাইওনিয়ার লিগ হয়েছে কিশোরদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে ওঠা এবড়োখেবড়ো মাঠে। বাফুফে বালুতে মুখ গুজে আছে আর বাজে মাঠে খেলে আজকের কিশোরদের স্বপ্ন শেষ হচ্ছে নীরবে। কর্তারা মাঠে গিয়ে একটু খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না। এমনকি এখন তো অনুষ্ঠানেও আসার আগ্রহ নেই কর্মকর্তাদের অনেকের।
সাংগঠনিকভাবেও বাফুফেকে এখন গ্রামের ‘একতা সংঘের’ মতো দেখাচ্ছে। স্বাধীনতা কাপের ৪৮ ঘণ্টা আগেও পৃষ্ঠপোষক চূড়ান্ত হয়নি। এত দিন বাফুফে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আগ্রহেই স্বাধীনতা কাপ হচ্ছে এবং সব খরচ মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু কাল উল্টো সুর। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিদেশে। রোববার মন্ত্রী এলে চূড়ান্ত হতে পারে, না হলে নাকি বাফুফেই টাকার ব্যবস্থা করবে। দেনাজর্জরিত বাফুফে সম্ভবত আরও দেনায় ডুবতে চলেছে।
স্বাধীনতা কাপ উদ্বোধন করার জন্য একজন অতিথি পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি গতকাল পর্যন্ত। ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লিগ কমিটির সদস্য হারুনুর রশিদ জানালেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে আয়োজিত টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করার জন্য স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভির মাজহার তান্নাকে চিন্তা করা হচ্ছে। তান্না দেশে নেই, কবে আসবেন বাফুফে জানে না। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, দায় সারতে পারলেই বাঁচে বাফুফে!
তবে শেষ মুহূর্তে একটা ব্যাপার ঠিক হয়েছে—১২ দলকে চার ভাগে ভাগ করে খেলানো হবে ১৪ দিনের টুর্নামেন্টে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে ৮টি দল! তিন দলের গ্রুপ থেকে দুটি দল শেষ আটে যাওয়া মানে গ্রুপ পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তেমন থাকবে না, যা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বিকেল সাড়ে চারটায় শেখ জামাল-ফরাশগঞ্জ ম্যাচ দিয়ে। কালই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আবাহনী-চট্টগ্রাম মোহামেডান। দলগুলোর জন্য অংশগ্রহণ দুই লাখ টাকা করে। চ্যাম্পিয়নদের ৫ লাখ।
ড্র অনুষ্ঠানে ঘোষণা এল, স্বাধীনতা কাপ এখন থেকে প্রতিবছর হবে। বাফুফের এমন হাজারো প্রতিশ্রুতি উদাসীনতার চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়ায় এই ঘোষণাটা অনেকের কাছেই রসিকতা ঠেকল। কোটি টাকার সুপার কাপ একবার হয়েই মুখ থুবড়ে পড়া সর্বশেষ উদাহরণ। এটা নিয়ে এখন নানা অজুহাত আর টালবাহানা চলছে।
স্বাধীনতা কাপ হচ্ছে বাংলাদেশ লিগ কমিটির তত্ত্বাবধানে। এর চেয়ারম্যান বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদি বিদেশে। সম্প্রতি অনূর্ধ্ব-১৬ পাইওনিয়ার লিগে খেলে তাঁর ছেলের পা ভেঙেছে। চিকিৎসা করাতে তাই বিদেশে গেছেন। কাজী নাবিল কমিটির কো-চেয়ারম্যান, কিন্তু তিনিও অনুপস্থিত।
কিশোর ফুটবলারদের মাঠের ব্যাপারে বাফুফে বরাবরই উদাসীন। কদিন আগে পাইওনিয়ার লিগ হয়েছে কিশোরদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে ওঠা এবড়োখেবড়ো মাঠে। বাফুফে বালুতে মুখ গুজে আছে আর বাজে মাঠে খেলে আজকের কিশোরদের স্বপ্ন শেষ হচ্ছে নীরবে। কর্তারা মাঠে গিয়ে একটু খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না। এমনকি এখন তো অনুষ্ঠানেও আসার আগ্রহ নেই কর্মকর্তাদের অনেকের।
সাংগঠনিকভাবেও বাফুফেকে এখন গ্রামের ‘একতা সংঘের’ মতো দেখাচ্ছে। স্বাধীনতা কাপের ৪৮ ঘণ্টা আগেও পৃষ্ঠপোষক চূড়ান্ত হয়নি। এত দিন বাফুফে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আগ্রহেই স্বাধীনতা কাপ হচ্ছে এবং সব খরচ মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু কাল উল্টো সুর। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিদেশে। রোববার মন্ত্রী এলে চূড়ান্ত হতে পারে, না হলে নাকি বাফুফেই টাকার ব্যবস্থা করবে। দেনাজর্জরিত বাফুফে সম্ভবত আরও দেনায় ডুবতে চলেছে।
স্বাধীনতা কাপ উদ্বোধন করার জন্য একজন অতিথি পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি গতকাল পর্যন্ত। ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লিগ কমিটির সদস্য হারুনুর রশিদ জানালেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে আয়োজিত টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করার জন্য স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভির মাজহার তান্নাকে চিন্তা করা হচ্ছে। তান্না দেশে নেই, কবে আসবেন বাফুফে জানে না। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, দায় সারতে পারলেই বাঁচে বাফুফে!
তবে শেষ মুহূর্তে একটা ব্যাপার ঠিক হয়েছে—১২ দলকে চার ভাগে ভাগ করে খেলানো হবে ১৪ দিনের টুর্নামেন্টে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে ৮টি দল! তিন দলের গ্রুপ থেকে দুটি দল শেষ আটে যাওয়া মানে গ্রুপ পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তেমন থাকবে না, যা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বিকেল সাড়ে চারটায় শেখ জামাল-ফরাশগঞ্জ ম্যাচ দিয়ে। কালই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আবাহনী-চট্টগ্রাম মোহামেডান। দলগুলোর জন্য অংশগ্রহণ দুই লাখ টাকা করে। চ্যাম্পিয়নদের ৫ লাখ।
ড্র অনুষ্ঠানে ঘোষণা এল, স্বাধীনতা কাপ এখন থেকে প্রতিবছর হবে। বাফুফের এমন হাজারো প্রতিশ্রুতি উদাসীনতার চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়ায় এই ঘোষণাটা অনেকের কাছেই রসিকতা ঠেকল। কোটি টাকার সুপার কাপ একবার হয়েই মুখ থুবড়ে পড়া সর্বশেষ উদাহরণ। এটা নিয়ে এখন নানা অজুহাত আর টালবাহানা চলছে।
No comments