সামনে ‘শত্রু’ ইনজুরি
৩২টি দেশের কোচরা প্রার্থনা করছেন। করছেন টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই। প্রার্থনায় বসুন আপনিও। যেন এবার বিশ্বকাপে আপনার প্রিয় খেলোয়াড়টি ছিটকে না যান! যেন অনাকাঙ্ক্ষিত চোট তাঁর দুর্ভাগ্যের কারণ না হয়। ঈশ্বর না করুন, স্প্যানিশ লিগের বাকি দুই ম্যাচের কোনো একটাতে প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়ের গুরুতর কোনো ফাউলের যদি শিকার হন লিওনেল মেসি...অমন অলক্ষুণে কথা মুখে আনতে নেই!
কিন্তু এটাও বাস্তবতা, কোচদের দুশ্চিন্তার তালিকায় প্রতিপক্ষ দলগুলোর চেয়ে আপাতত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এই একটা নাম—ইনজুরি! খেলোয়াড়দের চিরশত্রু। যে শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছেন ডেভিড বেকহাম। অতিসম্প্রতি বেকহামের সঙ্গী হয়ে এই বিশ্বকাপে দর্শকের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন রেনে অ্যাডলার আর সাইমন রোলফস।
জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর কপালের ভাঁজটা তাই বেড়েই চলেছে। এমনিতেই রবার্ট এনকার অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মহনন জন্ম দিয়েছিল জার্মানির গোলপোস্টের নিচের জায়গাটি নিয়ে নতুন সমস্যার। একসময় ‘অলিভার কানকে খেলাই নাকি জেন্স লেম্যান’ এই মধুর সমস্যায় ভুগতে থাকা জার্মানি এখন গোলরক্ষকই খুঁজে পাচ্ছে না! ফুটবল তো বটেই, জীবন থেকেই আগ্রহ হারানো এনকার হঠাত্ চলে যাওয়ার পর অ্যাডলারই ছিলেন এক নম্বর পছন্দ। বায়ার্ন লেভারকুসেনের সেই গোলরক্ষক পাঁজর ভেঙে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে। অ্যাডলারের ক্লাব অধিনায়ক ডিফেন্ডার রোলফসের সমস্যা হাঁটুতে।
লোর দুশ্চিন্তাটা যেখানে রক্ষণভাগ নিয়ে, স্পেন কোচ দেল বস্কের দুশ্চিন্তায় আবার আক্রমণভাগ। বলা হচ্ছে, স্পেনই নাকি এবার সবচেয়ে ফেবারিট। সবচেয়ে বেশি তারকা ফুটবলারও তাদেরই দলে। কিন্তু বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে, চোটে আক্রান্ত স্প্যানিয়ার্ড খেলোয়াড়ের সংখ্যা ততই বাড়ছে। সেস ফ্যাব্রিগাস, ফার্নান্দো তোরেস, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। স্প্যানিশ লিগে এখনো দুটো ম্যাচ বাকি। দেল বস্ক তো বটেই, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও নিশ্চয়ই ভীরু চোখে তাকিয়ে থাকবেন এই ম্যাচ দুটোর দিকে। ম্যারাডোনার মূল অস্ত্রটা যে বার্সেলোনারও।
ইংল্যান্ড কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোর মূল ভরসা যেমন ওয়েইন রুনি। ক্যাপেলো অবশ্য চিন্তামুক্ত হয়েছেন, লিগে গত ম্যাচেই সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে চোট পাওয়া এই স্ট্রাইকার। তবে প্রিমিয়ার লিগে যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এখনো শতভাগ ফিট মনে হচ্ছে না।
সর্বোচ্চ গোলদাতায় রুনির সঙ্গে থাকা দিদিয়ের দ্রগবাও একটু অস্বস্তিকর ইনজুরিতে। অবশ্য আইভরিকোস্টের অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে চিকিত্সকের ছুরির নিচে যেতে চান না। হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করানো মানেই সপ্তাহ কয়েকের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া। আর ‘গ্রুপ অব ডেথে’ পড়া আইভরিকোস্টের অধিনায়কের জন্য সেই ছিটকে যাওয়ার মানে হয়ে যেতে পারে বিশ্বকাপ-স্বপ্নের অপমৃত্যু।
