সেই পিটারসেন, এই পিটারসেন
রাজ্যের চাপ মাথায় নিয়ে উইকেটে গিয়েছিলেন। মিনিট তিনেকের মধ্যে মুক্তি পেয়ে গেলেন কেভিন পিটারসেন। লর্ডসে কাল প্রথম বলেই আউট হয়ে ফিরে গেলেন ড্রেসিংরুমে, বেশ কিছুদিন ধরেই উইকেটের চেয়ে যেখানেই বেশি স্বচ্ছন্দ সাবেক অধিনায়ক। অথচ একটা সময় ব্যাট হাতে উইকেটে নামলে কী ভয়ংকরই না হয়ে উঠতেন! যতক্ষণ উইকেটে থাকতেন, মনে হতো ব্যাটিংয়ের চেয়ে আনন্দদায়ী কিছু আর নেই। উইকেটে থাকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতেন, তাঁর ব্যাটিং প্রাণভরে উপভোগ করত দর্শক।
খারাপ সময় সব ক্রিকেটারেরই আসে। কিন্তু পিটারসেনের খারাপ সময়টা যেমন একটু বেশিই স্থায়ী হচ্ছে। রান যে একেবারেই পাচ্ছেন না, তা কিন্তু নয়। তবে সেই ধারাবাহিকতাটা নেই। বেশ কিছু ভালো শুরুকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারেননি। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪৫ টেস্টে যাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৫টি সেঞ্চুরি, চলতি লর্ডস টেস্টসহ সর্বশেষ ২১ টেস্টে সেই ব্যাটসম্যানেরই সেঞ্চুরি কেবল একটি! সেটিও ১৮ মাস আগে, পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ১০২। রান পাচ্ছেন না, এর চেয়েও বেশি চোখে লাগছে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। উইকেটে স্থায়িত্ব যতক্ষণই হোক, আগে যিনি কেবল বোলারদের শাসন করতেই জানতেন, সেই লোকটিকেই এখন উইকেটে মনে হচ্ছে বড্ড বেশি নড়বড়ে। পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে পিটারসেন নিজেই বলছেন, ‘আত্মবিশ্বাস রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।’
‘বিধ্বস্ত মানসিক অবস্থা’র সঙ্গে অনেকে যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন অধিনায়কত্ব হারানোর। বিতর্কিতভাবে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া আর তাঁর খারাপ সময়ের শুরু প্রায় কাছাকাছি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ফেব্রুয়ারি-মার্চের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা মোটামুটি ভালো কেটেছে (৫ টেস্টে ৪০৬ রান), কিন্তু এর পরই শুরু রান আর সেঞ্চুরির খরা। পিটারসেন নিজেও বাজে ফর্মের জন্য ব্যাটিং টেকনিককে নয়, দায় দিচ্ছেন মানসিক অবস্থাকেই। স্কাইস্পোর্টসকে বলেছেন, নিজের কাছেই নিজেকে অচেনা লাগছে, ‘আমি সে ধরনের লোক নই যে বলবে, ‘‘নেটে খুব ভালো ব্যাটিং করছি।’’ সত্যি বলতে, আমি ১৮ মাসের সেঞ্চুরি-বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আমাকে সবকিছু ইতিবাচকভাবে নিতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হবে, গত ১৮ মাসে যা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমি আসলে যেমন, এই মুহূর্তে তার ধারেকাছেও নেই।’
পিটারসেনের ব্যাটিংয়ে খুব বেশি সমস্যা দেখছেন না ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ ও সাবেক অধিনায়ক গ্রাহাম গুচও। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৮ টেস্টে ৮৯০০ রান করা গুচেরও ধারণা সমস্যাটা মানসিক, ‘ও যতটা কষ্ট করছে, যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে খুব একটা ভুল খুঁজে পাবেন না। কিন্তু উইকেটে যাওয়ার পর সবকিছু নিজেকেই করতে হবে। একই পরিস্থিতিতে একেক জনের মন একেকভাবে সাড়া দেয়।’
বেশ কিছু ভালো শুরুকে তিন অঙ্কে নিতে না পারার আফসোসটাও অবশ্য পিটারসেনের আছে। তবে এই আফসোসের ঘেরাটোপে আর বন্দী না থেকে চান ঘুরে দাঁড়াতে, ‘বেশ কিছু শুরুকে আমি কাজে লাগাতে পারিনি, আশি-নব্বইকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারিনি। তবে সেরা অবস্থায় পোঁছাতে আমি চেষ্টা করছি। আমি জানি, আমি পারব।’
কথাগুলো বলেছিলেন লর্ডসের ‘গোল্ডেন ডাকের’ আগে। কালও ফিরে পেলেন না নিজেকে, তবে পেতে হবে খুব দ্রুতই। অ্যাশেজ যে কড়া নাড়ছে দুয়ারে!
