চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিনিময় কার্যক্রম বাতিল করল ভারত
চীন সরকার ভারতের একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর নয়াদিল্লি বেইজিংয়ের সঙ্গে তার প্রতিরক্ষা বিনিময় কার্যক্রম বাতিল করে দিয়েছে। চলতি মাসেই ভারতের সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় জেনারেল অফিসার কমান্ডার ইন চিফ (জিওসি ইন সি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস যশওয়ালের এক সরকারি সফরে চীন যাওয়ার কথা ছিল। তবে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যশওয়াল জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বে থাকার কারণে তারা তাঁকে ভিসা দিতে পারছে না। এর পরপরই ভারতের পক্ষ থেকে দুই দেশের প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিনিময় কার্যক্রম বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরকে অমীমাংসিত ভূখণ্ড মনে করে এবং ওই অঞ্চলের একাংশকে নিজের বলেও দাবি করে। জেনারেল যশওয়ালের ভিসা প্রত্যাখ্যানের ব্যাখ্যা দিয়ে চীন বলেছে, তিনি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকার কারণে বেইজিং তাঁকে স্বাগত জানাতে অক্ষম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার জেনারেল যশওয়ালের চীন সফর বাতিলের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং একই সঙ্গে ভিসা না দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়াদিল্লি ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী দুই চীনা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার ভিসার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে একদল ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার চীন সফরের যে পরিকল্পনা ছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো রকম কূটনৈতিক সাবধানী বক্তব্যের আশ্রয় না নিয়ে দিল্লি বেইজিংকে সোজাসাপ্টা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে জেনারেল যশওয়ালকে ভিসা না দেওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই চীনা কর্মকর্তাদের ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের চীন সফর বাতিল করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এ আচরণকে ভারত উসকানিমূলক এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মনে করছে। ভারত মনে করছে, চীনের বিবেচনায় কাশ্মীরের চেয়েও স্পর্শকাতর অঞ্চলের দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তার বেইজিং সফর করার নজির রয়েছে।
২০০৯ সালের আগস্টে তত্কালীন পূর্বাঞ্চলীয় জিওসি ইন সি এবং ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে সিং প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চীন সফর করেছিলেন। সে সময় তাঁর আওতাধীন এলাকার মধ্যে চীনের সীমান্তসংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশও ছিল। আর অরুণাচলের এক বড় অংশকে চীন নিজের বলে দাবি করে আসছে। ভারত মনে করছে, এখনো অরুণাচল প্রদেশের বর্তমান জিওসি ইন সি জগিন্দর যশোবন্ত সিং যদি চীন সফর করতে চান, তাহলে তাঁকেও বেইজিং বাধা দেবে না। কেবল কাশ্মীরের কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তাদের ঘোর আপত্তি রয়েছে।
ভারত মনে করে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে চীন ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে। ২০০৮ সালে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানকে বাঁধ নির্মাণে সহায়তা দেওয়ার সময় ভারত তার তীব্র সমালোচনা করেছিল।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করায় চীন এর সমালোচনা করে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় এ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের শীতলতা ক্রমেই প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরকে অমীমাংসিত ভূখণ্ড মনে করে এবং ওই অঞ্চলের একাংশকে নিজের বলেও দাবি করে। জেনারেল যশওয়ালের ভিসা প্রত্যাখ্যানের ব্যাখ্যা দিয়ে চীন বলেছে, তিনি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকার কারণে বেইজিং তাঁকে স্বাগত জানাতে অক্ষম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার জেনারেল যশওয়ালের চীন সফর বাতিলের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং একই সঙ্গে ভিসা না দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়াদিল্লি ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী দুই চীনা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার ভিসার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে একদল ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার চীন সফরের যে পরিকল্পনা ছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো রকম কূটনৈতিক সাবধানী বক্তব্যের আশ্রয় না নিয়ে দিল্লি বেইজিংকে সোজাসাপ্টা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে জেনারেল যশওয়ালকে ভিসা না দেওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই চীনা কর্মকর্তাদের ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের চীন সফর বাতিল করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এ আচরণকে ভারত উসকানিমূলক এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মনে করছে। ভারত মনে করছে, চীনের বিবেচনায় কাশ্মীরের চেয়েও স্পর্শকাতর অঞ্চলের দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তার বেইজিং সফর করার নজির রয়েছে।
২০০৯ সালের আগস্টে তত্কালীন পূর্বাঞ্চলীয় জিওসি ইন সি এবং ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে সিং প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চীন সফর করেছিলেন। সে সময় তাঁর আওতাধীন এলাকার মধ্যে চীনের সীমান্তসংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশও ছিল। আর অরুণাচলের এক বড় অংশকে চীন নিজের বলে দাবি করে আসছে। ভারত মনে করছে, এখনো অরুণাচল প্রদেশের বর্তমান জিওসি ইন সি জগিন্দর যশোবন্ত সিং যদি চীন সফর করতে চান, তাহলে তাঁকেও বেইজিং বাধা দেবে না। কেবল কাশ্মীরের কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তাদের ঘোর আপত্তি রয়েছে।
ভারত মনে করে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে চীন ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে। ২০০৮ সালে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানকে বাঁধ নির্মাণে সহায়তা দেওয়ার সময় ভারত তার তীব্র সমালোচনা করেছিল।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করায় চীন এর সমালোচনা করে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় এ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের শীতলতা ক্রমেই প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে।
No comments