প্রার্থনায় বসুন...।
কিন্তু এটাও বাস্তবতা, কোচদের দুশ্চিন্তার তালিকায় প্রতিপক্ষ দলগুলোর চেয়ে আপাতত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এই একটা নাম—ইনজুরি! খেলোয়াড়দের চিরশত্রু। যে শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছেন ডেভিড বেকহাম। অতিসম্প্রতি বেকহামের সঙ্গী হয়ে এই বিশ্বকাপে দর্শকের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন রেনে অ্যাডলার আর সাইমন রোলফস।
জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর কপালের ভাঁজটা তাই বেড়েই চলেছে। এমনিতেই রবার্ট এনকার অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মহনন জন্ম দিয়েছিল জার্মানির গোলপোস্টের নিচের জায়গাটি নিয়ে নতুন সমস্যার। একসময় ‘অলিভার কানকে খেলাই নাকি জেন্স লেম্যান’ এই মধুর সমস্যায় ভুগতে থাকা জার্মানি এখন গোলরক্ষকই খুঁজে পাচ্ছে না! ফুটবল তো বটেই, জীবন থেকেই আগ্রহ হারানো এনকার হঠাত্ চলে যাওয়ার পর অ্যাডলারই ছিলেন এক নম্বর পছন্দ। বায়ার্ন লেভারকুসেনের সেই গোলরক্ষক পাঁজর ভেঙে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে। অ্যাডলারের ক্লাব অধিনায়ক ডিফেন্ডার রোলফসের সমস্যা হাঁটুতে।
লোর দুশ্চিন্তাটা যেখানে রক্ষণভাগ নিয়ে, স্পেন কোচ দেল বস্কের দুশ্চিন্তায় আবার আক্রমণভাগ। বলা হচ্ছে, স্পেনই নাকি এবার সবচেয়ে ফেবারিট। সবচেয়ে বেশি তারকা ফুটবলারও তাদেরই দলে। কিন্তু বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে, চোটে আক্রান্ত স্প্যানিয়ার্ড খেলোয়াড়ের সংখ্যা ততই বাড়ছে। সেস ফ্যাব্রিগাস, ফার্নান্দো তোরেস, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। স্প্যানিশ লিগে এখনো দুটো ম্যাচ বাকি। দেল বস্ক তো বটেই, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও নিশ্চয়ই ভীরু চোখে তাকিয়ে থাকবেন এই ম্যাচ দুটোর দিকে। ম্যারাডোনার মূল অস্ত্রটা যে বার্সেলোনারও।
ইংল্যান্ড কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোর মূল ভরসা যেমন ওয়েইন রুনি। ক্যাপেলো অবশ্য চিন্তামুক্ত হয়েছেন, লিগে গত ম্যাচেই সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে চোট পাওয়া এই স্ট্রাইকার। তবে প্রিমিয়ার লিগে যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এখনো শতভাগ ফিট মনে হচ্ছে না।
সর্বোচ্চ গোলদাতায় রুনির সঙ্গে থাকা দিদিয়ের দ্রগবাও একটু অস্বস্তিকর ইনজুরিতে। অবশ্য আইভরিকোস্টের অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে চিকিত্সকের ছুরির নিচে যেতে চান না। হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করানো মানেই সপ্তাহ কয়েকের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া। আর ‘গ্রুপ অব ডেথে’ পড়া আইভরিকোস্টের অধিনায়কের জন্য সেই ছিটকে যাওয়ার মানে হয়ে যেতে পারে বিশ্বকাপ-স্বপ্নের অপমৃত্যু।
প্রার্থনায় বসুন...।
No comments