আবার কলঙ্কিত পাকিস্তান-ক্রিকেট
ক্রিকইনফোর সরাসরি ধারাবিবরণিতে লেখা হয়েছিল ‘বিশাল নো-বল।’ বিবিসি অনলাইন লিখেছে, ‘ডার্টি গ্রেট নো-বল। দাগের প্রায় ২ ফিট সামনে পা।’ লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে মোহাম্মদ আমিরের ডেলিভারিটি নিয়ে তবুও সন্দেহ করার মতো কিছু ছিল না। একজন বোলার, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারের নো-বল হতেই পারে। সন্দেহ ছিল না তাই, সেদিনই দশম ওভারে করা মোহাম্মদ আসিফের ও পরদিন সকালে করা আমিরের আরেকটি নো-বল নিয়েও।
কিন্তু যদি বলা হয়, নো-বল তিনটি ‘হয়ে যায়নি, ইচ্ছে করে করা হয়েছে’, তাহলে? কিংবা বোলার আগে থেকেই জানতেন, এই বলটি হবে নো-বল, জানতেন অধিনায়ক-উইকেটকিপারও! চোখ কপালে উঠতে পারে, কিন্তু লর্ডসে হয়েছে এটাই। বোমাটা ফাটিয়েছে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ‘স্পট ফিক্সিংয়ে’ জড়িত থাকার খবর ফাঁস করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটি। তুলে এনেছে ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার আরেকটি কালো অধ্যায়। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মাজহার মাজিদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সালমান বাট, আমির, আসিফ ও কামরান আকমলকে। সন্দেহের তালিকায় থাকা আরও তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের নাম জানা যায়নি।
‘প্রপার্টি টাইকুন’ মাজিদ খেলাধুলার সঙ্গে বেশ আগে থেকেই জড়িত। তাঁর কোম্পানি ‘ব্লু স্কাই ডেভেলপমেন্টস’ ইংল্যান্ডে বিভিন্ন খেলার বেশ কিছু প্রথম সারির টুর্নামেন্ট পৃষ্ঠপোষণা করেছে। মাজিদের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের যোগাযোগ অনেক দিন থেকেই। বেশ কিছু ক্রিকেটারের স্পনসর এজেন্ট তিনি। কিছুদিন আগে বুকির ছদ্মবেশে মাজিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর প্রতিবেদক।
মাজিদকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগ ও স্পট ফিক্সিংয়ের প্রমাণ দিতে বলেন ওই প্রতিবেদক। ১০ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে মাজিদ জানিয়ে দেন নির্দিষ্ট তিনটি নো-বলের কথা। মাজিদ যেভাবে বলেছিলেন, ঠিক ওই সময়েই নো-বল করেন আমির ও আসিফ। প্রমাণ পাওয়ার পর ইংল্যান্ডেই ও দুবাইয়ে আরও স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য মাজিদকে আরও দেড় লাখ পাউন্ড দেন প্রতিবেদক। পুরো ঘটনাই ধারণ করা হয় গোপন ভিডিও ক্যামেরায়। ওই প্রতিবেদক, মাজিদ ও বাটের ছবিসহ আরও বেশ কটি ছবিও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। ভিডিওটি দেখানো হয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর তথ্যের ভিত্তিতে জুয়াড়ি সন্দেহে আমরা ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছি।’ পাকিস্তানের ম্যানেজার ইয়াওয়ার সাঈদ পরশু রাতে বলেছেন, ‘খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর দু-একজন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তারা এখন ব্যাপারটা তদন্ত করছে এবং আমরা সর্বতোভাবে তাদের সহায়তা করব। এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের কক্ষ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধারের কথাও শোনা গেছে। তবে তা জুুয়াড়িদের দেওয়া নাকি বৈধ টাকা, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। পুলিশি তদন্ত চলছে বলে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি আইসিসি, ইসিবি ও পিসিবি।
অভিযুক্তদের একজন মোহাম্মদ আসিফ পরশু রাতে হোটেলে বার্তা সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে বলেছিলেন, ‘ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তারা বলেছে কিছু একটা হয়েছে, তবে কী হয়েছে তা জানায়নি। ম্যানেজমেন্ট পরে আমাদের জানাবে। আমাদের শতভাগ মনোযোগ ম্যাচের দিকে।’ আসিফ পরে জেনেছেন, ‘অজানা’ সেই ঘটনার অন্যতম মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তিনি, সতীর্থদের নিয়ে আরও একবার কলঙ্কিত করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটকে।
