মরিনহো-যুগ শুরুর অপেক্ষায় রিয়াল
হোসে মরিনহো আসায় বড় উপকার হলো বার্সেলোনার। বার্সেলোনা! মরিনহো তো কোচ হয়ে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদের। তাতে বার্সেলোনার ‘অপকার’ না হোক, অন্তত উপকার হওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন! আসছে, জাভি বলছেন, মরিনহো বড় উপকার করে দিয়েছেন তাঁর দলের। টানা দুবার লিগ শিরোপা জেতার পর একটু আয়েশি ভাব ভর করেছিল বার্সার ওপর। ‘শত্রু-শিবিরে’ মরিনহোর আগমন নতুন করে তাতিয়ে দিয়েছে কাতালানদের!
‘মরিনহোর আগমন লিগের জন্য তো বটেই, আমাদের জন্যও ভালো। কারণ এটি আমাদের বাড়তি প্রেরণা জোগাচ্ছে। শিরোপা জেতার জন্য মাদ্রিদ সব রকম চেষ্টাই করবে। অবশ্য গতবার ওরা অজস্র টাকা ঢালার পরও আমরা ওদের হারিয়েছিলাম। এবারও তা-ই হবে আশা করি’—এই মৌসুমের কথা বলতে গিয়ে জাভি হাতছাড়া করলেন না গত মৌসুম টেনে এনে খোঁটা দেওয়ার সুযোগ।
এই প্রেরণা আসলেই দরকার বার্সেলোনার। লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার দল। ১৯৯৩ সালের পর টানা তিনবার লিগ শিরোপা জিততে পারেনি কোনো দলই। সর্বশেষ এই কীর্তি ছিল বার্সেলোনারই। কোচ হিসেবে ইয়োহান ক্রুইফ টানা চারবার লিগ শিরোপা জিতিয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকের বার্সেলোনার সেই ‘ড্রিম টিম’-এর মাঝমাঠের হূিপণ্ড ছিলেন গার্দিওলা।
ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের পর অনেকটা নিভৃতেই যেন সেই গার্দিওলা ভার নিয়েছেন সিনিয়র দলের। কোচ হিসেবে প্রথম দুই বছরেই জিতেছেন আটটি শিরোপা! মরিনহো যেখানেই যান, সেখানেই একটা উদ্ধত অহংকার ঝরে পড়ে। ঠারেঠোরে নয়, প্রকাশেই বলেন, ‘আমার মতো এত শিরোপা আর কে জিতেছে বলুন।’ গার্দিওলার সঙ্গে অবশ্য এখনো কথার লড়াই জমে ওঠেনি। মরিনহো কি সমঝে চলছেন! কে জানে।
গার্দিওলার সঙ্গে সরাসরি কথার লড়াইয়ে না জড়ালেও পর্তুগিজ কোচ কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে চলেছেন। ইউরোপের তিনটি প্রধান লিগের শিরোপা জিতে, তাঁর ভাষায় ‘গ্র্যান্ড স্লাম’ পূর্ণ করতে চান বলেও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনো খেলোয়াড় কিংবা কোচ তিনটি প্রধান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইংলিশ, ইতালিয়ান আর স্প্যানিশ লিগ) জেতেনি। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সেই গ্র্যান্ড স্লামটি জিততে চাই।’
টানা দুই মৌসুম কোনো শিরোপাই না জেতা বুভুক্ষু রিয়াল তাঁর কাছে সাফল্য তো চাইছেই। কিন্তু রিয়ালের আক্রমণাত্মক ফুটবলের যে দর্শন, সেটিও রাখতে হবে অক্ষুণ্ন। সাফল্যের জন্য মরিনহো অতি-রক্ষণাত্মক কৌশল সাজাতেও দ্বিধা করেন না—এমন একটা অপবাদ আছে। তবে এই ৪৭ বছর বয়সী জানালেন, তাঁর নেতৃত্বে রিয়াল ভয়ডরহীন ফুটবলই খেলবে, ‘আমার ফুটবলের অভিধানে ভয় বলে কোনো শব্দ নেই। আমি চাই না, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের অভিধানেও সেটা থাকুক।’
রিয়ালে মরিনহোর সঙ্গে জুটি হচ্ছে আরেক পর্তুগিজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এই মৌসুমেই রোনালদোকে ৭ নম্বর জার্সিটা দিয়ে দিয়েছে রিয়াল। যেটি ছিল রাউলের সম্পত্তি। রাউল-উত্তর যুগও শুরু হচ্ছে রিয়ালের। অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের বাহুতেই থাকবে রিয়ালের অধিনায়কের ‘আর্মব্যান্ড’। বার্সাতেও কিছু পরিবর্তন। অঁরি-মার্কেজ চলে গেছেন। দলে এসেছেন ডেভিড ভিয়া। মাত্রই যোগ দিলেন হাভিয়ের মাচেরানো।
স্প্যানিশ লিগেরই প্রিভিউ, কিন্তু পুরোটাই শুধু রিয়াল-বার্সায় ঠাসা দেখে কি অবাক হচ্ছেন? কী আর করা। ১৯২৯ সালে চালুর পর থেকে এই দুই দল মিলেই যে জিতেছে ৫১টি শিরোপা। গত ১০ বছরে ৮ বারই তো এই দুই দলের কোনো একটি চ্যাম্পিয়ন। আরও ভালো উদাহরণ হিসেবে গত লিগের পয়েন্ট টেবিলটা সামনে নিতে পারেন। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সঙ্গে তৃতীয় স্থানের ভ্যালেন্সিয়ার পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ২৫!
