লিবিয়া অভিযানের নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্ত পশ্চিমারা
লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব নিয়ে কার্যত বিভক্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, ন্যাটোই এই অভিযানে নেতৃত্ব দিক। কিন্তু এতে আপত্তি আছে ফ্রান্সের। এদিকে চীন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নেতারা লিবিয়ায় পশ্চিমা বাহিনীর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ল্যাটিন আমেরিকা সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন, জোট বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে একটু সময় লাগবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এ অভিযানে অংশ নিয়েছে এমন দেশগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসে একটি সমাধান করা যাবে।’ তবে এর আগে ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
যুক্তরাষ্ট্র সামনে থেকে লিবিয়া অভিযানে নেতৃত্ব দিতে চাইছে না। এ জন্য এই দায়িত্ব তারা ন্যাটোর হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ন্যাটোর সদস্য ফ্রান্স আপত্তি জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, ন্যাটো পরিকল্পনাগত ও সামরিক নেতৃত্ব দিতে পারে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেইন জুপ্পে গতকাল বুধবার প্যারিসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জোটভুক্ত দেশগুলো ও আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। অভিযানের সার্বিক তদারকির বিষয়টি দেখবে এই কমিটি।
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ সময় তাঁরা সম্মত হয়েছেন যে লিবিয়া অভিযানে ন্যাটোই প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ন্যাটো জোটভুক্ত নয় এমন দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ন্যাটোর আছে। কাজেই আমরা এমন একটি অবকাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি, যাতে ন্যাটোর সহযোগিতা এবং তাদের সক্ষমতা আমরা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারি।’
তবে হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতির পর ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যাটো কীভাবে জোট বাহিনীকে সহযোগিতা করতে পারে, শুধু তা নিয়েই ওবামার সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট সারকোজি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো চাইছে, ন্যাটো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক। কিন্তু আমরা ন্যাটোর বাইরের দেশগুলোকেও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে চাই। তারা যেন মনে না করে, তাদের একপাশে ফেলে রাখা হয়েছে।’
এদিকে লিবিয়ায় পশ্চিমা জোটের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্লোব টাইমস পত্রিকা গতকাল লিখেছে, লিবিয়ার তেলসম্পদ লুটতে এবং বিশ্বের ওপর নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে পশ্চািম দেশগুলো লিবিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে।
আফ্রিকার দেশ উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাও লিবিয়ায় পশ্চিমা বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিমুখী নীতি মেনে চলছে উল্লেখ করে পত্রিকায় একটি দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োবেরি মুসেভেনি।
লিবিয়ার সমস্যা সমসাধানের লক্ষ্যে আফ্রিকান ইউনিয়ন যে কমিটি গঠন করেছিল, তাতে ছিলেন মুসেভেনি। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বলেছেন, লিবিয়ার তেলসম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতেই পশ্চিমারা সেখানে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া নামিবিয়া, নাইজেরিয়াও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ল্যাটিন আমেরিকা সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন, জোট বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে একটু সময় লাগবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এ অভিযানে অংশ নিয়েছে এমন দেশগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসে একটি সমাধান করা যাবে।’ তবে এর আগে ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
যুক্তরাষ্ট্র সামনে থেকে লিবিয়া অভিযানে নেতৃত্ব দিতে চাইছে না। এ জন্য এই দায়িত্ব তারা ন্যাটোর হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ন্যাটোর সদস্য ফ্রান্স আপত্তি জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, ন্যাটো পরিকল্পনাগত ও সামরিক নেতৃত্ব দিতে পারে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেইন জুপ্পে গতকাল বুধবার প্যারিসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জোটভুক্ত দেশগুলো ও আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। অভিযানের সার্বিক তদারকির বিষয়টি দেখবে এই কমিটি।
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ সময় তাঁরা সম্মত হয়েছেন যে লিবিয়া অভিযানে ন্যাটোই প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ন্যাটো জোটভুক্ত নয় এমন দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ন্যাটোর আছে। কাজেই আমরা এমন একটি অবকাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি, যাতে ন্যাটোর সহযোগিতা এবং তাদের সক্ষমতা আমরা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারি।’
তবে হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতির পর ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যাটো কীভাবে জোট বাহিনীকে সহযোগিতা করতে পারে, শুধু তা নিয়েই ওবামার সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট সারকোজি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো চাইছে, ন্যাটো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক। কিন্তু আমরা ন্যাটোর বাইরের দেশগুলোকেও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে চাই। তারা যেন মনে না করে, তাদের একপাশে ফেলে রাখা হয়েছে।’
এদিকে লিবিয়ায় পশ্চিমা জোটের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্লোব টাইমস পত্রিকা গতকাল লিখেছে, লিবিয়ার তেলসম্পদ লুটতে এবং বিশ্বের ওপর নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে পশ্চািম দেশগুলো লিবিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে।
আফ্রিকার দেশ উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাও লিবিয়ায় পশ্চিমা বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিমুখী নীতি মেনে চলছে উল্লেখ করে পত্রিকায় একটি দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োবেরি মুসেভেনি।
লিবিয়ার সমস্যা সমসাধানের লক্ষ্যে আফ্রিকান ইউনিয়ন যে কমিটি গঠন করেছিল, তাতে ছিলেন মুসেভেনি। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বলেছেন, লিবিয়ার তেলসম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতেই পশ্চিমারা সেখানে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া নামিবিয়া, নাইজেরিয়াও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
No comments