বাতিস্তাই আর্জেন্টিনার কোচ
শেষ পর্যন্ত এমনটাই ঘটবে, এটা অনুমেয়ই ছিল। অনুমান করতে পেরেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাও। তার পরও একটা কিন্তু ছিলই। ফুটবল বিশ্বে ঠিকই ঘুরপাক খাচ্ছিল প্রশ্নটা—কে হচ্ছেন আর্জেন্টিনার পরবর্তী কোচ? অবশেষে তিন মাস ধরে বিশ্ববাসীকে ধন্দে রাখা এই প্রশ্নের ইতি টেনে দিল আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। ম্যারাডোনা নন, আর্জেন্টাইন মিডিয়ার আবিষ্কার এস্তুদিয়ান্তেস কোচ আলেজান্দ্রো সাবেলাও নন; সার্জিও বাতিস্তাই হচ্ছেন আর্জেন্টিনার পূর্ণকালীন কোচ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবশ্য এএফএর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেই বলেছে, ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের ভার দেওয়া হচ্ছে অলিম্পিকজয়ী বাতিস্তাকে। পূর্ণকালীন কোচ নিয়োগের বিষয়ে গত সোমবার বৈঠকে বসে এএফএর নির্বাচক কমিটি। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়েছে বাতিস্তার নাম।
সোমবারের বৈঠক শেষে এএফএর মুখপাত্র আন্দ্রেস ভেনচুুরা বলেছেন, ‘নির্বাচক কমিটি (সোমবার) দিনের মাঝামাঝি সময়ে টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লোস বিলার্দোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। ওই বৈঠকে দল বাতিস্তাকেও ডেকে পাঠানো হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, দল নিয়ে এ পর্যন্ত তিনি কী কী করেছেন, ভবিষ্যতে কী কী করতে চান।’
বিশদ পরিকল্পনাই হাজির করেছেন বাতিস্তা। এর মধ্যে ভেরন-রিকেলমেদের ফেরানোর পাশাপাশি যুব ও বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়েও একটা রূপরেখা দিয়েছেন। যুব পর্যায়ে দুর্দান্ত সব ফুটবলার উঠে আসছে। বাতিস্তা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এখনই কাজ শুরু করে দিতে হবে আর্জেন্টিনাকে।
ভেরন-রিকেলমেকে তিনি ফেরাতে চান একটু অন্য ভূমিকায়। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে খেলা খেলোয়াড়দের পরিচর্যার ভার থাকবে এই দুই সিনিয়রের ওপর। এ ছাড়া ইউরোপে খেলেন এমন ফুটবলারদের নিয়ে অনূর্ধ্ব-২৫ আরেকটি দল করার কথাও বলেছেন বাতিস্তা।
তাঁর এসব পরিকল্পনা এএফএর নির্বাচক কমিটির বেশ পছন্দ হয়েছে বলেই খবর। এই কমিটি এএফএ সভাপতি হুলিও গ্রন্দোনার কাছে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। গ্রন্দোনা আর বোর্ড সদস্যদেরই ওপর ন্যস্ত ছিল কোচের নাম চূড়ান্ত করার ভার।
এসবই আনুষ্ঠানিকতা। তবে আনুষ্ঠানিকতা পর্বটার অপেক্ষা অবশ্য কেউ করছে বলে মনে হয় না। বাতিস্তা নিজে যেমন অন্তর্বর্তীকালীন শব্দটি কেটে ফেলে নিজেকে কোচ ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর পেশ করা বিশদ রূপরেখার মধ্যেই ধরা পড়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ছবি।
বাতিস্তার সিভিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে সোনা জেতানো। ২৭ জুলাই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হওয়ার পর বাতিস্তার অধীনে আর্জেন্টিনা খেলেছে তিন ম্যাচ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জেতে ৪-১ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ১-০ হেরে যায় জাপানের কাছে। যদিও তার বড় পরীক্ষা মনে করা হচ্ছিল আগামী ১৭ নভেম্বর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষের প্রীতি ম্যাচটিকে। কিন্তু তার আগেই পুরস্কারটা পেয়ে যাচ্ছেন বাতিস্তা।