‘মরিনহোর আগমন লিগের জন্য তো বটেই, আমাদের জন্যও ভালো। কারণ এটি আমাদের বাড়তি প্রেরণা জোগাচ্ছে। শিরোপা জেতার জন্য মাদ্রিদ সব রকম চেষ্টাই করবে। অবশ্য গতবার ওরা অজস্র টাকা ঢালার পরও আমরা ওদের হারিয়েছিলাম। এবারও তা-ই হবে আশা করি’—এই মৌসুমের কথা বলতে গিয়ে জাভি হাতছাড়া করলেন না গত মৌসুম টেনে এনে খোঁটা দেওয়ার সুযোগ।
এই প্রেরণা আসলেই দরকার বার্সেলোনার। লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার দল। ১৯৯৩ সালের পর টানা তিনবার লিগ শিরোপা জিততে পারেনি কোনো দলই। সর্বশেষ এই কীর্তি ছিল বার্সেলোনারই। কোচ হিসেবে ইয়োহান ক্রুইফ টানা চারবার লিগ শিরোপা জিতিয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকের বার্সেলোনার সেই ‘ড্রিম টিম’-এর মাঝমাঠের হূিপণ্ড ছিলেন গার্দিওলা।
ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের পর অনেকটা নিভৃতেই যেন সেই গার্দিওলা ভার নিয়েছেন সিনিয়র দলের। কোচ হিসেবে প্রথম দুই বছরেই জিতেছেন আটটি শিরোপা! মরিনহো যেখানেই যান, সেখানেই একটা উদ্ধত অহংকার ঝরে পড়ে। ঠারেঠোরে নয়, প্রকাশেই বলেন, ‘আমার মতো এত শিরোপা আর কে জিতেছে বলুন।’ গার্দিওলার সঙ্গে অবশ্য এখনো কথার লড়াই জমে ওঠেনি। মরিনহো কি সমঝে চলছেন! কে জানে।
গার্দিওলার সঙ্গে সরাসরি কথার লড়াইয়ে না জড়ালেও পর্তুগিজ কোচ কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে চলেছেন। ইউরোপের তিনটি প্রধান লিগের শিরোপা জিতে, তাঁর ভাষায় ‘গ্র্যান্ড স্লাম’ পূর্ণ করতে চান বলেও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনো খেলোয়াড় কিংবা কোচ তিনটি প্রধান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইংলিশ, ইতালিয়ান আর স্প্যানিশ লিগ) জেতেনি। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সেই গ্র্যান্ড স্লামটি জিততে চাই।’
টানা দুই মৌসুম কোনো শিরোপাই না জেতা বুভুক্ষু রিয়াল তাঁর কাছে সাফল্য তো চাইছেই। কিন্তু রিয়ালের আক্রমণাত্মক ফুটবলের যে দর্শন, সেটিও রাখতে হবে অক্ষুণ্ন। সাফল্যের জন্য মরিনহো অতি-রক্ষণাত্মক কৌশল সাজাতেও দ্বিধা করেন না—এমন একটা অপবাদ আছে। তবে এই ৪৭ বছর বয়সী জানালেন, তাঁর নেতৃত্বে রিয়াল ভয়ডরহীন ফুটবলই খেলবে, ‘আমার ফুটবলের অভিধানে ভয় বলে কোনো শব্দ নেই। আমি চাই না, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের অভিধানেও সেটা থাকুক।’
রিয়ালে মরিনহোর সঙ্গে জুটি হচ্ছে আরেক পর্তুগিজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এই মৌসুমেই রোনালদোকে ৭ নম্বর জার্সিটা দিয়ে দিয়েছে রিয়াল। যেটি ছিল রাউলের সম্পত্তি। রাউল-উত্তর যুগও শুরু হচ্ছে রিয়ালের। অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের বাহুতেই থাকবে রিয়ালের অধিনায়কের ‘আর্মব্যান্ড’। বার্সাতেও কিছু পরিবর্তন। অঁরি-মার্কেজ চলে গেছেন। দলে এসেছেন ডেভিড ভিয়া। মাত্রই যোগ দিলেন হাভিয়ের মাচেরানো।
স্প্যানিশ লিগেরই প্রিভিউ, কিন্তু পুরোটাই শুধু রিয়াল-বার্সায় ঠাসা দেখে কি অবাক হচ্ছেন? কী আর করা। ১৯২৯ সালে চালুর পর থেকে এই দুই দল মিলেই যে জিতেছে ৫১টি শিরোপা। গত ১০ বছরে ৮ বারই তো এই দুই দলের কোনো একটি চ্যাম্পিয়ন। আরও ভালো উদাহরণ হিসেবে গত লিগের পয়েন্ট টেবিলটা সামনে নিতে পারেন। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সঙ্গে তৃতীয় স্থানের ভ্যালেন্সিয়ার পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ২৫!
No comments