ক্ষমতার চাবি স্বতন্ত্রদের হাতে
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে কোনো দলই সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় আসন পাচ্ছে না—এটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ও বিরোধীদলীয় নেতা টনি অ্যাবট।
প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড শনিবার নির্বাচনের রাতেই স্বীকার করে নেন, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি কিংবা বিরোধী রক্ষণশীল জোট—কোনো পক্ষই সম্ভবত সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬ আসন পাচ্ছে না।
এবিসির পূর্বাভাষ—নির্বাচনে টনি অ্যাবটের নেতৃত্বাধীন জোট পাবে ৭৩টি আসন আর লেবার পার্টি পাবে ৭২টি আসন।
রোববার দুপুর পর্যন্ত খবর অনুযায়ী লেবার দল ৭২টি আসনে জয়লাভ করেছে। লিবারেল/ ন্যাশনাল জোট পেয়েছে ৭০টি আসন। চূড়ান্ত ফল পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
এবারের নির্বাচন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের একটি এবং ১৯৪০ সালের পর এবার আবার ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড বলেন, ছোট দলগুলোকে যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে তাঁর লেবার পার্টি সারা দেশে বেশি ভোট পেয়েছে।
৭৫ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যায়, গিলার্ডের লেবার পার্টি পেয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বিরোধী জোট পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু বিরোধী নেতা অ্যাবট বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে লেবার পার্টি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, সেই সঙ্গে বৈধতাও।
সরকার গঠনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন আদায়ের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গিলার্ড ও অ্যাবট দুজনেই।
গিলার্ড বলেছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থন আদায়ের জন্য তিনি রোববার স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। গত জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়া গিলার্ড বলেন, তাঁরা আশাবাদী যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন তাঁদের দিকেই আসবে এবং এ লক্ষ্যে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও সেরে রেখেছেন তিনি।
টনি অ্যাবটও বলেছেন, তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গ্রিন পার্টির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী টনি উইন্ডসর বলেন, তিনি গিলার্ড ও অ্যাবটের ফোন পেয়েছেন। উইন্ডসর আরও বলেন, তিনি আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বব কাটার ও রব ওয়াকেশটের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। বড় দলগুলোর সঙ্গে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা তাঁরা একসঙ্গে করবেন, নাকি স্বতন্ত্রভাবে করবেন তা ঠিক করাই থাকবে এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য।
গ্রিন পার্টির নেতা বব ব্রাউন বলেন, গিলার্ডের সঙ্গে ‘আন্তরিক’ আলোচনা হলেও তাঁদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। গ্রিন পার্টির নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতা অ্যাডাম ব্রান্ডটের সমর্থন লাভের জন্য ব্রাউনকে ফোন করেছিলেন গিলার্ড। এর আগে ব্রান্ডট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, লেবার সরকারই তাঁর পছন্দ।
প্রথম মুসলমান ও আদিবাসী এমপি: এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো একজন মুসলমান প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এ ছাড়া একজন আদিবাসী (অ্যাবোরিজিন) প্রার্থীও জয়ের পথে রয়েছেন। প্রথম মুসলমান প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন বসনীয় বংশোদ্ভূত ইউনিয়ন কর্মী এড হুসিচ। তিনি লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
এখনো শিশুসুলভ চেহারার ওয়াইট রয় সবচেয়ে কমবয়সী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রয় ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। লিবারেল ন্যাশনাল পার্টির টিকিটে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রথম আদিবাসী হিসেবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কেন ওয়াইট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। ওয়াইট লিবারেল পার্টি অব অস্ট্রেলিয়ার প্রার্থী।
প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড শনিবার নির্বাচনের রাতেই স্বীকার করে নেন, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি কিংবা বিরোধী রক্ষণশীল জোট—কোনো পক্ষই সম্ভবত সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৬ আসন পাচ্ছে না।
এবিসির পূর্বাভাষ—নির্বাচনে টনি অ্যাবটের নেতৃত্বাধীন জোট পাবে ৭৩টি আসন আর লেবার পার্টি পাবে ৭২টি আসন।
রোববার দুপুর পর্যন্ত খবর অনুযায়ী লেবার দল ৭২টি আসনে জয়লাভ করেছে। লিবারেল/ ন্যাশনাল জোট পেয়েছে ৭০টি আসন। চূড়ান্ত ফল পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
এবারের নির্বাচন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের একটি এবং ১৯৪০ সালের পর এবার আবার ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড বলেন, ছোট দলগুলোকে যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে তাঁর লেবার পার্টি সারা দেশে বেশি ভোট পেয়েছে।
৭৫ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যায়, গিলার্ডের লেবার পার্টি পেয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বিরোধী জোট পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু বিরোধী নেতা অ্যাবট বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে লেবার পার্টি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, সেই সঙ্গে বৈধতাও।
সরকার গঠনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন আদায়ের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গিলার্ড ও অ্যাবট দুজনেই।
গিলার্ড বলেছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থন আদায়ের জন্য তিনি রোববার স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। গত জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়া গিলার্ড বলেন, তাঁরা আশাবাদী যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন তাঁদের দিকেই আসবে এবং এ লক্ষ্যে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও সেরে রেখেছেন তিনি।
টনি অ্যাবটও বলেছেন, তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গ্রিন পার্টির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী টনি উইন্ডসর বলেন, তিনি গিলার্ড ও অ্যাবটের ফোন পেয়েছেন। উইন্ডসর আরও বলেন, তিনি আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বব কাটার ও রব ওয়াকেশটের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। বড় দলগুলোর সঙ্গে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা তাঁরা একসঙ্গে করবেন, নাকি স্বতন্ত্রভাবে করবেন তা ঠিক করাই থাকবে এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য।
গ্রিন পার্টির নেতা বব ব্রাউন বলেন, গিলার্ডের সঙ্গে ‘আন্তরিক’ আলোচনা হলেও তাঁদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। গ্রিন পার্টির নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতা অ্যাডাম ব্রান্ডটের সমর্থন লাভের জন্য ব্রাউনকে ফোন করেছিলেন গিলার্ড। এর আগে ব্রান্ডট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, লেবার সরকারই তাঁর পছন্দ।
প্রথম মুসলমান ও আদিবাসী এমপি: এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো একজন মুসলমান প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এ ছাড়া একজন আদিবাসী (অ্যাবোরিজিন) প্রার্থীও জয়ের পথে রয়েছেন। প্রথম মুসলমান প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন বসনীয় বংশোদ্ভূত ইউনিয়ন কর্মী এড হুসিচ। তিনি লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
এখনো শিশুসুলভ চেহারার ওয়াইট রয় সবচেয়ে কমবয়সী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রয় ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। লিবারেল ন্যাশনাল পার্টির টিকিটে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রথম আদিবাসী হিসেবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কেন ওয়াইট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। ওয়াইট লিবারেল পার্টি অব অস্ট্রেলিয়ার প্রার্থী।
No comments