কিন্তু যদি বলা হয়, নো-বল তিনটি ‘হয়ে যায়নি, ইচ্ছে করে করা হয়েছে’, তাহলে? কিংবা বোলার আগে থেকেই জানতেন, এই বলটি হবে নো-বল, জানতেন অধিনায়ক-উইকেটকিপারও! চোখ কপালে উঠতে পারে, কিন্তু লর্ডসে হয়েছে এটাই। বোমাটা ফাটিয়েছে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ‘স্পট ফিক্সিংয়ে’ জড়িত থাকার খবর ফাঁস করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটি। তুলে এনেছে ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার আরেকটি কালো অধ্যায়। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মাজহার মাজিদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সালমান বাট, আমির, আসিফ ও কামরান আকমলকে। সন্দেহের তালিকায় থাকা আরও তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের নাম জানা যায়নি।
‘প্রপার্টি টাইকুন’ মাজিদ খেলাধুলার সঙ্গে বেশ আগে থেকেই জড়িত। তাঁর কোম্পানি ‘ব্লু স্কাই ডেভেলপমেন্টস’ ইংল্যান্ডে বিভিন্ন খেলার বেশ কিছু প্রথম সারির টুর্নামেন্ট পৃষ্ঠপোষণা করেছে। মাজিদের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের যোগাযোগ অনেক দিন থেকেই। বেশ কিছু ক্রিকেটারের স্পনসর এজেন্ট তিনি। কিছুদিন আগে বুকির ছদ্মবেশে মাজিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর প্রতিবেদক।
মাজিদকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগ ও স্পট ফিক্সিংয়ের প্রমাণ দিতে বলেন ওই প্রতিবেদক। ১০ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে মাজিদ জানিয়ে দেন নির্দিষ্ট তিনটি নো-বলের কথা। মাজিদ যেভাবে বলেছিলেন, ঠিক ওই সময়েই নো-বল করেন আমির ও আসিফ। প্রমাণ পাওয়ার পর ইংল্যান্ডেই ও দুবাইয়ে আরও স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য মাজিদকে আরও দেড় লাখ পাউন্ড দেন প্রতিবেদক। পুরো ঘটনাই ধারণ করা হয় গোপন ভিডিও ক্যামেরায়। ওই প্রতিবেদক, মাজিদ ও বাটের ছবিসহ আরও বেশ কটি ছবিও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। ভিডিওটি দেখানো হয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর তথ্যের ভিত্তিতে জুয়াড়ি সন্দেহে আমরা ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছি।’ পাকিস্তানের ম্যানেজার ইয়াওয়ার সাঈদ পরশু রাতে বলেছেন, ‘খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর দু-একজন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তারা এখন ব্যাপারটা তদন্ত করছে এবং আমরা সর্বতোভাবে তাদের সহায়তা করব। এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের কক্ষ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধারের কথাও শোনা গেছে। তবে তা জুুয়াড়িদের দেওয়া নাকি বৈধ টাকা, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। পুলিশি তদন্ত চলছে বলে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি আইসিসি, ইসিবি ও পিসিবি।
অভিযুক্তদের একজন মোহাম্মদ আসিফ পরশু রাতে হোটেলে বার্তা সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে বলেছিলেন, ‘ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তারা বলেছে কিছু একটা হয়েছে, তবে কী হয়েছে তা জানায়নি। ম্যানেজমেন্ট পরে আমাদের জানাবে। আমাদের শতভাগ মনোযোগ ম্যাচের দিকে।’ আসিফ পরে জেনেছেন, ‘অজানা’ সেই ঘটনার অন্যতম মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তিনি, সতীর্থদের নিয়ে আরও একবার কলঙ্কিত করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটকে।
No comments