নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি ক্ষতি হবে: আহমাদিনেজাদ
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ গত মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন করে তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি ক্ষতিকর হবে। এ ছাড়া এ নিষেধাজ্ঞা দুটি দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের দরজা বন্ধ করে দেবে। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানাই না এবং এটাকে আমরা ভয়ও পাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এতে আমাদের চেয়ে মার্কিন সরকারের বেশি ক্ষতি হবে।’
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। কারণ, ৩১ বছর ধরে এটি আমাদের ওপর আরোপ আছে। এটা খুবই স্পষ্ট, যদি ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এ ছাড়া এ নিষেধাজ্ঞা কোনো ধরনের পরিবর্তন বয়ে আনবে না।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকেই আমাদের ওপর প্রচণ্ড রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। তবে সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কোনো নিষেধাজ্ঞা ইরানকে দমাতে পারবে না। ৪০ বছর আগের চেয়ে ইরান এখন অনেক বেশি অগ্রগামী ও শক্তিশালী।’
জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) পর্যালোচনা সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের বাগ্যুদ্ধের এক দিন পর নিউইয়র্কে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যাবে এবং কখনোই তাদের সম্পর্কের আর উন্নতি ঘটবে না।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য ও জার্মানি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভ বলেন, ‘আমি আশাবাদী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আমরা একটি মতৈক্যে পৌঁছাতে পারব।’
এ দিকে ওয়াশিংটনে এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহমাদিনেজাদ বলেছেন, আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন তেহরানে নয়, ওয়াশিংটনে লুকিয়ে আছেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বিন লাদেন ইরানে থাকতে পারেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, লাদেনের ওয়াশিংটনেই আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তিনি শুনেছেন, লাদেন সেখানেই আছেন; কারণ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর একসময়ের ব্যবসায়িক অংশীদার।
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘তাঁরা পুরোনো সহকর্মী। একসময় একসঙ্গে তেলের ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। তেহরান কখনোই লাদেনকে সহায়তা করেনি, সহায়তা করেছেন বুশ।’
আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, লাদেনকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল। সম্ভবত তাঁরা জানতেন, লাদেন কোথায় ছিলেন। না জানলে কেন তাঁরা সেখানে হামলা করবেন?
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। কারণ, ৩১ বছর ধরে এটি আমাদের ওপর আরোপ আছে। এটা খুবই স্পষ্ট, যদি ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এ ছাড়া এ নিষেধাজ্ঞা কোনো ধরনের পরিবর্তন বয়ে আনবে না।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকেই আমাদের ওপর প্রচণ্ড রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। তবে সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কোনো নিষেধাজ্ঞা ইরানকে দমাতে পারবে না। ৪০ বছর আগের চেয়ে ইরান এখন অনেক বেশি অগ্রগামী ও শক্তিশালী।’
জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) পর্যালোচনা সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের বাগ্যুদ্ধের এক দিন পর নিউইয়র্কে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যাবে এবং কখনোই তাদের সম্পর্কের আর উন্নতি ঘটবে না।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য ও জার্মানি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভ বলেন, ‘আমি আশাবাদী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আমরা একটি মতৈক্যে পৌঁছাতে পারব।’
এ দিকে ওয়াশিংটনে এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহমাদিনেজাদ বলেছেন, আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন তেহরানে নয়, ওয়াশিংটনে লুকিয়ে আছেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বিন লাদেন ইরানে থাকতে পারেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, লাদেনের ওয়াশিংটনেই আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তিনি শুনেছেন, লাদেন সেখানেই আছেন; কারণ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর একসময়ের ব্যবসায়িক অংশীদার।
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘তাঁরা পুরোনো সহকর্মী। একসময় একসঙ্গে তেলের ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। তেহরান কখনোই লাদেনকে সহায়তা করেনি, সহায়তা করেছেন বুশ।’
আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, লাদেনকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল। সম্ভবত তাঁরা জানতেন, লাদেন কোথায় ছিলেন। না জানলে কেন তাঁরা সেখানে হামলা করবেন?
No comments