চীনে রাজনৈতিক সংস্কার চান প্রধানমন্ত্রী জিয়াবাও
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বলেছেন, অর্থনীতির সুরক্ষার স্বার্থে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কার করতে হবে। দ্রুত বিকাশমান শহর শেনজেনে এক সফরকালে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে দেশটির এক জেনারেল বলেছেন, চীনকে হয় সংস্কার করতে হবে, নয় মরতে হবে। গত শনিবারের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির পুনর্গঠন করা না হলে দেশটি অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে যা কিছু অর্জন করেছিল, সেগুলোও হারাবে। এ ছাড়া দেশের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলোও ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক ও আইনি অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা অবশ্যই দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণকেও দেশের আইন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে হবে।
জিয়াবাওয়ের বক্তব্যে ‘রাজনৈতিক সংস্কার’-এর সংজ্ঞা স্পষ্ট না হলেও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ধরে রাখার ব্যাপারে তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষপর্যায়ের উদ্বেগের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তিনি জনগণকে শর্তসাপেক্ষে সরকারের সমালোচনার সুযোগ করে দিতে চান।
২০১৩ সালের প্রথমার্ধে ক্ষমতা ছাড়বেন জিয়াবাও। তিনি তাঁর বক্তব্যে ক্ষমতার শেষ দিনগুলোতে সমাজকল্যাণমূলক কাজে জড়িত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
মাত্র তিন দশকে ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে এক বিশালকায় শহরে পরিণত হয়েছে শেনজেন। দ্রুত বর্ধমান ও উন্নয়নশীল এই শহরের বর্তমান লোকসংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ। জিয়াবাও বলেন, শেনজেনের গল্প প্রমাণ করে, সংস্কার ও বাইরের পৃথিবীর জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করে দিলে জাতীয় অগ্রগতি এবং জনজীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
এদিকে চীনের এক জেনারেল বলেছেন, চীনকে হয় সংস্কার করতে হবে, নয় মরতে হবে। তিনি তাঁর রক্ষণশীল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও পিপলস লিবারেশন আর্মির সহকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চীনকে অবশ্যই মার্কিন ধাঁচের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পতন মেনে নিতে হবে।
হংকংয়ের ফনিক্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জেনারেল লিউ ইয়াঝোউ লিখেছেন, ‘একটি দেশের প্রচলিত ব্যবস্থা যদি নাগরিকদের শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার বিকাশে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা ধ্বংস হবেই।’ তিনি লেখেন, ‘কেবল ওয়াল স্ট্রিট কিংবা সিলিকন ভ্যালির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্য আসেনি, বরং দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান আইনের শাসন ও প্রচলিত ব্যবস্থার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’ বলা হয়ে থাকে, আমেরিকার প্রচলিত ব্যবস্থাটি তৈরি করেছেন মেধাবীরা, কিন্তু তা পরিচালনা করছেন বোকারা।
জেনারেল লিউ বলেন, ‘একটি খারাপ ব্যবস্থা খারাপ আচরণসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ তৈরি করে, অন্যদিকে একটি ভালো ব্যবস্থা ভালো আচরণসম্পন্ন একজন খারাপ মানুষ তৈরি করে।’ তিনি বলেন, গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির পুনর্গঠন করা না হলে দেশটি অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে যা কিছু অর্জন করেছিল, সেগুলোও হারাবে। এ ছাড়া দেশের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলোও ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক ও আইনি অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা অবশ্যই দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণকেও দেশের আইন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে হবে।
জিয়াবাওয়ের বক্তব্যে ‘রাজনৈতিক সংস্কার’-এর সংজ্ঞা স্পষ্ট না হলেও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ধরে রাখার ব্যাপারে তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষপর্যায়ের উদ্বেগের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তিনি জনগণকে শর্তসাপেক্ষে সরকারের সমালোচনার সুযোগ করে দিতে চান।
২০১৩ সালের প্রথমার্ধে ক্ষমতা ছাড়বেন জিয়াবাও। তিনি তাঁর বক্তব্যে ক্ষমতার শেষ দিনগুলোতে সমাজকল্যাণমূলক কাজে জড়িত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
মাত্র তিন দশকে ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে এক বিশালকায় শহরে পরিণত হয়েছে শেনজেন। দ্রুত বর্ধমান ও উন্নয়নশীল এই শহরের বর্তমান লোকসংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ। জিয়াবাও বলেন, শেনজেনের গল্প প্রমাণ করে, সংস্কার ও বাইরের পৃথিবীর জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করে দিলে জাতীয় অগ্রগতি এবং জনজীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
এদিকে চীনের এক জেনারেল বলেছেন, চীনকে হয় সংস্কার করতে হবে, নয় মরতে হবে। তিনি তাঁর রক্ষণশীল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও পিপলস লিবারেশন আর্মির সহকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চীনকে অবশ্যই মার্কিন ধাঁচের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পতন মেনে নিতে হবে।
হংকংয়ের ফনিক্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জেনারেল লিউ ইয়াঝোউ লিখেছেন, ‘একটি দেশের প্রচলিত ব্যবস্থা যদি নাগরিকদের শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার বিকাশে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা ধ্বংস হবেই।’ তিনি লেখেন, ‘কেবল ওয়াল স্ট্রিট কিংবা সিলিকন ভ্যালির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্য আসেনি, বরং দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান আইনের শাসন ও প্রচলিত ব্যবস্থার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’ বলা হয়ে থাকে, আমেরিকার প্রচলিত ব্যবস্থাটি তৈরি করেছেন মেধাবীরা, কিন্তু তা পরিচালনা করছেন বোকারা।
জেনারেল লিউ বলেন, ‘একটি খারাপ ব্যবস্থা খারাপ আচরণসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ তৈরি করে, অন্যদিকে একটি ভালো ব্যবস্থা ভালো আচরণসম্পন্ন একজন খারাপ মানুষ তৈরি করে।’ তিনি বলেন, গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
No comments