ঋণ বিতরণের কঠোর বিধান বাতিলের দাবি
শেয়ারের বিপরীতে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) সম্প্রতি যে বিধান আরোপ করেছে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তাঁদের যুক্তি হলো, ঋণ বিতরণের এ বিধানটি অত্যন্ত জটিল এবং এ পদ্ধতিতে একজন গ্রাহক কী পরিমাণ ঋণ প্রাপ্য হবেন, তা গণনার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নেই। তা ছাড়া পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে গেলে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রির চাপে পড়বে। এতে বাজারে বড় ধরনের পতনের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন তাঁরা।
তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের এ দাবির সঙ্গে একমত হননি এসইসির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলেছেন, এসইসির নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিধানটি পরিপালন করতে হবে। এতে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়লে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এ জন্য তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর দেওয়া ঋণের তথ্য চেয়েছে এসইসি। একই সঙ্গে ঋণ বিতরণের নতুন বিধানটি কার্যকর হলে কী পরিমাণ শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রির আওতায় পড়বে, তারও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আগামী রোববার আবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে ঋণের নতুন বিধান বাস্তবায়নে সমস্যা ও সমাধানসহ বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে গতকাল রোববার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে এসইসির পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। এ বৈঠকেই এসব বিষয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এসইসি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এসইসি তার আগের অবস্থানেই রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ক নির্দেশনা পরিপালনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, কমিশন মনে করে ঋণ অনুপাত নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার না থাকার বিষয়টি বড় কোনো সমস্যা নয়। ডিজিটাল যুগে এসব সমস্যা দূর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
প্রতিদিনের বাজারদরের ভিত্তিতে ঋণের অনুপাত নির্ণয়ের জটিলতা প্রসঙ্গে আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, প্রতিদিনের বাজারদরের ভিত্তিতে নয়, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে যেকোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের বাজারদরের ভিত্তিতে ঋণ অনুপাত হিসাব করতে পারবে।
বাজারে ঝুঁকি কমানো ও তারল্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ২৪ আগস্ট এসইসি ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় ২০০৬ সালে প্রণীত একটি বিধান পরিপালনে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিধানে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে গেলে নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করতে হবে। এ সূত্র অনুযায়ী গ্রাহকদের শেয়ারের বাজারমূল্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করে যে ফলাফল পাওয়া যাবে, তার সমানুপাতিক হারে ঋণ দিতে হবে।
একই সঙ্গে নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম করলে তা সমন্বয় করতে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়।
প্রায় চার বছর আগে প্রণীত এ বিধানটি প্রয়োগযোগ্য নয় বলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। গত মাসে এসইসির পরামর্শক কমিটির সভাও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বিধানটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল। এসইসির একজন সদস্যের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই কমিটির বৈঠকে বিষয়টি বিবেচনার ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিধানটি বাতিলের দাবি জানানো হলে এসইসির একজন সদস্য এর ঘোর আপত্তি জানান। তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে এ বিধানটি পরিপালন করতে হবে। ওই সদস্যের বক্তব্যের জবাবে ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান জানতে চান, এর ফলে বাজারে দরপতনের দায়িত্ব এসইসি নেবে কি না। এ বক্তব্যের পরপরই এসইসি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলে।
তাঁদের যুক্তি হলো, ঋণ বিতরণের এ বিধানটি অত্যন্ত জটিল এবং এ পদ্ধতিতে একজন গ্রাহক কী পরিমাণ ঋণ প্রাপ্য হবেন, তা গণনার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নেই। তা ছাড়া পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে গেলে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রির চাপে পড়বে। এতে বাজারে বড় ধরনের পতনের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন তাঁরা।
তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের এ দাবির সঙ্গে একমত হননি এসইসির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলেছেন, এসইসির নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিধানটি পরিপালন করতে হবে। এতে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়লে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এ জন্য তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর দেওয়া ঋণের তথ্য চেয়েছে এসইসি। একই সঙ্গে ঋণ বিতরণের নতুন বিধানটি কার্যকর হলে কী পরিমাণ শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রির আওতায় পড়বে, তারও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আগামী রোববার আবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে ঋণের নতুন বিধান বাস্তবায়নে সমস্যা ও সমাধানসহ বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে গতকাল রোববার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে এসইসির পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। এ বৈঠকেই এসব বিষয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এসইসি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এসইসি তার আগের অবস্থানেই রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ক নির্দেশনা পরিপালনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, কমিশন মনে করে ঋণ অনুপাত নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার না থাকার বিষয়টি বড় কোনো সমস্যা নয়। ডিজিটাল যুগে এসব সমস্যা দূর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
প্রতিদিনের বাজারদরের ভিত্তিতে ঋণের অনুপাত নির্ণয়ের জটিলতা প্রসঙ্গে আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, প্রতিদিনের বাজারদরের ভিত্তিতে নয়, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে যেকোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের বাজারদরের ভিত্তিতে ঋণ অনুপাত হিসাব করতে পারবে।
বাজারে ঝুঁকি কমানো ও তারল্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ২৪ আগস্ট এসইসি ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় ২০০৬ সালে প্রণীত একটি বিধান পরিপালনে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিধানে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে গেলে নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করতে হবে। এ সূত্র অনুযায়ী গ্রাহকদের শেয়ারের বাজারমূল্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করে যে ফলাফল পাওয়া যাবে, তার সমানুপাতিক হারে ঋণ দিতে হবে।
একই সঙ্গে নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম করলে তা সমন্বয় করতে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়।
প্রায় চার বছর আগে প্রণীত এ বিধানটি প্রয়োগযোগ্য নয় বলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। গত মাসে এসইসির পরামর্শক কমিটির সভাও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বিধানটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল। এসইসির একজন সদস্যের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই কমিটির বৈঠকে বিষয়টি বিবেচনার ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিধানটি বাতিলের দাবি জানানো হলে এসইসির একজন সদস্য এর ঘোর আপত্তি জানান। তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে এ বিধানটি পরিপালন করতে হবে। ওই সদস্যের বক্তব্যের জবাবে ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান জানতে চান, এর ফলে বাজারে দরপতনের দায়িত্ব এসইসি নেবে কি না। এ বক্তব্যের পরপরই এসইসি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলে।
No comments