মানববিহীন বোমারু বিমানের উদ্বোধন করল ইরান
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ সে দেশের নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রথমবারের মতো নির্মিত মানববিহীন বোমারু বিমানের উদ্বোধন করেছেন। ইরানের সরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, কারার নামের ওই বিমান ভারী বোমা নিয়ে দ্রুতগতিতে দূরপাল্লার অভিযানে যেতে এবং নির্ভুল লক্ষ্যে বোমা ফেলতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ একে ‘শত্রুপক্ষের জন্য ইরানের মৃত্যুদূত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের ওপর কেউ হামলা চালালে সেটি তার জন্য ‘সামরিক আত্মহত্যা’ হয়ে দেখা দেবে। অন্যদিকে ইরানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল কোনোভাবে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে বুঝতে হবে ইসরায়েলের নিশ্চিহ্ন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রোববার ইরানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস (ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি ডে) উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ তেহরানের মালেক আশতার বিশ্ববিদ্যালয়ে চার মিটার লম্বা বিমানটির উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে ইরান ভূমি থেকে ভূমিতে উেক্ষপণযোগ্য কিয়াম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দুই দিন এবং পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র চালুর এক দিন পর এ সামরিক বিমানের উদ্বোধন করল।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেন, এ বিমান ইরানের শত্রুপক্ষের জন্য মৃত্যুদূত, তবে বন্ধুর জন্য শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, শত্রুপক্ষের ঘাঁটিকে অচল করে দেওয়াই হবে এর মূল লক্ষ্য। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ওই বিমানকে ‘বোমা বহনে সক্ষম’ ও ‘দ্রুতগামী’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এর সুনির্দিষ্ট সক্ষমতা উল্লেখ করা হয়নি। আগামী কয়েক দিনে ইরান আরও বড় ধরনের সামরিক অস্ত্রের উদ্বোধন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আহমাদিনেজাদ বলেন, অবরোধ আরোপ করে এবং সামরিক হামলার ভয় দেখিয়ে ইরানের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঝানু রাজনীতিকেরাও বুঝতে পারছেন, ইরানের ওপর হামলা হলে হামলাকারীর জন্য তা ‘সামরিক আত্মহনন’ হয়ে দেখা দেবে।
অন্যদিকে ইরান মজলিশের (পার্লামেন্ট) ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেন পলিসি কমিশনের প্রধান আলায়েদ্দিন বোরৌজেরদি বলেছেন, ইহুদি রাষ্ট্র (ইসরায়েল) ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আঘাত করলে বুঝতে হবে তার নিশ্চিহ্ন হওয়ার সময় এসে গেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানানোর পর তিনি এ বক্তব্য দেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রোববার ইরানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস (ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি ডে) উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ তেহরানের মালেক আশতার বিশ্ববিদ্যালয়ে চার মিটার লম্বা বিমানটির উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে ইরান ভূমি থেকে ভূমিতে উেক্ষপণযোগ্য কিয়াম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দুই দিন এবং পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র চালুর এক দিন পর এ সামরিক বিমানের উদ্বোধন করল।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেন, এ বিমান ইরানের শত্রুপক্ষের জন্য মৃত্যুদূত, তবে বন্ধুর জন্য শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, শত্রুপক্ষের ঘাঁটিকে অচল করে দেওয়াই হবে এর মূল লক্ষ্য। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ওই বিমানকে ‘বোমা বহনে সক্ষম’ ও ‘দ্রুতগামী’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এর সুনির্দিষ্ট সক্ষমতা উল্লেখ করা হয়নি। আগামী কয়েক দিনে ইরান আরও বড় ধরনের সামরিক অস্ত্রের উদ্বোধন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আহমাদিনেজাদ বলেন, অবরোধ আরোপ করে এবং সামরিক হামলার ভয় দেখিয়ে ইরানের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঝানু রাজনীতিকেরাও বুঝতে পারছেন, ইরানের ওপর হামলা হলে হামলাকারীর জন্য তা ‘সামরিক আত্মহনন’ হয়ে দেখা দেবে।
অন্যদিকে ইরান মজলিশের (পার্লামেন্ট) ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেন পলিসি কমিশনের প্রধান আলায়েদ্দিন বোরৌজেরদি বলেছেন, ইহুদি রাষ্ট্র (ইসরায়েল) ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আঘাত করলে বুঝতে হবে তার নিশ্চিহ্ন হওয়ার সময় এসে গেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানানোর পর তিনি এ বক্তব্য দেন।
No comments