এরই মধ্যে সুর নরম হয়ে গেছে ম্যারাডোনারও। পরশু চীনের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলের দায়িত্বে যে-ই থাকুক, তাঁর সমর্থন থাকবে। অবশ্য বাতিস্তা নয়, ম্যারাডোনা কেবল সমর্থন করবেন আর্জেন্টিনা দলটিকে। কারণ, ‘সবার আগে আমি তো একজন আর্জেন্টাইন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবশ্য এএফএর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেই বলেছে, ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের ভার দেওয়া হচ্ছে অলিম্পিকজয়ী বাতিস্তাকে। পূর্ণকালীন কোচ নিয়োগের বিষয়ে গত সোমবার বৈঠকে বসে এএফএর নির্বাচক কমিটি। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়েছে বাতিস্তার নাম।
সোমবারের বৈঠক শেষে এএফএর মুখপাত্র আন্দ্রেস ভেনচুুরা বলেছেন, ‘নির্বাচক কমিটি (সোমবার) দিনের মাঝামাঝি সময়ে টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লোস বিলার্দোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। ওই বৈঠকে দল বাতিস্তাকেও ডেকে পাঠানো হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, দল নিয়ে এ পর্যন্ত তিনি কী কী করেছেন, ভবিষ্যতে কী কী করতে চান।’
বিশদ পরিকল্পনাই হাজির করেছেন বাতিস্তা। এর মধ্যে ভেরন-রিকেলমেদের ফেরানোর পাশাপাশি যুব ও বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়েও একটা রূপরেখা দিয়েছেন। যুব পর্যায়ে দুর্দান্ত সব ফুটবলার উঠে আসছে। বাতিস্তা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এখনই কাজ শুরু করে দিতে হবে আর্জেন্টিনাকে।
ভেরন-রিকেলমেকে তিনি ফেরাতে চান একটু অন্য ভূমিকায়। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে খেলা খেলোয়াড়দের পরিচর্যার ভার থাকবে এই দুই সিনিয়রের ওপর। এ ছাড়া ইউরোপে খেলেন এমন ফুটবলারদের নিয়ে অনূর্ধ্ব-২৫ আরেকটি দল করার কথাও বলেছেন বাতিস্তা।
তাঁর এসব পরিকল্পনা এএফএর নির্বাচক কমিটির বেশ পছন্দ হয়েছে বলেই খবর। এই কমিটি এএফএ সভাপতি হুলিও গ্রন্দোনার কাছে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। গ্রন্দোনা আর বোর্ড সদস্যদেরই ওপর ন্যস্ত ছিল কোচের নাম চূড়ান্ত করার ভার।
এসবই আনুষ্ঠানিকতা। তবে আনুষ্ঠানিকতা পর্বটার অপেক্ষা অবশ্য কেউ করছে বলে মনে হয় না। বাতিস্তা নিজে যেমন অন্তর্বর্তীকালীন শব্দটি কেটে ফেলে নিজেকে কোচ ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর পেশ করা বিশদ রূপরেখার মধ্যেই ধরা পড়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ছবি।
বাতিস্তার সিভিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে সোনা জেতানো। ২৭ জুলাই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হওয়ার পর বাতিস্তার অধীনে আর্জেন্টিনা খেলেছে তিন ম্যাচ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জেতে ৪-১ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ১-০ হেরে যায় জাপানের কাছে। যদিও তার বড় পরীক্ষা মনে করা হচ্ছিল আগামী ১৭ নভেম্বর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষের প্রীতি ম্যাচটিকে। কিন্তু তার আগেই পুরস্কারটা পেয়ে যাচ্ছেন বাতিস্তা।
এরই মধ্যে সুর নরম হয়ে গেছে ম্যারাডোনারও। পরশু চীনের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলের দায়িত্বে যে-ই থাকুক, তাঁর সমর্থন থাকবে। অবশ্য বাতিস্তা নয়, ম্যারাডোনা কেবল সমর্থন করবেন আর্জেন্টিনা দলটিকে। কারণ, ‘সবার আগে আমি তো একজন আর্জেন্টাইন।
No comments