আফ্রিদি মানেই এখন উইকেট!
জার্সি নম্বর ১০। নম্বরটা কি তিনি ইচ্ছা করেই বেছে নিয়েছেন? নাকি কাকতাল! ভেবে নিতে ইচ্ছা করে, ১০ নম্বর জার্সিটা শহীদ আফ্রিদি বেছে নিয়েছেন ইচ্ছা করেই। আফ্রিদি যেন ক্রিকেটে গুরুত্বহীন জার্সি নম্বরটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চান। ফুটবলে যেমন ১০ নম্বরটা নিজেই কিংবদন্তি। ক্রিকেটে নয়। তবে হয়ে উঠতে পারে এর পর থেকে। শচীন টেন্ডুলকারের নম্বর ১০। আফ্রিদিরও।
টেন্ডুলকারের ব্যাট এই বিশ্বকাপেও হাসছে। তবে তার চেয়েও বেশি হাসছেন আফ্রিদি। না, তাঁর ব্যাট নয়; হাসছেন বোলার আফ্রিদি। প্রথম তিন ম্যাচেই নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। পরের তিন ম্যাচে তিনটি নিয়ে একটু যেন জিরিয়ে নিয়েছিলেন। বিশ্রাম শেষ। কাল আবার ৪ উইকেট নিলেন ৩০ রান খরচায়। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার চার উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এত দিন ছিল দুই স্পিনার শেন ওয়ার্ন আর মুত্তিয়া মুরালিধরনের।
কাল তাঁদের পাশে নয়, একেবারে ওপরে গিয়ে বসলেন আফ্রিদি। কাল চতুর্থবারের মতো ম্যাচে ৪ উইকেট। ওয়ার্ন-মুরালিরও তা-ই। তবে আফ্রিদি সেটা করলেন এক বিশ্বকাপেই। ওয়ানডে ইতিহাসেই এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিবার চার উইকেট নেওয়ার নতুন রেকর্ড।
এই বিশ্বকাপের যাত্রাপথে আফ্রিদি এরই মধ্যে বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙেছেনও। তাঁর প্রিয় ‘ওয়াসিম ভাই’য়ের একটা রেকর্ড যেমন। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতার পথে ওয়াসিম আকরাম নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। এত দিন সেটাই ছিল এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার পাকিস্তানি রেকর্ড। কাল আকরামকে দুইয়ে ঠেলে দিলেন। ২১ উইকেট নেওয়া আফ্রিদির সামনে এখন বিশ্বকাপের রেকর্ডটারই হাতছানি। গত বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাকগ্রা নিয়েছিলেন ২৬ উইকেট।
শুধু উইকেটপ্রাপ্তিতে নয়, আফ্রিদি ভূমিকা রাখছেন দলের জয়েও। কেনিয়াকে ২০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আফ্রিদি। ম্যাচ-সেরা অবশ্য ওই ম্যাচে হননি। হয়েছিলেন পরের ম্যাচে। শ্রীলঙ্কাকে একটুর জন্য জয়বঞ্চিত করেছিল ৩৪ রানে নেওয়া তাঁর ৪ উইকেট। যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার তিন সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকের দুজনই তাঁর শিকার। সেই দুটো উইকেট আবার তিলকরত্নে দিলশান আর কুমার সাঙ্গাকারার বলে মাহাত্ম্যটা বেড়ে যাচ্ছে আরও। অধিনায়ক আফ্রিদির আরও বড় ভূমিকাটা দেখা গেছে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটায়। মাত্র ১৮৪ রান করেও পাকিস্তান জিতেছে তাঁর স্পিনে আবারও পাঁচ ব্যাটসম্যান বধ হওয়ায়। এবারও ম্যাচ-সেরা আফ্রিদি।
গ্রুপ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে উমর গুলের ছায়ায় ঢাকা পড়েছিলেন। কিন্তু আফ্রিদি কাল জ্বলে উঠলেন আবারও। স্পিনের বিপক্ষে হাঁসফাঁস করতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের গলায় মরণফাঁস পরিয়ে দিলেন। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও।
বল হাতে যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটি ব্যাট হাতেও দিতে পারলে সবচেয়ে খুশি তিনিই হতেন। আফ্রিদির বড় পরিচয় তো ছিল ওটাই—‘বুমবুম আফ্রিদি’ নামটা আর এমনিই হয়নি। প্রতিটা সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং নিয়ে নিজেই সমালোচনা করছেন। কে জানে, ব্যাট হাতে সফল হতে না-পারাটাই হয়তো তাঁকে বেশি করে অনুপ্রাণিত করছে বল হাতে জ্বলে উঠতে!
তবে এটা নিশ্চিত, বিশ্বকাপ যে তাঁর জন্য একটা দুঃস্মৃতি হয়ে ছিল, সেটাকে এবার মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞাই করে এসেছিলেন। এর আগে যে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন, তাতে তাঁর উইকেট ছিল ৭টি; রান ছিল সব মিলে ১২৫!
সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি। যে-ই হোক, ফাইনালে ওঠার সেই লড়াইয়ের আগে প্রতিপক্ষের টিম মিটিংয়ে বড় একটা অংশ যাবে আফ্রিদির লেগ স্পিন সামলানোর কৌশল ঠিক করতে।
টেন্ডুলকারের ব্যাট এই বিশ্বকাপেও হাসছে। তবে তার চেয়েও বেশি হাসছেন আফ্রিদি। না, তাঁর ব্যাট নয়; হাসছেন বোলার আফ্রিদি। প্রথম তিন ম্যাচেই নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। পরের তিন ম্যাচে তিনটি নিয়ে একটু যেন জিরিয়ে নিয়েছিলেন। বিশ্রাম শেষ। কাল আবার ৪ উইকেট নিলেন ৩০ রান খরচায়। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার চার উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এত দিন ছিল দুই স্পিনার শেন ওয়ার্ন আর মুত্তিয়া মুরালিধরনের।
কাল তাঁদের পাশে নয়, একেবারে ওপরে গিয়ে বসলেন আফ্রিদি। কাল চতুর্থবারের মতো ম্যাচে ৪ উইকেট। ওয়ার্ন-মুরালিরও তা-ই। তবে আফ্রিদি সেটা করলেন এক বিশ্বকাপেই। ওয়ানডে ইতিহাসেই এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিবার চার উইকেট নেওয়ার নতুন রেকর্ড।
এই বিশ্বকাপের যাত্রাপথে আফ্রিদি এরই মধ্যে বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙেছেনও। তাঁর প্রিয় ‘ওয়াসিম ভাই’য়ের একটা রেকর্ড যেমন। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতার পথে ওয়াসিম আকরাম নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। এত দিন সেটাই ছিল এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার পাকিস্তানি রেকর্ড। কাল আকরামকে দুইয়ে ঠেলে দিলেন। ২১ উইকেট নেওয়া আফ্রিদির সামনে এখন বিশ্বকাপের রেকর্ডটারই হাতছানি। গত বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাকগ্রা নিয়েছিলেন ২৬ উইকেট।
শুধু উইকেটপ্রাপ্তিতে নয়, আফ্রিদি ভূমিকা রাখছেন দলের জয়েও। কেনিয়াকে ২০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আফ্রিদি। ম্যাচ-সেরা অবশ্য ওই ম্যাচে হননি। হয়েছিলেন পরের ম্যাচে। শ্রীলঙ্কাকে একটুর জন্য জয়বঞ্চিত করেছিল ৩৪ রানে নেওয়া তাঁর ৪ উইকেট। যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার তিন সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকের দুজনই তাঁর শিকার। সেই দুটো উইকেট আবার তিলকরত্নে দিলশান আর কুমার সাঙ্গাকারার বলে মাহাত্ম্যটা বেড়ে যাচ্ছে আরও। অধিনায়ক আফ্রিদির আরও বড় ভূমিকাটা দেখা গেছে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটায়। মাত্র ১৮৪ রান করেও পাকিস্তান জিতেছে তাঁর স্পিনে আবারও পাঁচ ব্যাটসম্যান বধ হওয়ায়। এবারও ম্যাচ-সেরা আফ্রিদি।
গ্রুপ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে উমর গুলের ছায়ায় ঢাকা পড়েছিলেন। কিন্তু আফ্রিদি কাল জ্বলে উঠলেন আবারও। স্পিনের বিপক্ষে হাঁসফাঁস করতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের গলায় মরণফাঁস পরিয়ে দিলেন। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও।
বল হাতে যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটি ব্যাট হাতেও দিতে পারলে সবচেয়ে খুশি তিনিই হতেন। আফ্রিদির বড় পরিচয় তো ছিল ওটাই—‘বুমবুম আফ্রিদি’ নামটা আর এমনিই হয়নি। প্রতিটা সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং নিয়ে নিজেই সমালোচনা করছেন। কে জানে, ব্যাট হাতে সফল হতে না-পারাটাই হয়তো তাঁকে বেশি করে অনুপ্রাণিত করছে বল হাতে জ্বলে উঠতে!
তবে এটা নিশ্চিত, বিশ্বকাপ যে তাঁর জন্য একটা দুঃস্মৃতি হয়ে ছিল, সেটাকে এবার মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞাই করে এসেছিলেন। এর আগে যে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন, তাতে তাঁর উইকেট ছিল ৭টি; রান ছিল সব মিলে ১২৫!
সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি। যে-ই হোক, ফাইনালে ওঠার সেই লড়াইয়ের আগে প্রতিপক্ষের টিম মিটিংয়ে বড় একটা অংশ যাবে আফ্রিদির লেগ স্পিন সামলানোর কৌশল ঠিক করতে।
No comments