খারাপ সময় সব ক্রিকেটারেরই আসে। কিন্তু পিটারসেনের খারাপ সময়টা যেমন একটু বেশিই স্থায়ী হচ্ছে। রান যে একেবারেই পাচ্ছেন না, তা কিন্তু নয়। তবে সেই ধারাবাহিকতাটা নেই। বেশ কিছু ভালো শুরুকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারেননি। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪৫ টেস্টে যাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৫টি সেঞ্চুরি, চলতি লর্ডস টেস্টসহ সর্বশেষ ২১ টেস্টে সেই ব্যাটসম্যানেরই সেঞ্চুরি কেবল একটি! সেটিও ১৮ মাস আগে, পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ১০২। রান পাচ্ছেন না, এর চেয়েও বেশি চোখে লাগছে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। উইকেটে স্থায়িত্ব যতক্ষণই হোক, আগে যিনি কেবল বোলারদের শাসন করতেই জানতেন, সেই লোকটিকেই এখন উইকেটে মনে হচ্ছে বড্ড বেশি নড়বড়ে। পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে পিটারসেন নিজেই বলছেন, ‘আত্মবিশ্বাস রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।’
‘বিধ্বস্ত মানসিক অবস্থা’র সঙ্গে অনেকে যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন অধিনায়কত্ব হারানোর। বিতর্কিতভাবে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া আর তাঁর খারাপ সময়ের শুরু প্রায় কাছাকাছি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ফেব্রুয়ারি-মার্চের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা মোটামুটি ভালো কেটেছে (৫ টেস্টে ৪০৬ রান), কিন্তু এর পরই শুরু রান আর সেঞ্চুরির খরা। পিটারসেন নিজেও বাজে ফর্মের জন্য ব্যাটিং টেকনিককে নয়, দায় দিচ্ছেন মানসিক অবস্থাকেই। স্কাইস্পোর্টসকে বলেছেন, নিজের কাছেই নিজেকে অচেনা লাগছে, ‘আমি সে ধরনের লোক নই যে বলবে, ‘‘নেটে খুব ভালো ব্যাটিং করছি।’’ সত্যি বলতে, আমি ১৮ মাসের সেঞ্চুরি-বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আমাকে সবকিছু ইতিবাচকভাবে নিতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হবে, গত ১৮ মাসে যা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমি আসলে যেমন, এই মুহূর্তে তার ধারেকাছেও নেই।’
পিটারসেনের ব্যাটিংয়ে খুব বেশি সমস্যা দেখছেন না ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ ও সাবেক অধিনায়ক গ্রাহাম গুচও। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৮ টেস্টে ৮৯০০ রান করা গুচেরও ধারণা সমস্যাটা মানসিক, ‘ও যতটা কষ্ট করছে, যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে খুব একটা ভুল খুঁজে পাবেন না। কিন্তু উইকেটে যাওয়ার পর সবকিছু নিজেকেই করতে হবে। একই পরিস্থিতিতে একেক জনের মন একেকভাবে সাড়া দেয়।’
বেশ কিছু ভালো শুরুকে তিন অঙ্কে নিতে না পারার আফসোসটাও অবশ্য পিটারসেনের আছে। তবে এই আফসোসের ঘেরাটোপে আর বন্দী না থেকে চান ঘুরে দাঁড়াতে, ‘বেশ কিছু শুরুকে আমি কাজে লাগাতে পারিনি, আশি-নব্বইকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারিনি। তবে সেরা অবস্থায় পোঁছাতে আমি চেষ্টা করছি। আমি জানি, আমি পারব।’
কথাগুলো বলেছিলেন লর্ডসের ‘গোল্ডেন ডাকের’ আগে। কালও ফিরে পেলেন না নিজেকে, তবে পেতে হবে খুব দ্রুতই। অ্যাশেজ যে কড়া নাড়ছে দুয়ারে!
No comments