ভিনগ্রহের প্রাণীর খোঁজে
ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানকারীদের উচিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কোনো যন্ত্রের ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া। ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানকারীদের সংগঠন সার্চ ফর এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (সেটি) সদস্য জ্যোতির্বিদ সেথ শোস্টাক এই পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী অ্যাকটা অ্যাস্ট্রোনটিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই পরামর্শ দেন তিনি।
সেটির বিজ্ঞানীরা এত দিন পর্যন্ত মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো কোনো গ্রহ থেকে বেতারসংকেত শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানী শোস্টাকের ধারণা, বেতারসংকেত ব্যবহারের প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি আয়ত্তে আনতে খুব বেশি সময় লাগেনি ভিনগ্রহের প্রাণীদের। শোস্টাক লিখেছেন, এমনটি ঘটে থাকলে ভিনগ্রহের কোনো জৈবপ্রাণ শনাক্ত করার চেয়ে ভিনগ্রহের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র শনাক্ত করা সহজ।
সেটির সঙ্গে যুক্ত অনেক বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, ‘প্রকৃতি সম্ভবত বেশ আগেই ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও আকৃতিতে জীবন সৃষ্টির সমস্যা সমাধান করে ফেলেছে। সুতরাং ভিনগ্রহের প্রাণীরা দেখতে আমাদের মতো না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারা জৈবিক পর্যায়ে আমাদের মতো কার্মকাণ্ড পরিচালনা না-ও করতে পারে।’
সেটির বিজ্ঞানীরা এখনো ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানের ক্ষেত্রে এমন প্রাণী শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন, যারা আমাদের ধারণা অনুযায়ী জীবিত। অর্থাৎ যারা কোনো একপর্যায় পর্যন্ত প্রাণরসায়নের নিয়ম অনুসরণ করে, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জীবন ধারণ করে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
কিন্তু শোস্টকের মতে, কোনো প্রাণী প্রযুক্তির বিবর্তনের ধারায় নিজগ্রহের বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের প্রযুক্তি অর্জন করলে প্রযুক্তিও অতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে ওই প্রজাতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির অগ্রগতির সময় পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, একটি পর্যায়ে আপনি বেতার আবিষ্কার করলেন, এরপর আপনি বেতার সম্প্রচার শুরু করলেন এবং এরপর দেখা গেল, আমরা আপনার সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু বেতার আবিষ্কারের কয়েক শ বছরের মধ্যে চিন্তা করতে পারে এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলবেন আপনি। মানুষ সম্ভবত চলতি শতকেই এ ধরনের যন্ত্র তৈরি করে ফেলবে। সুতরাং আপনি আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে ফেললেন এবং ভাবুন তাহলে কয়েক শ বছর পর আপনি কী জৈব বুদ্ধিমত্তা হিসেবে সংকেত পাঠাবেন। সম্ভাবনার নিরিখে বলা যায়, এ ধরনের চিন্তাশীল যন্ত্রের উদ্ভব হলে তাদের কাছ থেকে আসা সংকেতই আমাদের কাছে পৌঁছার সম্ভাবনা বেশি।’
সেটির বিজ্ঞানীরা এত দিন পর্যন্ত মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো কোনো গ্রহ থেকে বেতারসংকেত শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানী শোস্টাকের ধারণা, বেতারসংকেত ব্যবহারের প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি আয়ত্তে আনতে খুব বেশি সময় লাগেনি ভিনগ্রহের প্রাণীদের। শোস্টাক লিখেছেন, এমনটি ঘটে থাকলে ভিনগ্রহের কোনো জৈবপ্রাণ শনাক্ত করার চেয়ে ভিনগ্রহের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র শনাক্ত করা সহজ।
সেটির সঙ্গে যুক্ত অনেক বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, ‘প্রকৃতি সম্ভবত বেশ আগেই ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও আকৃতিতে জীবন সৃষ্টির সমস্যা সমাধান করে ফেলেছে। সুতরাং ভিনগ্রহের প্রাণীরা দেখতে আমাদের মতো না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারা জৈবিক পর্যায়ে আমাদের মতো কার্মকাণ্ড পরিচালনা না-ও করতে পারে।’
সেটির বিজ্ঞানীরা এখনো ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানের ক্ষেত্রে এমন প্রাণী শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন, যারা আমাদের ধারণা অনুযায়ী জীবিত। অর্থাৎ যারা কোনো একপর্যায় পর্যন্ত প্রাণরসায়নের নিয়ম অনুসরণ করে, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জীবন ধারণ করে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
কিন্তু শোস্টকের মতে, কোনো প্রাণী প্রযুক্তির বিবর্তনের ধারায় নিজগ্রহের বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের প্রযুক্তি অর্জন করলে প্রযুক্তিও অতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে ওই প্রজাতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির অগ্রগতির সময় পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, একটি পর্যায়ে আপনি বেতার আবিষ্কার করলেন, এরপর আপনি বেতার সম্প্রচার শুরু করলেন এবং এরপর দেখা গেল, আমরা আপনার সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু বেতার আবিষ্কারের কয়েক শ বছরের মধ্যে চিন্তা করতে পারে এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলবেন আপনি। মানুষ সম্ভবত চলতি শতকেই এ ধরনের যন্ত্র তৈরি করে ফেলবে। সুতরাং আপনি আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে ফেললেন এবং ভাবুন তাহলে কয়েক শ বছর পর আপনি কী জৈব বুদ্ধিমত্তা হিসেবে সংকেত পাঠাবেন। সম্ভাবনার নিরিখে বলা যায়, এ ধরনের চিন্তাশীল যন্ত্রের উদ্ভব হলে তাদের কাছ থেকে আসা সংকেতই আমাদের কাছে পৌঁছার সম্ভাবনা বেশি।’
No comments