দুই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে ১১০০ কোটি টাকা
গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিচ্ছে সরকার। ‘নতুন জীবন’ নামক প্রকল্পের আওতায় এ ঋণের অর্থ ব্যয় করা হবে। ঋণের পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৮০৫ কোটি টাকা।
এ ছাড়া দেশের পৌরসভাগুলোর পরিবেশ, অবকাঠামো ও সেবার মানোন্নয়নে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসেস নামক যে প্রকল্পটি চালু রয়েছে, তাতেও অতিরিক্ত চার কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
দুই প্রকল্প মিলিয়ে ঋণের অঙ্ক এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত ২৩ জুন প্রকল্প দুটি অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের আওতাধীন সহজ শর্তে ঋণদাতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (আইডিএ) থেকে ৪০ বছর মেয়াদে এ ঋণ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। সুদাসলে যথাসময়ে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে না পারলে আরও ১০ বছর অতিরিক্ত সময় (গ্রেস পিরিয়ড) পাওয়া যাবে। সুদের হার দশমিক ৭৫ শতাংশ।
দুটি ঋণের ব্যাপারে আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে আইডিএ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি চুক্তিতে সই করবেন। বিশ্বব্যাংক ও ইআরডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ প্রধানত, উপকূলীয় জেলাগুলোতে নতুন জীবন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। একই উদ্দেশে সামাজিক বিনিয়োগ কর্মসূচি প্রকল্প (এসআইপিপি) নামক বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে। এসআইপিপিরই নাম পাল্টে রাখা হয়েছে ‘নতুন জীবন’ প্রকল্প।
দেশের যে অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, নতুন জীবন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানোই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে।
এদিকে ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, নতুন জীবন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চলমান জীবিকায়ন কর্মসূচি ত্বরান্বিত হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার সক্ষমতাও অর্জন করতে পারবে তারা।
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, কমপক্ষে ৬০ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছানো তাদের লক্ষ্য। নতুন জীবনের পথে এগিয়ে নিয়ে তাদের জীবন মানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ‘নতুন জীবন’। প্রথম পর্যায়ে ইতিমধ্যেই দেড় হাজার গ্রামের ৩০ লাখ মানুষ এসআইপিপি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত রয়েছে আরও ৩০ লাখ মানুষ। নতুন জীবন প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবে তারা।
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে (বিএমডিএফ) বর্তমানে ১৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৯৭০ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস প্রকল্পটি চালু আছে। ১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটিতে তৃতীয় সংশোধনী পর্যন্ত করা হয়েছে, যার মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা। এই প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া হচ্ছে ২৯৪ কোটি টাকা।
এ ছাড়া দেশের পৌরসভাগুলোর পরিবেশ, অবকাঠামো ও সেবার মানোন্নয়নে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসেস নামক যে প্রকল্পটি চালু রয়েছে, তাতেও অতিরিক্ত চার কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
দুই প্রকল্প মিলিয়ে ঋণের অঙ্ক এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত ২৩ জুন প্রকল্প দুটি অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের আওতাধীন সহজ শর্তে ঋণদাতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (আইডিএ) থেকে ৪০ বছর মেয়াদে এ ঋণ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। সুদাসলে যথাসময়ে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে না পারলে আরও ১০ বছর অতিরিক্ত সময় (গ্রেস পিরিয়ড) পাওয়া যাবে। সুদের হার দশমিক ৭৫ শতাংশ।
দুটি ঋণের ব্যাপারে আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে আইডিএ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি চুক্তিতে সই করবেন। বিশ্বব্যাংক ও ইআরডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ প্রধানত, উপকূলীয় জেলাগুলোতে নতুন জীবন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। একই উদ্দেশে সামাজিক বিনিয়োগ কর্মসূচি প্রকল্প (এসআইপিপি) নামক বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে। এসআইপিপিরই নাম পাল্টে রাখা হয়েছে ‘নতুন জীবন’ প্রকল্প।
দেশের যে অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, নতুন জীবন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানোই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে।
এদিকে ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, নতুন জীবন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চলমান জীবিকায়ন কর্মসূচি ত্বরান্বিত হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার সক্ষমতাও অর্জন করতে পারবে তারা।
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, কমপক্ষে ৬০ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছানো তাদের লক্ষ্য। নতুন জীবনের পথে এগিয়ে নিয়ে তাদের জীবন মানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ‘নতুন জীবন’। প্রথম পর্যায়ে ইতিমধ্যেই দেড় হাজার গ্রামের ৩০ লাখ মানুষ এসআইপিপি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত রয়েছে আরও ৩০ লাখ মানুষ। নতুন জীবন প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবে তারা।
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে (বিএমডিএফ) বর্তমানে ১৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৯৭০ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস প্রকল্পটি চালু আছে। ১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটিতে তৃতীয় সংশোধনী পর্যন্ত করা হয়েছে, যার মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা। এই প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া হচ্ছে ২৯৪ কোটি টাকা।
No comments