স্মরণীয় বিদায় চান বেলিস
আর মাত্র তিনটি ম্যাচ। সাড়ে তিন বছর আগে যে চূড়ার দিকে দৃষ্টি রেখে শুরু করেছিলেন অভিযান, সেটা আর মাত্র তিন ধাপ দূরে। লক্ষ্যটাকে এখন খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু এই পথটুকুই যে সবচেয়ে দুর্গম!
ট্রেভর বেলিসও তা জানেন। ২০০৭ সালের আগস্টে দায়িত্ব নেওয়া শ্রীলঙ্কার অস্ট্রেলিয়ান কোচ তো ভালো করে জানেন নিজের দলকেও। বিশ্বকাপের আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, টুর্নামেন্ট শেষে আর থাকছেন না শ্রীলঙ্কায়। নিজের দলকে চেনেন বলেই দৃঢ়বিশ্বাস তাঁর বিদায়টা হবে মধুর, ‘আর মাত্র তিনটি ম্যাচ! এই ম্যাচ তিনটি জিতে বিদায় নিতে পারলে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। আমাদের লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ভালো খেললে আমাদের হারানো কঠিন হবে।’
তিন ধাপের প্রথমটিতে বেলিসের দলকে জয় পেতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সে যে ওঠা-নামা আর স্পিনে যে দুর্বলতা তাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে তারা। একটু এদিক-সেদিক হলে তো ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হতো! বেলিস কিন্তু ইংল্যান্ডকে মোটেও সহজ ভাবতে রাজি নন। যুক্তিটাও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়, ‘আমার কিন্তু মনে হয় না ইংল্যান্ড খারাপ খেলছে। বেশ কিছু উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে তারা, কয়েকটি জিতেছে, কয়েকটি হেরেছে। এই ক্লোজ ম্যাচগুলো খেলার জন্যই ওদের নার্ভ একটু শক্ত থাকবে। একটা না-একটা ম্যাচে তো ওরা সেরাটা দেবেই। হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ওদের চেয়ে ভালো খেলা। আগের ম্যাচগুলোয় যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো আর করতে চাই না।’
লক্ষ্য পূরণে বেলিসের মূল হাতিয়ারগুলোর একটিকে পাওয়া নিয়ে অবশ্য খানিক শঙ্কা আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার পথে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছিল মুত্তিয়া মুরালিধরনের। কাল নেটে ব্যাটসম্যানদের বোলিং করেননি, তবে আলাদা নেটে মিনিট বিশেক বোলিং করেছেন। বেলিস জানালেন মুরালি খেলবেনই, ক্যারিয়ারে কতবারই তো ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে খেললেন। মাঠে নামার জন্য নাকি মুখিয়ে আছেন স্পিন-জাদুকর।
বেলিস অবশ্য অভিযানের সফলতায় অভিজ্ঞ মুরালির মতো ভরসা রাখছেন তাঁর তরুণ ব্রিগেডের ওপরও, ‘মুরালি এখনো দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেমনটা ছিল ১৫ বছর ধরে। কিন্তু গত কয়েক বছরে আমাদের বেশ কজন তরুণ ক্রিকেটার উঠে এসেছে। মেন্ডিস, ম্যাথুস, থিসারা আমাদের বেশ কিছু ম্যাচ জিতিয়েছে। আশা করি, এবারও ওরা নিজেদের মেলে ধরবে।’
বেলিসের কোচিংয়ে ৯০ ম্যাচের ৪৯টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা, হার ৩৫টিতে। গত এক বছরে সাফল্যের হারটা আরও বেশি। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩১ ম্যাচের ২১টিতেই জয়, হার মাত্র ৭ ম্যাচে। এই ধারাবাহিকতা ফিরে পাওয়াকেই নিজের কোচিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মানলেন বেলিস। তবে এ মুহূর্তে খুব বেশি ধারাবাহিকতার প্রয়োজন নেই, দরকার মাত্র ৩টি জয়। এখানে ছন্দপতন হলে যে আগের ধারাবাহিকতা কেউ খুব একটা মনে রাখবে না!
ট্রেভর বেলিসও তা জানেন। ২০০৭ সালের আগস্টে দায়িত্ব নেওয়া শ্রীলঙ্কার অস্ট্রেলিয়ান কোচ তো ভালো করে জানেন নিজের দলকেও। বিশ্বকাপের আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, টুর্নামেন্ট শেষে আর থাকছেন না শ্রীলঙ্কায়। নিজের দলকে চেনেন বলেই দৃঢ়বিশ্বাস তাঁর বিদায়টা হবে মধুর, ‘আর মাত্র তিনটি ম্যাচ! এই ম্যাচ তিনটি জিতে বিদায় নিতে পারলে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। আমাদের লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ভালো খেললে আমাদের হারানো কঠিন হবে।’
তিন ধাপের প্রথমটিতে বেলিসের দলকে জয় পেতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সে যে ওঠা-নামা আর স্পিনে যে দুর্বলতা তাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে তারা। একটু এদিক-সেদিক হলে তো ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হতো! বেলিস কিন্তু ইংল্যান্ডকে মোটেও সহজ ভাবতে রাজি নন। যুক্তিটাও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়, ‘আমার কিন্তু মনে হয় না ইংল্যান্ড খারাপ খেলছে। বেশ কিছু উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে তারা, কয়েকটি জিতেছে, কয়েকটি হেরেছে। এই ক্লোজ ম্যাচগুলো খেলার জন্যই ওদের নার্ভ একটু শক্ত থাকবে। একটা না-একটা ম্যাচে তো ওরা সেরাটা দেবেই। হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ওদের চেয়ে ভালো খেলা। আগের ম্যাচগুলোয় যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো আর করতে চাই না।’
লক্ষ্য পূরণে বেলিসের মূল হাতিয়ারগুলোর একটিকে পাওয়া নিয়ে অবশ্য খানিক শঙ্কা আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার পথে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছিল মুত্তিয়া মুরালিধরনের। কাল নেটে ব্যাটসম্যানদের বোলিং করেননি, তবে আলাদা নেটে মিনিট বিশেক বোলিং করেছেন। বেলিস জানালেন মুরালি খেলবেনই, ক্যারিয়ারে কতবারই তো ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে খেললেন। মাঠে নামার জন্য নাকি মুখিয়ে আছেন স্পিন-জাদুকর।
বেলিস অবশ্য অভিযানের সফলতায় অভিজ্ঞ মুরালির মতো ভরসা রাখছেন তাঁর তরুণ ব্রিগেডের ওপরও, ‘মুরালি এখনো দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেমনটা ছিল ১৫ বছর ধরে। কিন্তু গত কয়েক বছরে আমাদের বেশ কজন তরুণ ক্রিকেটার উঠে এসেছে। মেন্ডিস, ম্যাথুস, থিসারা আমাদের বেশ কিছু ম্যাচ জিতিয়েছে। আশা করি, এবারও ওরা নিজেদের মেলে ধরবে।’
বেলিসের কোচিংয়ে ৯০ ম্যাচের ৪৯টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা, হার ৩৫টিতে। গত এক বছরে সাফল্যের হারটা আরও বেশি। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩১ ম্যাচের ২১টিতেই জয়, হার মাত্র ৭ ম্যাচে। এই ধারাবাহিকতা ফিরে পাওয়াকেই নিজের কোচিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মানলেন বেলিস। তবে এ মুহূর্তে খুব বেশি ধারাবাহিকতার প্রয়োজন নেই, দরকার মাত্র ৩টি জয়। এখানে ছন্দপতন হলে যে আগের ধারাবাহিকতা কেউ খুব একটা মনে রাখবে না!
No comments