সেই মেসি, সেই বার্সা
মুখে ফিরেছে সেই দুষ্টুমিষ্টি হাসি। ফিরেছে দুই তর্জনী দুই দিকে উঁচিয়ে গোল উদ্যাপনের সেই পরিচিত দৃশ্য। লিওনেল মেসির গায়েও যে ফিরেছে বার্সেলোনার মেরুন-বেগুনি ডোরাকাটা জার্সি। পরশু আবারও মেসি-ম্যাজিক। এবার হ্যাটট্রিক করলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফিরতি লেগে সেভিয়াকে ৪-০ গোলে উগিয়ে দিল বার্সা। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হেরে আসার পরও ৫-৩ গোল-গড়ে জিতে নিল মৌসুম সূচক শিরোপা।
এই ম্যাচ দিয়েই বার্সার হয়ে অভিষেক হলো দুজনের। মাঠে ডেভিড ভিয়ার। ভিআইপি বক্সে নতুন ক্লাব সভাপতি সান্দ্রো রসেলের। দুজনের শুরুটাই হলো দুর্দান্ত। ভিয়া স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারেননি। তবে ৫৬ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ভিয়াও খেলেছেন দারুণ। ম্যাচের প্রথম একাদশে বিশ্বকাপজয়ী বার্সার আট খেলোয়াড়ের পাঁচজন ছিলেন। বদলি হিসেবে বেঞ্চে ভিয়ার সঙ্গে বসেছিলেন কার্লোস পুয়োল আর আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মিডফিল্ডার জাভি।
আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন পেদ্রো। ১৩ মিনিটে বার্সার প্রথম গোলটি এসেছে তাঁর সৌজন্যেই। অবশ্য গোলটি হয়েছে আত্মঘাতী। ২৪ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। আর গোল না পেলেও চলত। ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতলেও শিরোপা থেকে যেত বার্সেলোনার ঘরেই।
কিন্তু গত বিশ্বকাপে ডজনখানেক গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা না পাওয়া মেসি ছিলেন দারুণ মুডে। ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় আর ম্যাচের শেষ প্রান্তে, ৮৯ মিনিটে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। যেন সবাইকে মনে করিয়ে দেন, গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৫৩ ম্যাচে ৪৭ গোল ছিল তাঁর।
এই ম্যাচে সেভিয়া খেলায়নি প্রথম লেগে তাদের জয়ের দুই নায়ক ফ্রেডেরিক কানুটে আর লুইস ফ্যাবিয়ানোকে। আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্বের ম্যাচ আছে তাদের। এ কারণেই দলের দুই তারকাকে তারা রেখেছিল বিশ্রামে। কিন্তু বার্সা যেভাবে খেলেছে, তাতে মনে হয় না ফ্যাবিয়ানো-কানুটে থাকলেও ফলাফলের হেরফের হতো।
এ ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনা যেন সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদকেও। কোচ হিসেবে তৃতীয় মৌসুমেই আট নম্বর ট্রফিটি জেতার পর পেপ গার্দিওলা বলেছেন, তাঁর দলের পক্ষে আরও উন্নতি করা সম্ভব, ‘পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। জাভি, ইনিয়েস্তা, মেসিদের সেরা ফর্মে ফেরা এখনো বাকি।’ মেসিও জানালেন, ‘আমাদের দলটা আসলে ক্রমেই গড়ে উঠছে। আমরা প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছি।’ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আর্জেন্টিনার হয়ে গত বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর যে সমালোচনা শুনতে হয়েছে, এ ব্যাপারে তাঁর কী মত। মেসির উত্তর, ‘আসলে আমার কাছে ফুটবল জিনিসটার মূল উদ্দেশ্য হলো উপভোগ করা। নিজের সেরাটা ঢেলে দেওয়া। সেটা জাতীয় দলেই হোক কিংবা এখানে।
এই ম্যাচ দিয়েই বার্সার হয়ে অভিষেক হলো দুজনের। মাঠে ডেভিড ভিয়ার। ভিআইপি বক্সে নতুন ক্লাব সভাপতি সান্দ্রো রসেলের। দুজনের শুরুটাই হলো দুর্দান্ত। ভিয়া স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারেননি। তবে ৫৬ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ভিয়াও খেলেছেন দারুণ। ম্যাচের প্রথম একাদশে বিশ্বকাপজয়ী বার্সার আট খেলোয়াড়ের পাঁচজন ছিলেন। বদলি হিসেবে বেঞ্চে ভিয়ার সঙ্গে বসেছিলেন কার্লোস পুয়োল আর আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মিডফিল্ডার জাভি।
আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন পেদ্রো। ১৩ মিনিটে বার্সার প্রথম গোলটি এসেছে তাঁর সৌজন্যেই। অবশ্য গোলটি হয়েছে আত্মঘাতী। ২৪ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। আর গোল না পেলেও চলত। ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতলেও শিরোপা থেকে যেত বার্সেলোনার ঘরেই।
কিন্তু গত বিশ্বকাপে ডজনখানেক গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা না পাওয়া মেসি ছিলেন দারুণ মুডে। ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় আর ম্যাচের শেষ প্রান্তে, ৮৯ মিনিটে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। যেন সবাইকে মনে করিয়ে দেন, গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৫৩ ম্যাচে ৪৭ গোল ছিল তাঁর।
এই ম্যাচে সেভিয়া খেলায়নি প্রথম লেগে তাদের জয়ের দুই নায়ক ফ্রেডেরিক কানুটে আর লুইস ফ্যাবিয়ানোকে। আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্বের ম্যাচ আছে তাদের। এ কারণেই দলের দুই তারকাকে তারা রেখেছিল বিশ্রামে। কিন্তু বার্সা যেভাবে খেলেছে, তাতে মনে হয় না ফ্যাবিয়ানো-কানুটে থাকলেও ফলাফলের হেরফের হতো।
এ ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনা যেন সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদকেও। কোচ হিসেবে তৃতীয় মৌসুমেই আট নম্বর ট্রফিটি জেতার পর পেপ গার্দিওলা বলেছেন, তাঁর দলের পক্ষে আরও উন্নতি করা সম্ভব, ‘পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। জাভি, ইনিয়েস্তা, মেসিদের সেরা ফর্মে ফেরা এখনো বাকি।’ মেসিও জানালেন, ‘আমাদের দলটা আসলে ক্রমেই গড়ে উঠছে। আমরা প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছি।’ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আর্জেন্টিনার হয়ে গত বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর যে সমালোচনা শুনতে হয়েছে, এ ব্যাপারে তাঁর কী মত। মেসির উত্তর, ‘আসলে আমার কাছে ফুটবল জিনিসটার মূল উদ্দেশ্য হলো উপভোগ করা। নিজের সেরাটা ঢেলে দেওয়া। সেটা জাতীয় দলেই হোক কিংবা এখানে।
No comments